alt

টেক্সাসে হামলা : গায়ে রক্ত মেখে মৃতের ভান করে শুয়ে ছিল ১১ বছরের সেরিলো

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ২৮ মে ২০২২

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের রব এলিমেন্টারি স্কুলে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যায় ১১ বছর বয়সী শিক্ষার্থী মিয়া সেরিলো। তবে বন্দুকধারীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বেঁচে ফেরাটা সহজ কাজ ছিল না তার জন্য। এর জন্য বুলেটবিদ্ধ সহপাঠীদের রক্ত নিজের গায়ে মেখে মৃতের মতো শুয়ে ছিল সে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সে দিনের সে ভয়ংকর স্মৃতি বর্ণনা করেছে সেরিলো।সেরিলোর ভাষ্য মতে, সে এবং তার সহপাঠীরা শ্রেণিকক্ষে ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ ম্যুভিটি দেখছিল। শিক্ষক ইভা মিরেলেস ও ইরমা গার্সিয়া যৌথভাবে পাঠদান করছিলেন। পাঠদান শেষ হওয়ার পরপরই শিক্ষকেরা জানতে পারেন ওই ভবনে একজন বন্দুকধারী অবস্থান করছেন।

সেরিলো জানায়, এক শিক্ষক দরজায় তালা লাগাতে গিয়েছিলেন। তবে ততক্ষণে সেখানেও পৌঁছে গেছেন বন্দুকধারী। জানালা ও দরজা লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছিলেন তিনি। সব কিছু খুব দ্রুত ঘটছিল। নিরুপায় হয়ে ওই শিক্ষক তখন শ্রেণিকক্ষের দিকে ফিরে আসেন। তাঁর পেছন পেছন আসেন বন্দুকধারীও। সিএনএনকে সেরিলো বলেন, এক শিক্ষকের চোখের দিকে তাকিয়ে বন্দুকধারী বলতে থাকেন ‘গুডনাইট’। এরপর তাঁকে গুলি করেন সে।

পরে বন্দুকধারী ফাঁকা গুলি ছুড়তে শুরু করেন। শ্রেণিকক্ষে থাকা অপর শিক্ষক ও সেরিলোর বন্ধুদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকেন তিনি। সেরিলো বলে, তার পাশ দিয়েই বুলেট উড়ে যাচ্ছিল। বিভিন্ন ক্ষুদ্র কণা এসে তার মাথা ও ঘাড়ে আঘাত করছিল।

মিয়া সেরিলো আরও বলেছে, তার শ্রেণিকক্ষে গুলি চালানোর পর বন্দুকধারী পাশের কক্ষে চলে যান। ওই কক্ষে চিৎকার ও গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। গুলি ছোড়া বন্ধ করার পর বন্দুকধারী উচ্চ স্বরে গান বাজাতে শুরু করেন। কষ্টের গান বাজাতে থাকেন তিনি।

সেরিলো ও তার এক বন্ধু মিলে তাদের মৃত শিক্ষকের মুঠোফোন হাতে নেয় এবং ৯১১–তে কল করে সাহায্য চায়। সেরিলোর আশঙ্কা ছিল বন্দুকধারী তাকে ও অন্য জীবিত বন্ধুদের মেরে ফেলতে আবারও ওই শ্রেণিকক্ষে ফিরে আসবেন। এমন অবস্থায় এক মৃত বন্ধুর শরীরে থাকা রক্ত হাতে নিয়ে নিজের শরীরে মাখাতে শুরু করে সে। এরপর বন্ধুদের নিয়ে মৃতের মতো মেঝেতে শুয়ে থাকে। এভাবে তিন ঘণ্টা ধরে তাকে মৃতের অভিনয় করতে হয়েছে।

এরপর স্কুলের বাইরে অবস্থানকারী পুলিশ সদস্যদের কণ্ঠস্বর শুনতে পায় সেরিলো। কেন পুলিশ তখনো ভেতরে ঢুকছে না, কেন তাদের উদ্ধার করছে না, তা বুঝতে পারছিল না সে। সিএনএনকে সে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ওঠে সেরিলো।

সেরিলোর মা জানান, তাঁর মেয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। সে ঘুমাতে পারছে না। সিএনএনকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময়ও নিজেকে ঢেকে রাখতে গায়ে কম্বল জড়িয়ে রেখেছিল সে, যদিও তখন গরম পড়ছিল। সাক্ষাৎকার চলার সময় সেলফোনে হঠাৎ অ্যালার্ম বেজে উঠলে সে শব্দে আঁতকে উঠতে দেখা যায় তাকে।

সেরিলোর মা জানান, এ ধরনের উদ্বেগ-আতঙ্ক মেয়ের মধ্যে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে। সাক্ষাৎকার শুরুর কিছুক্ষণ আগের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের শব্দেও কেমন ভীত হয়ে উঠেছিল তাঁর মেয়ে।

ছবি

গাজায় দুই বছরের যুদ্ধে মৃত্যু ছাড়াল ৬৫ হাজার

ছবি

ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন করে ‘মুক্ত’ হতে চান নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

তেল বিক্রি বন্ধে ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

মায়ানমারে ১২১টি আসনে হবে না ভোটগ্রহণ, ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের

ছবি

দ্বিতীয়বার রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাজ্য গেলেন ট্রাম্প

ছবি

গাজায় এবার স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল, হত্যাযজ্ঞ চলছে

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন রাশিয়া-বেলারুশ সামরিক মহড়ায় কেন

ছবি

দক্ষিণ এশিয়াই কি জেন জি বিপ্লবের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে?

ছবি

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ বাড়ছে: জাতিসংঘ

ছবি

ওএবার ইউরোপকে তাড়িয়ে বেড়ানোর হুমকি রাশিয়ার

ছবি

গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল : জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন

ছবি

মুসলিম বিশ্ব নেটোর আদলে সামরিক বাহিনী গঠনে একমত

ছবি

গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ তদন্ত কমিশন

ছবি

ভেনেজুয়েলার মাদকবাহী জলযানে মার্কিন হামলা, নিহত ৩

ছবি

ইসরায়েলি আগ্রাসন ঠেকাতে মুসলিম দেশগুলোকে যৌথ সামরিক জোটের আহ্বান ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর

ছবি

ইউরোপকে সতর্ক করল রাশিয়া

ছবি

ওয়াকফ সংশোধনী আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

ছবি

তালেবান সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছে জার্মানি

ছবি

১০ হাজার ইসরায়লি সেনাকে মানসিক রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে

ছবি

দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানে বিপুল সমর্থন, নারাজ যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল

ছবি

নেপালে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে আবারও রাস্তায় জেন জি

ছবি

নেপালে বিক্ষোভে সহিংসতা: নিহত ৭২, আহত দুই হাজারের বেশি

ছবি

তেল কেনা বন্ধ করলেই রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে চার্লি কার্কের সমালোচনাকারীদের ওপর ক্ষুব্ধ আইনপ্রণেতারা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়া ‘খারাপ পরিণতি’ ডেকে আনবে

ছবি

লন্ডনে অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভে এক লাখের বেশি মানুষ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

ছবি

গাজা ছেড়েছে আরও আড়াই লাখ মানুষ

ছবি

বিপর্যস্ত নেপালের পর্যটন খাত, ২ দিনে ক্ষতি ২৫০০ কোটি রুপি

ছবি

নেপাল: দায়িত্ব নিয়েই নির্বাচনের তারিখ জানিয়ে দিলেন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান

ছবি

আফগানিস্তানে বন্দি থাকা মার্কিন নাগরিকদের বিষয় নিয়ে কাবুলে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা

ছবি

রাশিয়ার ড্রোন হামলা কোনো ভুল ছিল না: পোল্যান্ড

ছবি

উত্তর কোরিয়ায় বিদেশি চলচ্চিত্র দেখলেও মৃত্যুদণ্ড

ছবি

ইসরায়েলি হামলার পর ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী

ছবি

নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন সুশীলা কারকি

ছবি

হামাসমুক্ত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে ভোট

ছবি

কেন নেপালের এ সংকট দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

tab

টেক্সাসে হামলা : গায়ে রক্ত মেখে মৃতের ভান করে শুয়ে ছিল ১১ বছরের সেরিলো

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ২৮ মে ২০২২

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের রব এলিমেন্টারি স্কুলে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যায় ১১ বছর বয়সী শিক্ষার্থী মিয়া সেরিলো। তবে বন্দুকধারীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বেঁচে ফেরাটা সহজ কাজ ছিল না তার জন্য। এর জন্য বুলেটবিদ্ধ সহপাঠীদের রক্ত নিজের গায়ে মেখে মৃতের মতো শুয়ে ছিল সে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সে দিনের সে ভয়ংকর স্মৃতি বর্ণনা করেছে সেরিলো।সেরিলোর ভাষ্য মতে, সে এবং তার সহপাঠীরা শ্রেণিকক্ষে ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ ম্যুভিটি দেখছিল। শিক্ষক ইভা মিরেলেস ও ইরমা গার্সিয়া যৌথভাবে পাঠদান করছিলেন। পাঠদান শেষ হওয়ার পরপরই শিক্ষকেরা জানতে পারেন ওই ভবনে একজন বন্দুকধারী অবস্থান করছেন।

সেরিলো জানায়, এক শিক্ষক দরজায় তালা লাগাতে গিয়েছিলেন। তবে ততক্ষণে সেখানেও পৌঁছে গেছেন বন্দুকধারী। জানালা ও দরজা লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছিলেন তিনি। সব কিছু খুব দ্রুত ঘটছিল। নিরুপায় হয়ে ওই শিক্ষক তখন শ্রেণিকক্ষের দিকে ফিরে আসেন। তাঁর পেছন পেছন আসেন বন্দুকধারীও। সিএনএনকে সেরিলো বলেন, এক শিক্ষকের চোখের দিকে তাকিয়ে বন্দুকধারী বলতে থাকেন ‘গুডনাইট’। এরপর তাঁকে গুলি করেন সে।

পরে বন্দুকধারী ফাঁকা গুলি ছুড়তে শুরু করেন। শ্রেণিকক্ষে থাকা অপর শিক্ষক ও সেরিলোর বন্ধুদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকেন তিনি। সেরিলো বলে, তার পাশ দিয়েই বুলেট উড়ে যাচ্ছিল। বিভিন্ন ক্ষুদ্র কণা এসে তার মাথা ও ঘাড়ে আঘাত করছিল।

মিয়া সেরিলো আরও বলেছে, তার শ্রেণিকক্ষে গুলি চালানোর পর বন্দুকধারী পাশের কক্ষে চলে যান। ওই কক্ষে চিৎকার ও গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। গুলি ছোড়া বন্ধ করার পর বন্দুকধারী উচ্চ স্বরে গান বাজাতে শুরু করেন। কষ্টের গান বাজাতে থাকেন তিনি।

সেরিলো ও তার এক বন্ধু মিলে তাদের মৃত শিক্ষকের মুঠোফোন হাতে নেয় এবং ৯১১–তে কল করে সাহায্য চায়। সেরিলোর আশঙ্কা ছিল বন্দুকধারী তাকে ও অন্য জীবিত বন্ধুদের মেরে ফেলতে আবারও ওই শ্রেণিকক্ষে ফিরে আসবেন। এমন অবস্থায় এক মৃত বন্ধুর শরীরে থাকা রক্ত হাতে নিয়ে নিজের শরীরে মাখাতে শুরু করে সে। এরপর বন্ধুদের নিয়ে মৃতের মতো মেঝেতে শুয়ে থাকে। এভাবে তিন ঘণ্টা ধরে তাকে মৃতের অভিনয় করতে হয়েছে।

এরপর স্কুলের বাইরে অবস্থানকারী পুলিশ সদস্যদের কণ্ঠস্বর শুনতে পায় সেরিলো। কেন পুলিশ তখনো ভেতরে ঢুকছে না, কেন তাদের উদ্ধার করছে না, তা বুঝতে পারছিল না সে। সিএনএনকে সে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ওঠে সেরিলো।

সেরিলোর মা জানান, তাঁর মেয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। সে ঘুমাতে পারছে না। সিএনএনকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময়ও নিজেকে ঢেকে রাখতে গায়ে কম্বল জড়িয়ে রেখেছিল সে, যদিও তখন গরম পড়ছিল। সাক্ষাৎকার চলার সময় সেলফোনে হঠাৎ অ্যালার্ম বেজে উঠলে সে শব্দে আঁতকে উঠতে দেখা যায় তাকে।

সেরিলোর মা জানান, এ ধরনের উদ্বেগ-আতঙ্ক মেয়ের মধ্যে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে। সাক্ষাৎকার শুরুর কিছুক্ষণ আগের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের শব্দেও কেমন ভীত হয়ে উঠেছিল তাঁর মেয়ে।

back to top