পাকিস্তানের শিয়ালকোটে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শ্রীলঙ্কান কারখানা ব্যবস্থাপককে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন এক ব্যক্তি। এই সাহসিকতার জন্য তাঁকে মেডেল দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দ্য ডন অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ওই সাহসী ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁর নাম মালিক আদনান। তিনি শ্রীলঙ্কান কারখানা ব্যবস্থাপক প্রিয়ান্থা দিয়াওয়াদনার সহকর্মী।
গত শুক্রবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের শিল্পনগরী শিয়ালকোটে গণপিটুনিতে নিহত হন ৪৯ বছর বয়সী শ্রীলঙ্কান নাগরিক প্রিয়ান্থা। একই কারখানায় উৎপাদন ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত আদনান।
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে একদল উত্তেজিত জনতা প্রথমে কারখানায় ঢুকে প্রিয়ান্থাকে বের করে আনে। তাঁকে প্রকাশ্যে গণপিটুনি দেওয়া হয়। গণপিটুনিতে তাঁর মৃত্যু হলে লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, উত্তেজিত জনতাকে ঠেকিয়ে প্রিয়ান্থাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন আদনান। কিন্তু তাঁর চেষ্টা শেষ পর্যন্ত বৃথা যায়।
আদনান যে সাহসিকতা দেখিয়েছেন, সে জন্য তাঁকে ‘তমঘা-ই-সুজাত’ পদক দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
এক টুইট বার্তায় ইমরান খান লিখেছেন, জাতির পক্ষ থেকে তিনি মালিক আদনানের নৈতিক সাহস ও সাহসিকতাকে অভিবাদন জানাতে চান। তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রিয়ন্থাকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন। তাঁরা তাঁকে তমঘা-ই-সুজাত পুরস্কারে ভূষিত করবেন।
গুজব থেকে ঘটনাটি ঘটে। গুজব ওঠে যে প্রিয়ান্থা ধর্মীয় বাণী লেখা একটি পোস্টার ছিঁড়ে তা ডাস্টবিনে ফেলেছেন। এমন অভিযোগ ওঠার পর লোকজন উত্তেজিত হয়ে হামলা চালান। ইমরান খান ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি পাকিস্তানের জন্য লজ্জার একটি দিন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২১
পাকিস্তানের শিয়ালকোটে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শ্রীলঙ্কান কারখানা ব্যবস্থাপককে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন এক ব্যক্তি। এই সাহসিকতার জন্য তাঁকে মেডেল দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দ্য ডন অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ওই সাহসী ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁর নাম মালিক আদনান। তিনি শ্রীলঙ্কান কারখানা ব্যবস্থাপক প্রিয়ান্থা দিয়াওয়াদনার সহকর্মী।
গত শুক্রবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের শিল্পনগরী শিয়ালকোটে গণপিটুনিতে নিহত হন ৪৯ বছর বয়সী শ্রীলঙ্কান নাগরিক প্রিয়ান্থা। একই কারখানায় উৎপাদন ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত আদনান।
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে একদল উত্তেজিত জনতা প্রথমে কারখানায় ঢুকে প্রিয়ান্থাকে বের করে আনে। তাঁকে প্রকাশ্যে গণপিটুনি দেওয়া হয়। গণপিটুনিতে তাঁর মৃত্যু হলে লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, উত্তেজিত জনতাকে ঠেকিয়ে প্রিয়ান্থাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন আদনান। কিন্তু তাঁর চেষ্টা শেষ পর্যন্ত বৃথা যায়।
আদনান যে সাহসিকতা দেখিয়েছেন, সে জন্য তাঁকে ‘তমঘা-ই-সুজাত’ পদক দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
এক টুইট বার্তায় ইমরান খান লিখেছেন, জাতির পক্ষ থেকে তিনি মালিক আদনানের নৈতিক সাহস ও সাহসিকতাকে অভিবাদন জানাতে চান। তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রিয়ন্থাকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন। তাঁরা তাঁকে তমঘা-ই-সুজাত পুরস্কারে ভূষিত করবেন।
গুজব থেকে ঘটনাটি ঘটে। গুজব ওঠে যে প্রিয়ান্থা ধর্মীয় বাণী লেখা একটি পোস্টার ছিঁড়ে তা ডাস্টবিনে ফেলেছেন। এমন অভিযোগ ওঠার পর লোকজন উত্তেজিত হয়ে হামলা চালান। ইমরান খান ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি পাকিস্তানের জন্য লজ্জার একটি দিন।