alt

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর বাবার নামে বিদ্যুৎ বিল আসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়

প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২

ভারতের ত্রিপুরা তো বটেই বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও এখন ডা. মানিক সাহাকে নিয়ে আলোচনা। মানিক সাহা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর জানা গেল, তাদের পৈতৃক ভিটা এখনো রয়ে গেছে। এমনকি মানিক সাহার বাবা মাখন লাল সাহার নামে এখনো ওই বাড়ির বিদ্যুৎ বিল আসে।

দেশভাগের সময় বন্ধুর সঙ্গে ১৯৪৭ সালে জায়গা বিনিময় করে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় চলে যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাজীপাড়ার বাসিন্দা মাখন লাল সাহা। সেই মাখন লাল সাহার ছেলে ডা. মানিক লাল সাহা এখন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।

এই কথা গুলো বলতে গিয়ে কেঁদে দিলেন মাখন লাল সাহার বাড়ির বাসিন্দা মো. শরিফুল ইসলাম মালদার।

এ সময় শরিফুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা নূর মিয়া মালদারের বাড়ি ছিল আগরতলার ধলেশরে। দেশভাগের সময় বাংলাদেশে আসার সুবাদে বাবার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় মাখন লাল সাহার। আলাপচারিতার মধ্যেই তারা বাড়ি বিনিময় করেন। আমার খুব লাগছে যে ভারতে আমাদের যে বাড়ি আর আমরা যে বাড়িতে থাকি সেই বাড়ির একজন ত্রিপুরার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, আমার বাবার কথা অনুযায়ী এখনো বিদ্যুতের মিটারের নামটি বদল করেনি। যখন মাখন কাকার নামে বিদ্যুতের বিল আসে তখনই কাকা ও আব্বার কথা খুব মনে পড়ে। আমি আমার সন্তানদেরকেও বলেছি যেন এ নামটা পরিবর্তন না করে।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ ‘নিজ এলাকার’ একজন পাশের দেশের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় বেজায় খুশি। বিষয়টি নিজেদের গর্ব উল্লেখ করে এতে দু’দেশের মধ্যে আরও বেশি সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে বলে এলাকার মানুষ আশা প্রকাশ করেন।

ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপি’র সভাপতি ডা. মানিক লাল সাহা সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। এর আগের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দে পদত্যাগের পর তিনি শপথ নেন।

পৌর এলাকার প্রধান সড়ক টিএ রোড হয়ে কাজীপাড়া ঢুকতেই মাখন লাল সাহার সেই বাড়ি। মাখন লাল সাহা যে দালান ঘরটিতে থাকতেন সেটি বেশ পুরনো অবস্থায় আগের অবয়বেই রয়ে গেছে। মাখন লাল সাহা ও তার ভাইয়েরা যে জায়গাটি বিনিময় করে গেছেনে সেখানে একাধিক বাড়ির পাশাপাশি দোকানপাট রয়েছে। বাড়ির যে উঠান ও বাগান ছিলো সেখানটায়ও ঘর উঠে গেছে। বাড়িটি ২৪ শতাংশের বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

টিংকু সাহা নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি মাখন লাল সাহার সেই বাড়িটি চিনিয়ে দিলেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘মাখন সাহাকে আমি জেঠা হিসেবে ডাকতাম। ওনার ছেলে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে। আমার খুব ভালো লাগছে। এটা আমাদের কাছে অনেক গর্বের।’

ফালু শীল নামে কাজীপাড়ার আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘বাড়ির পাশের একজন মানুষ পাশের রাষ্ট্রের একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার খবরটি নিশ্চয় আনন্দের। খরবটি জানার পর থেকে আমার খুব ভালো লাগছে। মাখন লালের পরিবারের সদস্যরা এখানে প্রায়ই আসতেন।

বাড়িটির বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম মালদার জানান, ‘মানিক সাহার পিতার বাড়িতে আমার জন্ম। সেই দিক থেকে আমাদের সম্পর্ক আত্মার। সে কারণে ভারত থেকে পাকিস্তান ও পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ হওয়ার পর আজও আমাদের বাড়ির বিদ্যুৎ বিল মাখন লাল সাহার নামে রয়েছে। বন্ধুর স্মৃতি হিসেবে বিদ্যুৎ বিলের নাম পরিবর্তন না করার জন্য আমার বাবা বলে গেছেন। তাদের কিছু জিনিসপত্রও আমাদের ঘরে ছিল। তবে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এসব লুটে হয়ে যায়।

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শরিফুল বলেন, আমার বাবা নূর মিয়া মালদার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে পড়তেন। থাকতেন কাজীপাড়া কিবরিয়া মহলে। তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়াও ত্রিপুরার অংশ। কাজী পাড়ায় থাকা সময়ে মাখন লাল সাহার সঙ্গে বন্ধুত্ব। দেশ ভাগের সময়ে পরিস্থিতি পরিবর্তিত হতে থাকে। তখন দুই বন্ধু একে অপরের বাড়ি বিনিময়ের প্রস্তাব করেন। কম সময়ের মধ্যেই তা কার্যকর হয়। সেই থেকে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাজীপাড়ার বাসিন্দা। আর আমাদের আগরতলার বাড়ির বাসিন্দা মাখন লাল সাহা।

শরিফুল আরও বলেন, আমার ভাই, মানিক সাহা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় আমরা বেশ খুশি। কয়েক মাস আগেও মাখন কাকার স্বজনরা আমাদের বাড়ি এসেছিলেন। আমাদের খোঁজ নিয়েছেন। বাবার সময় থেকেই আমাদের মধ্যে আত্মীয়ের সম্পর্ক। যা এখনো আছে। বাড়ির বিদ্যুৎ বিলে মাখন লাল সাহার নাম দেখিয়ে শরিফুল কান্নায় ভেঙে পড়েন।

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত ৫০ ভারতীয় তরুণ: উন্নত জীবনের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে চলছে শাটডাউন, বন্ধ হচ্ছে খাদ্য সহায়তা

ছবি

দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

ছবি

জ্বালানি সংকটে মালিতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

ছবি

চীনা পণ্যে বাড়তি শুল্ক বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র!

ছবি

শীতে আরও ভয়াবহ হতে পারে গাজার পরিস্থিতি

ছবি

কারা যোগ দিয়েছেন, কী হতে পারে

ছবি

পাকিস্তানে আবার বাড়ছে দারিদ্র্যের হার

ছবি

কানাডার ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

ছবি

জাতিসংঘ এখন কাজ করছে না, নিরাপত্তা পরিষদ অকার্যকর: লুলা

ছবি

জোটের সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান আনোয়ার ইব্রাহিমের

ছবি

আরেকটি শান্তি চুক্তির সাক্ষী হলেন ট্রাম্প

ছবি

পালাতে পালাতে ক্লান্ত গাজার মানুষ

ছবি

শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হলে যুদ্ধ: আফগানিস্তানকে হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

ছবি

শুল্কবিরোধী বিজ্ঞাপনে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প, কানাডার পণ্যে বাড়ালেন আরও শুল্ক

ছবি

কম্বোডিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করবেন থাই প্রধানমন্ত্রী

ছবি

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অভিযানে ফিলিস্তিনি তরুণ নিহত

ছবি

বিরোধীদের ‘মুসলিম’ পরিচয় এনে কটাক্ষের জবাব যেভাবে দিচ্ছেন জোহরান

ছবি

আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ, পাকিস্তানে টমেটোর কেজি ৬০০ রুপি

ছবি

ক্যারিবিয়ান সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম রণতরী, ‘যুদ্ধাবস্থা তৈরির’ অভিযোগ ভেনেজুয়েলার

ছবি

ট্রাম্প-জিনপিং শীর্ষ সম্মেলনের আশা ম্লান

ছবি

কোনো নতুন আক্রমণ হবে ‘আরেকটি ব্যর্থতা’: ইরান

ছবি

সহিংস বিক্ষোভে প্রাণহানি, টিএলপিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো পাকিস্তান

ছবি

ঝুঁকি মোকাবিলায় এশিয়ার দেশগুলোকে বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা কমাতে হবে

ছবি

যুদ্ধবিরতির পরও গাজার মানুষের ক্ষুধার যন্ত্রণা দূর হচ্ছে না

ছবি

একের পর এক অঞ্চল দখল করছে মায়ানমার জান্তা, কেন পিছু হটছে বিদ্রোহীরা

ছবি

ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক কেন ভেস্তে গেল, ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ কী

ছবি

রাশিয়ার দুটি প্রধান তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

আসিয়ান সম্মেলন এড়িয়ে যাচ্ছেন মোদি, যাবেন না মালয়েশিয়া

ছবি

চীনের সহায়তায় হারানো এলাকা পুনর্দখলে নিচ্ছে মায়ানমার সেনাবাহিনী

ছবি

বিশ্বের জন্য বড় হুমকি হয়ে আসছে ম্যালেরিয়া

ছবি

পাকিস্তান-তালেবান উত্তেজনায় অনিশ্চিত জীবন আফগান শরণার্থীদের

ছবি

রাশিয়ার দুই তেল কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ছবি

‘কয়েক প্রজন্ম ধরে’ চলবে গাজায় স্বাস্থ্য সংকট: ডব্লিউএইচও

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে ১০ মাসে পাঁচ লাখ অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার

ছবি

অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

tab

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর বাবার নামে বিদ্যুৎ বিল আসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়

প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২

ভারতের ত্রিপুরা তো বটেই বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও এখন ডা. মানিক সাহাকে নিয়ে আলোচনা। মানিক সাহা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর জানা গেল, তাদের পৈতৃক ভিটা এখনো রয়ে গেছে। এমনকি মানিক সাহার বাবা মাখন লাল সাহার নামে এখনো ওই বাড়ির বিদ্যুৎ বিল আসে।

দেশভাগের সময় বন্ধুর সঙ্গে ১৯৪৭ সালে জায়গা বিনিময় করে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় চলে যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাজীপাড়ার বাসিন্দা মাখন লাল সাহা। সেই মাখন লাল সাহার ছেলে ডা. মানিক লাল সাহা এখন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।

এই কথা গুলো বলতে গিয়ে কেঁদে দিলেন মাখন লাল সাহার বাড়ির বাসিন্দা মো. শরিফুল ইসলাম মালদার।

এ সময় শরিফুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা নূর মিয়া মালদারের বাড়ি ছিল আগরতলার ধলেশরে। দেশভাগের সময় বাংলাদেশে আসার সুবাদে বাবার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় মাখন লাল সাহার। আলাপচারিতার মধ্যেই তারা বাড়ি বিনিময় করেন। আমার খুব লাগছে যে ভারতে আমাদের যে বাড়ি আর আমরা যে বাড়িতে থাকি সেই বাড়ির একজন ত্রিপুরার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, আমার বাবার কথা অনুযায়ী এখনো বিদ্যুতের মিটারের নামটি বদল করেনি। যখন মাখন কাকার নামে বিদ্যুতের বিল আসে তখনই কাকা ও আব্বার কথা খুব মনে পড়ে। আমি আমার সন্তানদেরকেও বলেছি যেন এ নামটা পরিবর্তন না করে।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ ‘নিজ এলাকার’ একজন পাশের দেশের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় বেজায় খুশি। বিষয়টি নিজেদের গর্ব উল্লেখ করে এতে দু’দেশের মধ্যে আরও বেশি সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে বলে এলাকার মানুষ আশা প্রকাশ করেন।

ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপি’র সভাপতি ডা. মানিক লাল সাহা সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। এর আগের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দে পদত্যাগের পর তিনি শপথ নেন।

পৌর এলাকার প্রধান সড়ক টিএ রোড হয়ে কাজীপাড়া ঢুকতেই মাখন লাল সাহার সেই বাড়ি। মাখন লাল সাহা যে দালান ঘরটিতে থাকতেন সেটি বেশ পুরনো অবস্থায় আগের অবয়বেই রয়ে গেছে। মাখন লাল সাহা ও তার ভাইয়েরা যে জায়গাটি বিনিময় করে গেছেনে সেখানে একাধিক বাড়ির পাশাপাশি দোকানপাট রয়েছে। বাড়ির যে উঠান ও বাগান ছিলো সেখানটায়ও ঘর উঠে গেছে। বাড়িটি ২৪ শতাংশের বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

টিংকু সাহা নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি মাখন লাল সাহার সেই বাড়িটি চিনিয়ে দিলেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘মাখন সাহাকে আমি জেঠা হিসেবে ডাকতাম। ওনার ছেলে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে। আমার খুব ভালো লাগছে। এটা আমাদের কাছে অনেক গর্বের।’

ফালু শীল নামে কাজীপাড়ার আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘বাড়ির পাশের একজন মানুষ পাশের রাষ্ট্রের একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার খবরটি নিশ্চয় আনন্দের। খরবটি জানার পর থেকে আমার খুব ভালো লাগছে। মাখন লালের পরিবারের সদস্যরা এখানে প্রায়ই আসতেন।

বাড়িটির বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম মালদার জানান, ‘মানিক সাহার পিতার বাড়িতে আমার জন্ম। সেই দিক থেকে আমাদের সম্পর্ক আত্মার। সে কারণে ভারত থেকে পাকিস্তান ও পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ হওয়ার পর আজও আমাদের বাড়ির বিদ্যুৎ বিল মাখন লাল সাহার নামে রয়েছে। বন্ধুর স্মৃতি হিসেবে বিদ্যুৎ বিলের নাম পরিবর্তন না করার জন্য আমার বাবা বলে গেছেন। তাদের কিছু জিনিসপত্রও আমাদের ঘরে ছিল। তবে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এসব লুটে হয়ে যায়।

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শরিফুল বলেন, আমার বাবা নূর মিয়া মালদার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে পড়তেন। থাকতেন কাজীপাড়া কিবরিয়া মহলে। তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়াও ত্রিপুরার অংশ। কাজী পাড়ায় থাকা সময়ে মাখন লাল সাহার সঙ্গে বন্ধুত্ব। দেশ ভাগের সময়ে পরিস্থিতি পরিবর্তিত হতে থাকে। তখন দুই বন্ধু একে অপরের বাড়ি বিনিময়ের প্রস্তাব করেন। কম সময়ের মধ্যেই তা কার্যকর হয়। সেই থেকে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাজীপাড়ার বাসিন্দা। আর আমাদের আগরতলার বাড়ির বাসিন্দা মাখন লাল সাহা।

শরিফুল আরও বলেন, আমার ভাই, মানিক সাহা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় আমরা বেশ খুশি। কয়েক মাস আগেও মাখন কাকার স্বজনরা আমাদের বাড়ি এসেছিলেন। আমাদের খোঁজ নিয়েছেন। বাবার সময় থেকেই আমাদের মধ্যে আত্মীয়ের সম্পর্ক। যা এখনো আছে। বাড়ির বিদ্যুৎ বিলে মাখন লাল সাহার নাম দেখিয়ে শরিফুল কান্নায় ভেঙে পড়েন।

back to top