ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকার সুরক্ষা ‘আংশিক ভেদ করতে পারে’ এ ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনভাইরাসের এই নতুন ধরনটির ওপর ফাইজারের টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রথম ল্যাব টেস্টের ফলাফলে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আশা করছে, করোনভাইরাসের যে টিকাগুলো এ পর্যন্ত তৈরি হয়েছে, ওমিক্রনে আক্রান্তদের গুরুতর অসুস্থ হওয়া ঠেকাতেও সেসব টিকা কাজ করবে।
গবেষকরা বলছেন, ফাইজারের টিকায় শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি এমনিতে করোনাভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে যতটা কার্যকর, জিন কাঠামোতে অনেক বেশি বদলে যাওয়া ওমিক্রনের ক্ষেত্রে সেই হার বেশ কম।
তাতে আতঙ্কিত না হয়ে বরং আশাবাদী হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ডব্লিউএইচওর জরুরি বিভাগের পরিচালক ডা. মাইক রায়ান।
তিনি বলছেন, টিকার সুরক্ষা ভেঙে ফেলার ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের অন্য ধরনগুলোর চেয়ে ওমিক্রন বেশি সক্ষমতা রাখে- এমন কোনো লক্ষণও এ গবেষণায় দেখা যায়নি।
“আমাদের হাতে থাকা টিকাগুলোর কার্যকারিতা বেশ ভালো। যদি গুরুতর অসুস্থ হওয়া থেকে সুরক্ষা বা হাসপাতালে যাওয়া এড়ানোর কথা বলি, তাহলে এ পর্যন্ত সবগুলো ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেই টিকাগুলোর কার্যকারিতা প্রমাণিত। ওমিক্রনের ক্ষেত্রেও সেটা ঘটবে না, তেমন ভাবার কোনো কারণ এখনও ঘটেনি।”
ডা. রায়ান বলছেন, এ পর্যন্ত যে তথ্য উপাত্ত তারা পেয়েছেন, তাতে ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে ডেল্টা বা অন্য ধরনগুলোর চেয়েও গুরুতর অসুস্থতা তৈরি হওয়ার কোনো লক্ষণ তারা দেখেননি।
“বরং বলা যায়, এখন পর্যন্ত ওমিক্রনের ক্ষেত্রে অসুস্থতার মাত্রা কমই দেখা যাচ্ছে।”
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২১
ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকার সুরক্ষা ‘আংশিক ভেদ করতে পারে’ এ ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনভাইরাসের এই নতুন ধরনটির ওপর ফাইজারের টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রথম ল্যাব টেস্টের ফলাফলে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আশা করছে, করোনভাইরাসের যে টিকাগুলো এ পর্যন্ত তৈরি হয়েছে, ওমিক্রনে আক্রান্তদের গুরুতর অসুস্থ হওয়া ঠেকাতেও সেসব টিকা কাজ করবে।
গবেষকরা বলছেন, ফাইজারের টিকায় শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি এমনিতে করোনাভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে যতটা কার্যকর, জিন কাঠামোতে অনেক বেশি বদলে যাওয়া ওমিক্রনের ক্ষেত্রে সেই হার বেশ কম।
তাতে আতঙ্কিত না হয়ে বরং আশাবাদী হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ডব্লিউএইচওর জরুরি বিভাগের পরিচালক ডা. মাইক রায়ান।
তিনি বলছেন, টিকার সুরক্ষা ভেঙে ফেলার ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের অন্য ধরনগুলোর চেয়ে ওমিক্রন বেশি সক্ষমতা রাখে- এমন কোনো লক্ষণও এ গবেষণায় দেখা যায়নি।
“আমাদের হাতে থাকা টিকাগুলোর কার্যকারিতা বেশ ভালো। যদি গুরুতর অসুস্থ হওয়া থেকে সুরক্ষা বা হাসপাতালে যাওয়া এড়ানোর কথা বলি, তাহলে এ পর্যন্ত সবগুলো ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেই টিকাগুলোর কার্যকারিতা প্রমাণিত। ওমিক্রনের ক্ষেত্রেও সেটা ঘটবে না, তেমন ভাবার কোনো কারণ এখনও ঘটেনি।”
ডা. রায়ান বলছেন, এ পর্যন্ত যে তথ্য উপাত্ত তারা পেয়েছেন, তাতে ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে ডেল্টা বা অন্য ধরনগুলোর চেয়েও গুরুতর অসুস্থতা তৈরি হওয়ার কোনো লক্ষণ তারা দেখেননি।
“বরং বলা যায়, এখন পর্যন্ত ওমিক্রনের ক্ষেত্রে অসুস্থতার মাত্রা কমই দেখা যাচ্ছে।”