alt

আফগানিস্তানে ভূমিকম্প: বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে কলেরা ছড়ানোর শঙ্কা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২

আফগানিস্তানের দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্প থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজন জানিয়েছে, তাদের খাওয়ার মতো কিছু নেই, কোনো আশ্রয় নেই এবং তারা কলেরার প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা করছেন।

দেশটির পাকতিকা প্রদেশ থেকে বিবিসির প্রতিনিধি এমনটি জানিয়েছেন; ভূমিকম্পে এই প্রদেশটিই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

নিজের বাড়ির ধ্বংসস্তূপের মধ্যে খোঁজাখুঁজি করে এক জোড়া জুতা পেলেন আগা জান, সঙ্গে সঙ্গে তার চোখ পানিতে ভরে গেল। জুতা জোড়া থেকে ধূলা সরাতে সরাতে বললেন, “এগুলো আমার ছেলের জুতা।”

তার অল্প বয়স্ক তিন সন্তান ও দুই স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে, ভূমিকম্পের সময় তারা ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। বুধবার ভোররাতে যে ঘরে তারা ঘুমিয়ে ছিলেন ভূমিকম্পের পর আগা জান সেদিকে দৌঁড়ে যান, কিন্তু ততক্ষণে সবশেষ।

“সবকিছু ধ্বংসস্তূপের নিচে ছিল। এমনকি আমার বেলচাটাও। আমার কিছুই করার ছিল না। আমি চাচাতো ভাইদের ডেকে আনি, সবাই মিলে আমার স্ত্রী, সন্তানদের বাইরে বের করে আনি, কিন্তু তারা বেঁচে ছিল না।”

আগা জানের গ্রামটি যে এলাকায়, পাকতিকা প্রদেশের বারমাল জেলা, ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর একটি। এই ভূমিকম্পে প্রায় ১০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং ৩ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে।

এখান থেকে ধূলিময় রাস্তা পেরিয়ে সবচেয়ে নিকটবর্তী বড় শহরে গাড়িতে করে যেতে তিন ঘণ্টা লাগে, এলাকাটি প্রত্যন্ত হওয়ায় এখান থেকে আহতদের নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। তবে এখান থেকে তালেবানের সামরিক হেলিকপ্টারে করে কিছু্ আহতকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এই গ্রামের প্রায় প্রত্যেকটি বাড়ি যেগুলো সাধারণভাবে মাটি ও পাথর দিয়ে তৈরি, মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় প্রত্যেক পরিবারের কেউ না কেউ মারা গেছে।

ভূমিকম্পের খবর যখন পান তখন হাবিব গুল প্রতিবেশী পাকিস্তানের করাচি শহরে, সেখানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন তিনি। তড়িঘড়ি করে বারমালের গ্রামের বাড়িতে ফিরে দেখেন তার ২০ জন আত্মীয় নিহত হয়েছে, এদের ১৮ জন এক বাড়ির বাসিন্দা।

“কার নাম আমি বলবো আপনাকে? আমার এত আত্মীয়স্বজন শহীদ হয়েছে, তিন বোন, আমার ভাতিজি, আমার কন্যা, ছোট শিশু,” বলেন হাবিব।

বিবিসিকে তিনি বলেন, “বিশ্ব যদি ভাইয়ের দৃষ্টিতে আমাদের দেখত আর সাহায্য করত, আমরা এখানে আমাদের নিজেদের জায়গায় থাকতে পারতাম। তারা যদি সাহায্য না করে তাহলে কান্না নিয়ে দীর্ঘদিনের এই বাসস্থান ছেড়ে যেতে হবে আমাদের।”

মাথার ওপর আকাশে সামরিক হেলিকপ্টার ঘুরপাক খাচ্ছে। তারা আর আহতদের নিয়ে যাচ্ছে না, ত্রাণ সাহায্য সরবরাহ করছে। তালেবান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উদ্ধার অভিযান সম্পূর্ণ ও শেষ হয়েছে।

এখন ঘরবাড়ি হারানো শত শত পরিবারের জন্য জরুরিভিত্তিতে আশ্রয় দরকার।

আগা জান ও তার বেঁচে থাকা ছেলেদের একজন খোলা জায়গায় কাঠ দিয়ে বড় একটি তেরপল টাঙাচ্ছিলেন। অন্য পরিবারগুলো তাদের ধ্বংস হয়ে যাওয়া ঘরবাড়ির অবশিষ্টাংশ দিয়ে কোনোরকমে মাথা গোঁজায় একটি ঠাঁই করে তাতেই আশ্রয় নিয়েছেন।

খালিদ জানের পাঁচ নাতি তার পাঁয়ের কাছে জড়ো হয়ে আছে। ওদের বাবা, তার ছেলে, ভূমিকম্পে মারা গেছে। এখন তিনিই ওদের একমাত্র অবলম্বন। ভূমিকম্পে খালিদ জানের আরও দুই সন্তানও মারা গেছে।

একটি তাঁবুতে স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী বিছানা চারপাইতে বসে তিনি বলেন, “এদের শুধু আমিই আছি। কিন্তু বাড়িসহ সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে আর আমি এটি আর তৈরি করতে পারবো না।”

আফগান ও আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করে রসদ সরবরাহ করলেও এটি বড় ধরনের একটি সংকট যা আরও ঘনীভূত হচ্ছে। এ সংকট আগে থেকেই দেশটিতে বিদ্যমান থাকা ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে।

এখানে অসহায় অবস্থায় পড়া মানুষদের পাশে দাঁড়ানো জাতিসংঘ সম্ভাব্য কলেরা প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করেছে।

ছবি

ঘূর্ণিঝড় দিতওয়া: শ্রীলঙ্কায় মৃত্যু বেড়ে ৩৫৫, নিখোঁজ ৩৬৬

ছবি

ভেনেজুয়েলায় ‘মাদক যুদ্ধের’ দামামা, দণ্ডিত কোকেন পাচারকারীকে ট্রাম্পের ক্ষমা

ছবি

চরম উত্তেজনার মধ্যে ট্রাম্প-মাদুরোর ফোনালাপ

ছবি

জর্জিয়ায় বিক্ষোভ দমনে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিষাক্ত রাসায়নিক প্রয়োগ

ছবি

‘যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেনের ফলপ্রসূ আলোচনা, আরো কাজ বাকি’

ছবি

এশিয়াজুড়ে বন্যা-ভূমিধসের তা-ব, মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়াল

ছবি

নামেই যুদ্ধবিরতি, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭০ হাজার ছাড়ালো

ছবি

‘ডেথ সেলে’ ইমরান খানের নিঃসঙ্গ বন্দিজীবন

ছবি

হোয়াইট হাউস ছাপিয়ে বিশাল সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বানালো উজবেকিস্তান

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় বিশ্বের অভিবাসন স্থগিত, কী প্রভাব পড়বে

ছবি

আফগানদের জন্য ভিসা স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র

ভারতের অনুমতি মেলেনি, ভুটানের ট্রানশিপমেন্ট পণ্য বুড়িমারীতে আটকা

ছবি

বাইডেনকে দুষলেও সন্দেহভাজন আফগান নাগরিকের আশ্রয়-আবেদনে অনুমোদন দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন

ছবি

মাদকবাহী নৌযানে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় হামলায় সব আরোহী নিহত

ছবি

হংকংয়ে মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা, নিহতদের স্মরণে শোক

ছবি

৬২ বছর বয়সে বিয়ে করলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী

ছবি

দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের পর জেলেনস্কির শীর্ষ সহকারীকে অপসারণ

ছবি

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ালো

ছবি

এয়ারবাসের ৬ হাজার বিমানের সফটওয়্যার আপডেটের নির্দেশনা

ছবি

হংকংয়ে আগুনে নিহত বেড়ে ১২৮, উদ্ধার তৎপরতা চলছে

ছবি

ইমরান খানের শারীরিক অবস্থা নিয়ে তথ্য দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ, অবস্থান কর্মসূচি

ছবি

তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে স্থগিত করার পরিকল্পনা করছেন ট্রাম্প

ছবি

আসামে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করে ‘বিতর্কিত’ বিল পাস

ছবি

যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও গাজায় এখনো গণহত্যা চলছে

ছবি

ট্রাম্প প্রশাসনের নজর এখন গ্রিন কার্ডধারীদের দিকে

ছবি

সৌদি আরব কেন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ছে না

ছবি

হোয়াইট হাউজের কাছে ২ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য গুলিবিদ্ধ, হামলাকারী আফগান আটক

গিনি-বিসাউয়ের সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা নিল সেনারা, প্রেসিডেন্ট আটক

ছবি

পাকিস্তানের আদিয়ালা জেলেই আছেন ইমরান খান, সুস্থ আছেন: কর্তৃপক্ষ

ছবি

রাশিয়াবান্ধব চুক্তি হতে হবে,না হলে যুদ্ধ চালাবেন পুতিন

ছবি

অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে আবার কেন চীন–ভারত মুখোমুখি

ছবি

মামদানির ট্র্যানজিশন টিমে স্থান পেলেন ৯ বাংলাদেশি

ছবি

শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ পর্যালোচনা করছে ভারত

ছবি

আফগানিস্তানের তালেবানের কাছে আর প্রত্যাশার কিছু নেই: পাকিস্তানের

ছবি

পুতিনের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে ট্রাম্পের বিশেষ দূতের বৈঠক

ছবি

বোলসোনারোকে ২৭ বছরের কারাভোগ শুরুর নির্দেশ

tab

আফগানিস্তানে ভূমিকম্প: বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে কলেরা ছড়ানোর শঙ্কা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২

আফগানিস্তানের দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্প থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজন জানিয়েছে, তাদের খাওয়ার মতো কিছু নেই, কোনো আশ্রয় নেই এবং তারা কলেরার প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা করছেন।

দেশটির পাকতিকা প্রদেশ থেকে বিবিসির প্রতিনিধি এমনটি জানিয়েছেন; ভূমিকম্পে এই প্রদেশটিই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

নিজের বাড়ির ধ্বংসস্তূপের মধ্যে খোঁজাখুঁজি করে এক জোড়া জুতা পেলেন আগা জান, সঙ্গে সঙ্গে তার চোখ পানিতে ভরে গেল। জুতা জোড়া থেকে ধূলা সরাতে সরাতে বললেন, “এগুলো আমার ছেলের জুতা।”

তার অল্প বয়স্ক তিন সন্তান ও দুই স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে, ভূমিকম্পের সময় তারা ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। বুধবার ভোররাতে যে ঘরে তারা ঘুমিয়ে ছিলেন ভূমিকম্পের পর আগা জান সেদিকে দৌঁড়ে যান, কিন্তু ততক্ষণে সবশেষ।

“সবকিছু ধ্বংসস্তূপের নিচে ছিল। এমনকি আমার বেলচাটাও। আমার কিছুই করার ছিল না। আমি চাচাতো ভাইদের ডেকে আনি, সবাই মিলে আমার স্ত্রী, সন্তানদের বাইরে বের করে আনি, কিন্তু তারা বেঁচে ছিল না।”

আগা জানের গ্রামটি যে এলাকায়, পাকতিকা প্রদেশের বারমাল জেলা, ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর একটি। এই ভূমিকম্পে প্রায় ১০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং ৩ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে।

এখান থেকে ধূলিময় রাস্তা পেরিয়ে সবচেয়ে নিকটবর্তী বড় শহরে গাড়িতে করে যেতে তিন ঘণ্টা লাগে, এলাকাটি প্রত্যন্ত হওয়ায় এখান থেকে আহতদের নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। তবে এখান থেকে তালেবানের সামরিক হেলিকপ্টারে করে কিছু্ আহতকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এই গ্রামের প্রায় প্রত্যেকটি বাড়ি যেগুলো সাধারণভাবে মাটি ও পাথর দিয়ে তৈরি, মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় প্রত্যেক পরিবারের কেউ না কেউ মারা গেছে।

ভূমিকম্পের খবর যখন পান তখন হাবিব গুল প্রতিবেশী পাকিস্তানের করাচি শহরে, সেখানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন তিনি। তড়িঘড়ি করে বারমালের গ্রামের বাড়িতে ফিরে দেখেন তার ২০ জন আত্মীয় নিহত হয়েছে, এদের ১৮ জন এক বাড়ির বাসিন্দা।

“কার নাম আমি বলবো আপনাকে? আমার এত আত্মীয়স্বজন শহীদ হয়েছে, তিন বোন, আমার ভাতিজি, আমার কন্যা, ছোট শিশু,” বলেন হাবিব।

বিবিসিকে তিনি বলেন, “বিশ্ব যদি ভাইয়ের দৃষ্টিতে আমাদের দেখত আর সাহায্য করত, আমরা এখানে আমাদের নিজেদের জায়গায় থাকতে পারতাম। তারা যদি সাহায্য না করে তাহলে কান্না নিয়ে দীর্ঘদিনের এই বাসস্থান ছেড়ে যেতে হবে আমাদের।”

মাথার ওপর আকাশে সামরিক হেলিকপ্টার ঘুরপাক খাচ্ছে। তারা আর আহতদের নিয়ে যাচ্ছে না, ত্রাণ সাহায্য সরবরাহ করছে। তালেবান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উদ্ধার অভিযান সম্পূর্ণ ও শেষ হয়েছে।

এখন ঘরবাড়ি হারানো শত শত পরিবারের জন্য জরুরিভিত্তিতে আশ্রয় দরকার।

আগা জান ও তার বেঁচে থাকা ছেলেদের একজন খোলা জায়গায় কাঠ দিয়ে বড় একটি তেরপল টাঙাচ্ছিলেন। অন্য পরিবারগুলো তাদের ধ্বংস হয়ে যাওয়া ঘরবাড়ির অবশিষ্টাংশ দিয়ে কোনোরকমে মাথা গোঁজায় একটি ঠাঁই করে তাতেই আশ্রয় নিয়েছেন।

খালিদ জানের পাঁচ নাতি তার পাঁয়ের কাছে জড়ো হয়ে আছে। ওদের বাবা, তার ছেলে, ভূমিকম্পে মারা গেছে। এখন তিনিই ওদের একমাত্র অবলম্বন। ভূমিকম্পে খালিদ জানের আরও দুই সন্তানও মারা গেছে।

একটি তাঁবুতে স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী বিছানা চারপাইতে বসে তিনি বলেন, “এদের শুধু আমিই আছি। কিন্তু বাড়িসহ সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে আর আমি এটি আর তৈরি করতে পারবো না।”

আফগান ও আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করে রসদ সরবরাহ করলেও এটি বড় ধরনের একটি সংকট যা আরও ঘনীভূত হচ্ছে। এ সংকট আগে থেকেই দেশটিতে বিদ্যমান থাকা ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে।

এখানে অসহায় অবস্থায় পড়া মানুষদের পাশে দাঁড়ানো জাতিসংঘ সম্ভাব্য কলেরা প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করেছে।

back to top