alt

একই পরিবারের চারজনকে হত্যা, অভিযুক্ত ছোট ছেলে ও তার স্ত্রী

প্রতিনিধি, কলকাতা: : বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট ২০২২

মা, দাদা, বৌদি এবং ভাইঝিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠছে একই পরিবারের ছোট ছেলে ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা বুধবার (১০ আগস্ট) রাতের, পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া থানার ময়দান এলাকার এমসি ঘোষ লেনে।

পারিবারিক বিবাদের জেরেই ওই চারজনকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ এসে ওই বাড়ির চার সদস্যকে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে।

আটক করা হয়েছে পরিবারের অভিযুক্ত ছোট ছেলের স্ত্রী পল্লবী ঘোষকে, পলাতক তার স্বামী দেবরাজ ঘোষ।

ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে রক্তমাখা কাটারি। মৃতেরা হলেন, গৃহকর্ত্রী মাধুরী ঘোষ, তার মেঝ ছেলে দেবাশিস ঘোষ, পুত্রবধূ রেখা ঘোষ, এবং দেবাশিস ঘোষের ১৩ বছরের কন্যা তিয়াসা ঘোষ।

পুলিশের তথ্য, বুধবার সন্ধ্যার পর প্রথমে অশান্তি শুরু হয়েছিল মূলত ছোট বৌ পল্লবীর সঙ্গে মেঝ ভাইয়ের স্ত্রী রেখার। পরে দুই ভাই এই অশান্তিতে জড়িয়ে পড়েন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদের জেরেই এই চরম পরিণতি। ঘটনার সময় ছোট ভাই দেবরাজ কার্যত উন্মাদের মতো আচরণ করছিলেন বলেই স্থানীয়দের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে পুলিশ।

প্রতিবেশীরা জানায়, সে এক বীভৎস দৃশ্য। দেবাশিসকে এলোপাথারি কোপাচ্ছে দেবরাজ। দেবরাজের স্ত্রী পল্লবী দেবাশিসের স্ত্রী রেখাকে বেদম মারছে। দেবাশিসের ১৩ বছরের মেয়ে রূপসা ওরফে তিয়াসা, হাওড়া যোগেশ চন্দ্র গার্লস স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। সে ঘর থেকে বেরিয়ে কাকা এবং অন্যান্য আত্মীয় প্রতিবেশীদের কাছে আর্ত চিৎকার করতে থাকে ‘আমার বাবা মা কে মেরে ফেলছে, বাঁচাও।’

বাবাকে ছোট কাকা মারধর করছে দেখে তিয়াসা আশপাশে থাকা অন্যান্য আত্মীস্বজনকে ডাকতে যাওয়ায় তাকেও খুন করা হয় বলে অভিযোগ৷

পুলিস খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে চারজন৷

পুলিশের জেরায় খুনের ঘটনায় বিভিন্ন তথ্য দিয়েছে অভিযুক্ত ওই বাড়ির ছোট বৌ পল্লবী ঘোষ। পুলিশে বলছে জেরায় অভিযুক্ত পল্লবী তাদের বলেন, ‘যা করার আমিই করেছি। চারজনকে আমিই মেরেছি। ওরা প্রত্যেকেই মরেছে তো স্যার? আমি রেগে গেলে যা ইচ্ছা করতে পারি। নিজেকেও মেরে দিতে পারি। আমি স্বামীকেও মেরে দিতে পারি।’

ছবি

প্রভাবশালী মার্কিন ডানপন্থিরা মামদানিকে আইএসের সঙ্গে জড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন

ছবি

ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ট্রাম্প

ছবি

ট্রাম্প-মামদানি কি সমানে সমান

ছবি

কেন দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন সুদানের নাগরিকরা

ছবি

গাজার নিরাপত্তায় আইএসএফ গঠনের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো জাতিসংঘ

ছবি

ইতিহাসের সবচেয়ে গরম বছরগুলোর একটি হতে যাচ্ছে ২০২৫

ছবি

ইতিহাসে সর্বোচ্চ বেতন-ভাতা মাস্কের

ছবি

পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতির নির্দেশ পুতিনের

ছবি

মামদানির জয়, নিউইয়র্কের ইহুদিদের দেশে চলে আসতে বললেন ইসরায়েলি মন্ত্রী

ছবি

মামদানি সম্মানজনক আচরণ করলে তাঁকে সহায়তা করব: ট্রাম্প

ছবি

গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ প্রায় শেষ

ছবি

১৭ হাজার নারী সংগীত শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেবে সৌদি আরব

ছবি

নিউইয়র্কে ইতিহাস: পাঁচ নারী নিয়ে মেয়র মামদানির প্রশাসনের সূচনা

ছবি

নিউইয়র্কের মেয়র মামদানি: নতুন ইতিহাস, ট্রাম্পের জন্য বড় ধাক্কা

ছবি

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রথম দিনই দিয়েছিলাম: ভারত

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে উড্ডয়নের পরপরই বিমান বিধ্বস্ত, নিহত অন্তত ৩

ছবি

মামদানিকে সমর্থন দেয়া ইহুদিদের ‘স্টুপিড’ বললেন ট্রাম্প

ছবি

যুদ্ধবিরতি চললেও ত্রাণ প্রবেশে বাধা, ক্ষুধায় কাতর গাজাবাসী

ছবি

সুদানে গণহত্যার প্রমাণ লোপাটে ‘গণকবর’ দিচ্ছে আরএসএফ

ছবি

মামদানির ঐতিহাসিক জয়ের রহস্য কী

ছবি

ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য কঠিন হচ্ছে কানাডার দরজা

ছবি

‘সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুদণ্ড’ বিল পাসের পথে ইসরায়েলি সংসদ

ছবি

নিউইয়র্কে মামদানি জিতলে ফেডারেল তহবিল কমানোর হুমকি ট্রাম্পের

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫ দিন ধরে অচল সরকার, বিমানবন্দরে তীব্র বিশৃঙ্খলা

ছবি

সুদানে ছড়িয়ে পড়ছে সংঘাত, পালাচ্ছে মানুষ

ছবি

গাজায় হাসপাতালে ধুঁকছে রোগী

ছবি

নিউইয়র্কে আজ মেয়র নির্বাচন: সর্বশেষ চার জরিপেও এগিয়ে জোহরান মামদানি

ছবি

বিশ্বকে ১৫০ বার ধ্বংস করার মতো পারমাণবিক অস্ত্র আমাদের আছে: ট্রাম্প

ছবি

ইউক্রেনকে আপাতত টমাহক দেওয়া হবে না : ট্রাম্প

ছবি

আফগানিস্তানে ৬.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, নিহত ২০

ছবি

দুই সপ্তাহের মধ্যে তীব্র খাবার পানির সংকটে পড়তে যাচ্ছে তেহরান

ছবি

যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েলি অবরোধে বিপর্যয়ের মুখে ফিলিস্তিনিরা

ছবি

জেন জি’ ও পরবর্তী সব প্রজন্মের জন্য ধূমপান নিষিদ্ধ করল মালদ্বীপ

ছবি

আরএসএফের নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা

ছবি

ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করে লেবাননে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৪

tab

একই পরিবারের চারজনকে হত্যা, অভিযুক্ত ছোট ছেলে ও তার স্ত্রী

প্রতিনিধি, কলকাতা:

বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট ২০২২

মা, দাদা, বৌদি এবং ভাইঝিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠছে একই পরিবারের ছোট ছেলে ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা বুধবার (১০ আগস্ট) রাতের, পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া থানার ময়দান এলাকার এমসি ঘোষ লেনে।

পারিবারিক বিবাদের জেরেই ওই চারজনকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ এসে ওই বাড়ির চার সদস্যকে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে।

আটক করা হয়েছে পরিবারের অভিযুক্ত ছোট ছেলের স্ত্রী পল্লবী ঘোষকে, পলাতক তার স্বামী দেবরাজ ঘোষ।

ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে রক্তমাখা কাটারি। মৃতেরা হলেন, গৃহকর্ত্রী মাধুরী ঘোষ, তার মেঝ ছেলে দেবাশিস ঘোষ, পুত্রবধূ রেখা ঘোষ, এবং দেবাশিস ঘোষের ১৩ বছরের কন্যা তিয়াসা ঘোষ।

পুলিশের তথ্য, বুধবার সন্ধ্যার পর প্রথমে অশান্তি শুরু হয়েছিল মূলত ছোট বৌ পল্লবীর সঙ্গে মেঝ ভাইয়ের স্ত্রী রেখার। পরে দুই ভাই এই অশান্তিতে জড়িয়ে পড়েন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদের জেরেই এই চরম পরিণতি। ঘটনার সময় ছোট ভাই দেবরাজ কার্যত উন্মাদের মতো আচরণ করছিলেন বলেই স্থানীয়দের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে পুলিশ।

প্রতিবেশীরা জানায়, সে এক বীভৎস দৃশ্য। দেবাশিসকে এলোপাথারি কোপাচ্ছে দেবরাজ। দেবরাজের স্ত্রী পল্লবী দেবাশিসের স্ত্রী রেখাকে বেদম মারছে। দেবাশিসের ১৩ বছরের মেয়ে রূপসা ওরফে তিয়াসা, হাওড়া যোগেশ চন্দ্র গার্লস স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। সে ঘর থেকে বেরিয়ে কাকা এবং অন্যান্য আত্মীয় প্রতিবেশীদের কাছে আর্ত চিৎকার করতে থাকে ‘আমার বাবা মা কে মেরে ফেলছে, বাঁচাও।’

বাবাকে ছোট কাকা মারধর করছে দেখে তিয়াসা আশপাশে থাকা অন্যান্য আত্মীস্বজনকে ডাকতে যাওয়ায় তাকেও খুন করা হয় বলে অভিযোগ৷

পুলিস খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে চারজন৷

পুলিশের জেরায় খুনের ঘটনায় বিভিন্ন তথ্য দিয়েছে অভিযুক্ত ওই বাড়ির ছোট বৌ পল্লবী ঘোষ। পুলিশে বলছে জেরায় অভিযুক্ত পল্লবী তাদের বলেন, ‘যা করার আমিই করেছি। চারজনকে আমিই মেরেছি। ওরা প্রত্যেকেই মরেছে তো স্যার? আমি রেগে গেলে যা ইচ্ছা করতে পারি। নিজেকেও মেরে দিতে পারি। আমি স্বামীকেও মেরে দিতে পারি।’

back to top