alt

তুরস্কের ইতিহাসে প্রথম নারী জেনারেল ওজলেম ইলমাজ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট ২০২২

তুরস্কের সামরিক বাহিনীতে প্রথম একজন নারীকে জেনারেল পদে নিয়োগ করা হয়েছে। তুরস্কের ইতিহাসে প্রথম ওই নারী জেনারেলের নাম ওজলেম ইলমাজ। চলতি সপ্তাহে তাকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুর্কি সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড। শনিবার দেশটির অফিসিয়াল গেজেট জানিয়েছে, তুর্কি সেনাবাহিনীর প্রথম নারী জেনারেল হিসেবে ওজলেম ইলমাজকে নিয়োগ করা হয়েছে।

অন্যদিকে আরেক তুর্কি সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে, গত শনিবার ওজলেম ইলমাজকে তুরস্কের সামরিক বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে উন্নীত করা হয়। এর আগে তিনি দেশটির সেনাবাহিনীর সিনিয়র কর্নেল পদে কর্মরত ছিলেন।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, পদোন্নতি পাওয়ার পর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওজলেম ইলমাজ এখন থেকে রাজধানী আঙ্কারায় অবস্থিত জেন্ডারমেরি অ্যান্ড কোস্ট গার্ড একাডেমির ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

ওজলেম ইলমাজ ছাড়াও চলতি সপ্তাহে তুরস্কের সামরিক বাহিনীর দুইজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল, ১৬ জন মেজর জেনারেল এবং ১৩ জন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। এছাড়া জেনারেল আরিফ সেতিন জেন্ডারমেরি জেনারেল কমান্ডের প্রধান হিসাবে দায়িত্বপালন অব্যাহত রাখবেন।

এদিকে তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম সিয়াসাত জানিয়েছে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সিদ্ধান্তে ওজলেম ইলমাজকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এর আগে, মেজর জেনারেল ওজলেম ইলমাজ গার্হস্থ্য সহিংসতা মোকাবিলা করার জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের প্রধান এবং জেন্ডারমেরি জেনারেল কমান্ডের শিশু বিভাগের প্রধান ছিলেন।

সিয়াসাত বলছে, গার্হস্থ্য সহিংসতা মোকাবিলা এবং শিশুদের সহায়তা করার জন্য বেশ কয়েকটি গ্রামীণ অঞ্চলে দল নিয়ে দায়িত্ব পালন করার পর তুরস্কের প্রথম মেজর জেনারেলের পদ লাভ করেছিলেন ওজলেম। তার ওই কাজের মাধ্যমে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন ওজলেম।

উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে জন্মগ্রহণ করেন ওজলেম ইলমাজ। এরপর ১৯৯৭ সালে লেফটেন্যান্ট পদে সামরিক একাডেমি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি।

ছবি

গাজায় ‘শক্তিশালী’ হামলা চালানোর নির্দেশ নেতানিয়াহুর

ছবি

নেটোর সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া, সমন্বয়ের অভাব ইউরোপে

ছবি

ট্রাম্পের আগমন ঘিরে দ. কোরিয়ায় বিক্ষোভ

ছবি

কানাডায় এবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিল্পপতিকে খুন করল বিষ্ণোই গ্যাং

ছবি

ট্রাম্পের দক্ষিণ কোরিয়া সফরের আগে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা

ছবি

এক মাসে রেকর্ড ১ কোটি ১৭ লাখ মানুষের ওমরাহ পালন

ছবি

ভারতের অন্ধ্র উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘মোনথা’র তাণ্ডব, নিহত ১

ছবি

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত অন্তত ৩৩, যুদ্ধবিরতির পর সবচেয়ে বড় সহিংসতা

ছবি

গাজায় সেনা পাঠাচ্ছে পাকিস্তান!

ছবি

অ্যামাজনে চাকরি হারাচ্ছে আরও ৩০ হাজার কর্মী

ছবি

ইউরোপীয় আদালতের জলবায়ু রায়ের মুখোমুখি নরওয়ে

ছবি

পাকিস্তান-আফগানিস্তান শান্তি আলোচনা ব্যর্থ

ছবি

ট্রাম্প-জিনপিংয়ের বৈঠকে ঘিরে বাণিজ্যযুদ্ধ বিরতির আশা

ছবি

চ্যালেঞ্জের’ মুখে ভারত, সীমান্তে ৩৬টি যুদ্ধবিমান ‘শেল্টার’ বানিয়েছে চীন

ছবি

হামাস ফেরত দিল আরও এক জিম্মির দেহ, যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২ ফিলিস্তিনি

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত ৫০ ভারতীয় তরুণ: উন্নত জীবনের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে চলছে শাটডাউন, বন্ধ হচ্ছে খাদ্য সহায়তা

ছবি

দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

ছবি

জ্বালানি সংকটে মালিতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

ছবি

চীনা পণ্যে বাড়তি শুল্ক বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র!

ছবি

শীতে আরও ভয়াবহ হতে পারে গাজার পরিস্থিতি

ছবি

কারা যোগ দিয়েছেন, কী হতে পারে

ছবি

পাকিস্তানে আবার বাড়ছে দারিদ্র্যের হার

ছবি

কানাডার ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

ছবি

জাতিসংঘ এখন কাজ করছে না, নিরাপত্তা পরিষদ অকার্যকর: লুলা

ছবি

জোটের সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান আনোয়ার ইব্রাহিমের

ছবি

আরেকটি শান্তি চুক্তির সাক্ষী হলেন ট্রাম্প

ছবি

পালাতে পালাতে ক্লান্ত গাজার মানুষ

ছবি

শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হলে যুদ্ধ: আফগানিস্তানকে হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

ছবি

শুল্কবিরোধী বিজ্ঞাপনে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প, কানাডার পণ্যে বাড়ালেন আরও শুল্ক

ছবি

কম্বোডিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করবেন থাই প্রধানমন্ত্রী

ছবি

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অভিযানে ফিলিস্তিনি তরুণ নিহত

ছবি

বিরোধীদের ‘মুসলিম’ পরিচয় এনে কটাক্ষের জবাব যেভাবে দিচ্ছেন জোহরান

ছবি

আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ, পাকিস্তানে টমেটোর কেজি ৬০০ রুপি

ছবি

ক্যারিবিয়ান সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম রণতরী, ‘যুদ্ধাবস্থা তৈরির’ অভিযোগ ভেনেজুয়েলার

ছবি

ট্রাম্প-জিনপিং শীর্ষ সম্মেলনের আশা ম্লান

tab

তুরস্কের ইতিহাসে প্রথম নারী জেনারেল ওজলেম ইলমাজ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট ২০২২

তুরস্কের সামরিক বাহিনীতে প্রথম একজন নারীকে জেনারেল পদে নিয়োগ করা হয়েছে। তুরস্কের ইতিহাসে প্রথম ওই নারী জেনারেলের নাম ওজলেম ইলমাজ। চলতি সপ্তাহে তাকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুর্কি সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড। শনিবার দেশটির অফিসিয়াল গেজেট জানিয়েছে, তুর্কি সেনাবাহিনীর প্রথম নারী জেনারেল হিসেবে ওজলেম ইলমাজকে নিয়োগ করা হয়েছে।

অন্যদিকে আরেক তুর্কি সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে, গত শনিবার ওজলেম ইলমাজকে তুরস্কের সামরিক বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে উন্নীত করা হয়। এর আগে তিনি দেশটির সেনাবাহিনীর সিনিয়র কর্নেল পদে কর্মরত ছিলেন।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, পদোন্নতি পাওয়ার পর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওজলেম ইলমাজ এখন থেকে রাজধানী আঙ্কারায় অবস্থিত জেন্ডারমেরি অ্যান্ড কোস্ট গার্ড একাডেমির ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

ওজলেম ইলমাজ ছাড়াও চলতি সপ্তাহে তুরস্কের সামরিক বাহিনীর দুইজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল, ১৬ জন মেজর জেনারেল এবং ১৩ জন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। এছাড়া জেনারেল আরিফ সেতিন জেন্ডারমেরি জেনারেল কমান্ডের প্রধান হিসাবে দায়িত্বপালন অব্যাহত রাখবেন।

এদিকে তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম সিয়াসাত জানিয়েছে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সিদ্ধান্তে ওজলেম ইলমাজকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এর আগে, মেজর জেনারেল ওজলেম ইলমাজ গার্হস্থ্য সহিংসতা মোকাবিলা করার জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের প্রধান এবং জেন্ডারমেরি জেনারেল কমান্ডের শিশু বিভাগের প্রধান ছিলেন।

সিয়াসাত বলছে, গার্হস্থ্য সহিংসতা মোকাবিলা এবং শিশুদের সহায়তা করার জন্য বেশ কয়েকটি গ্রামীণ অঞ্চলে দল নিয়ে দায়িত্ব পালন করার পর তুরস্কের প্রথম মেজর জেনারেলের পদ লাভ করেছিলেন ওজলেম। তার ওই কাজের মাধ্যমে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন ওজলেম।

উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে জন্মগ্রহণ করেন ওজলেম ইলমাজ। এরপর ১৯৯৭ সালে লেফটেন্যান্ট পদে সামরিক একাডেমি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি।

back to top