ভারতের প্রতিরক্ষাপ্রধান বিপিন রাওয়াতকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ১৪ আরোহীর মধ্যে ১৩ জনই মারা গেছেন। গুরুতর আহত এক পুরুষ আরোহীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রাওয়তের অবস্থা নিয়ে সরকারি বিবৃতি মেলেনি। তবে বিপিন রাওয়াত বেঁচে রয়েছেন নাকি মারা গেছেন- তা এখনো নিশ্চিত নয়। খবর এনডিটিভির।
হেলিকপ্টারটিতে ভারতীয় প্রতিরক্ষাপ্রধানের সঙ্গে তার স্ত্রী, প্রতিরক্ষা সহকারী, নিরাপত্তা কমান্ডো ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা ছিলেন।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে দেশটির তামিলনাড়ু রাজ্যে সামরিক হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। ভারতীয় বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে এক টুইটে জানানো হয়েছে, বিপিন রাওয়াতকে নিয়ে এমআই-১৭ ভি৫ হেলিকপ্টারটি তামিলনাড়ুর কনরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এনডিটিভি বলছে, দুর্ঘটনার কবলে পড়া রাশিয়ার তৈরি এমআই-১৭ভি৫ হেলিকপ্টারটিতে পাঁচজন ক্রু ও ৯ জন আরোহী ছিলেন। এই আরোহীদের মধ্যে ভারতের তিন বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ও সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং তার স্ত্রী মধুলিকাও ছিলেন। অন্য যাত্রীদের মধ্যে দেশটির প্রতিরক্ষা সহকারী এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ছিলেন।
তামিলনাড়ুর নীলগিরি জেলা কালেক্টরের তথ্য অনুযায়ী, হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ১৩ জন মারা গেছেন। এছাড়া শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া একজন জীবিত আছেন। তার চিকিৎসা চলছে।
তবে জেনারেল রাওয়াতের ব্যাপারে এখনও পরিষ্কার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ভারতের প্রথম প্রতিরক্ষা প্রধানের দায়িত্ব নেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। দেশটির তিন বাহিনী—সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ের জন্য তাকে এই পদে বসানো হয়।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এই দুর্ঘটনার তথ্য জানিয়েছেন। আগামীকাল দেশটির সংসদে এ ব্যাপারে কথা বলবেন রাজনাথ।
ভারতীয় বিমান বাহিনীর এমআই-১৭ ফাইভ মডেলের এই হেলিকপ্টারটি তালিমানাড়ুর সুলুর এলাকায় অবস্থিত সামরিক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই নীলগিরিতে বিধ্বস্ত হয়। রাশিয়ার তৈরি এই হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের খবর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে জেলা প্রশাসনকে জানান স্থানীয়রা। সেখানে পৌঁছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন।
দেশটির সাবেক সেনাপ্রধান জেজে সিং এনডিটিভিকে বলেছেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে যেসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যে একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, তার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হেলিকপ্টারটি নীলগিরি জেলার ওয়েলিংটন ডিফেন্স সার্ভিস ট্রেইনিং ইনস্টিটিউশনের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে এ ঘটনার বেশ কিছু ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। সেখানে উদ্ধারকাজ চলছে।
বুধবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২১
ভারতের প্রতিরক্ষাপ্রধান বিপিন রাওয়াতকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ১৪ আরোহীর মধ্যে ১৩ জনই মারা গেছেন। গুরুতর আহত এক পুরুষ আরোহীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রাওয়তের অবস্থা নিয়ে সরকারি বিবৃতি মেলেনি। তবে বিপিন রাওয়াত বেঁচে রয়েছেন নাকি মারা গেছেন- তা এখনো নিশ্চিত নয়। খবর এনডিটিভির।
হেলিকপ্টারটিতে ভারতীয় প্রতিরক্ষাপ্রধানের সঙ্গে তার স্ত্রী, প্রতিরক্ষা সহকারী, নিরাপত্তা কমান্ডো ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা ছিলেন।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে দেশটির তামিলনাড়ু রাজ্যে সামরিক হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। ভারতীয় বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে এক টুইটে জানানো হয়েছে, বিপিন রাওয়াতকে নিয়ে এমআই-১৭ ভি৫ হেলিকপ্টারটি তামিলনাড়ুর কনরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এনডিটিভি বলছে, দুর্ঘটনার কবলে পড়া রাশিয়ার তৈরি এমআই-১৭ভি৫ হেলিকপ্টারটিতে পাঁচজন ক্রু ও ৯ জন আরোহী ছিলেন। এই আরোহীদের মধ্যে ভারতের তিন বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ও সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং তার স্ত্রী মধুলিকাও ছিলেন। অন্য যাত্রীদের মধ্যে দেশটির প্রতিরক্ষা সহকারী এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ছিলেন।
তামিলনাড়ুর নীলগিরি জেলা কালেক্টরের তথ্য অনুযায়ী, হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ১৩ জন মারা গেছেন। এছাড়া শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া একজন জীবিত আছেন। তার চিকিৎসা চলছে।
তবে জেনারেল রাওয়াতের ব্যাপারে এখনও পরিষ্কার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ভারতের প্রথম প্রতিরক্ষা প্রধানের দায়িত্ব নেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। দেশটির তিন বাহিনী—সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ের জন্য তাকে এই পদে বসানো হয়।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এই দুর্ঘটনার তথ্য জানিয়েছেন। আগামীকাল দেশটির সংসদে এ ব্যাপারে কথা বলবেন রাজনাথ।
ভারতীয় বিমান বাহিনীর এমআই-১৭ ফাইভ মডেলের এই হেলিকপ্টারটি তালিমানাড়ুর সুলুর এলাকায় অবস্থিত সামরিক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই নীলগিরিতে বিধ্বস্ত হয়। রাশিয়ার তৈরি এই হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের খবর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে জেলা প্রশাসনকে জানান স্থানীয়রা। সেখানে পৌঁছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন।
দেশটির সাবেক সেনাপ্রধান জেজে সিং এনডিটিভিকে বলেছেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে যেসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যে একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, তার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হেলিকপ্টারটি নীলগিরি জেলার ওয়েলিংটন ডিফেন্স সার্ভিস ট্রেইনিং ইনস্টিটিউশনের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে এ ঘটনার বেশ কিছু ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। সেখানে উদ্ধারকাজ চলছে।