alt

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে যেসব ড্রোন ব্যবহার করছে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে উভয়ই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হামলায় ব্যবহার করছে মানববিহীন উড়োহাজাজ বা ড্রোন। শত্রুপক্ষকে ঘায়েলে কার্যকর ভূমিকা রাখছে এসব ড্রোন। এমনকি রুশ কিংবা ইউক্রেনের স্থাপনায় বোমা বা গোলা হামলার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হচ্ছে সামরিক-অসামরিক গ্রেডের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিভিন্ন ধরনের ড্রোন।

ক্রিমিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে রুশ সামরিক ঘাঁটি কিংবা সেভাস্তোপোলের বিমানঘাঁটিতে সম্প্রতি যে হামলাগুলো চালানো হয়েছে, তার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছোট কামিকেজ ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়পক্ষই এ ধরনের ড্রোন ব্যবহার করেছে।

কামিকেজ সুইচব্লেড

ছোট কিন্তু অত্যন্ত কার্যকর একটি ড্রোন কামিকেজ। সুইচব্লেড নামেও পরিচিত এ ড্রোনগুলোতে ক্যামেরা ও গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস যুক্ত থাকে। একজন ব্যবহারকারী লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করে ড্রোনকে সেখানে উড়িয়ে নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারেন। এ ড্রোনের ভেতর বিস্ফোরকবোঝাই করা থাকে। এগুলো লক্ষ্যবস্তু খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত আকাশে চক্কর দিতে থাকে।

মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্স ইউক্রেনকে স্টারলিংক স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ব্যবস্থা সরবরাহ করছে। এর মাধ্যমে বাণিজ্যিক ড্রোন এবং এর অপারেটরের মধ্যে একটি গোপন এবং নিরাপদ সংযোগ তৈরি করা যায়। ড্রোন বিশেষজ্ঞরা জানান, কামিকেজ বা সুইচব্লেড ড্রোনগুলো যানবাহন ও সাঁজোয়া বহরকে অনেক দূর থেকেও আঘাত করতে পারে।

তুর্কি বায়রাক্তার টিবি২

যুদ্ধে ব্যবহার করা ইউক্রেনের সামরিক গ্রেডের প্রধান ড্রোন হচ্ছে বায়রাক্তার টিবি২। তুরস্কের তৈরি এই ড্রোনটি দিয়ে রাশিয়াকে প্রতিহত করতে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে ইউক্রেন। কার্যকারিতা বেশি হওয়ায় অনেক দেশই তুরস্কের এ ড্রোন কিনতে মরিয়া। বায়রাক্তার টিবি২ দেখতে ছোট একটি বিমানের মতো, যেটিতে ক্যামেরা ও লেজারগাইডযুক্ত বোমাও রয়েছে।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে এ হাতিয়ারের কাছে একরকম নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে রুশ বাহিনীকে। শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, সাঁজোয়া যানসহ বড়সড় ঘাঁটিও গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোন। অস্ত্রের গুদামের মতো লক্ষ্যবস্তু খুঁজে বের করা এবং রাশিয়ার মস্কভা যুদ্ধজাহাজে হামলা চালিয়ে সেটিকে ডুবিয়ে দিতে এ ড্রোন ভূমিকা রেখেছে বলে দাবি ইউক্রেনের। বায়রাক্তার টিবি২ আকাশে ২৫ হাজার ফুট পর্যন্ত ওপরে উড়তে সক্ষম। রুশ সেনাদের প্রতিরোধে ড্রোনগুলো এতটাই কার্যকর যে ইউক্রেনের সেনারা এটিকে সুপার উইপন হিসেবে আখ্যা দেয়।

ওরলান ১০

ইউক্রেনের যদি থাকে বায়রাক্তার টিবিটু, তাহলে রাশিয়ার রয়েছে সামরিক গ্রেডের ড্রোন ওরলান ১০। ইউক্রেনের অনেক বায়রাক্তার ড্রোন রাশিয়ার হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। শত্রুপক্ষের অবস্থান খুঁজে পাওয়ার তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে ওরলান ১০।

মানুষবিহীন উড়োজাহাজ ওরলান ১০ বানিয়েছে সেন্ট পিটার্সবার্গের রাশিয়ান ফার্ম স্পেশাল টেকনোলজি সেন্টার এলএলসি। এ ড্রোনটি একাধারে আকাশে টহল, পর্যবেক্ষণ, গবেষণা ও উদ্ধার কাজেও ব্যবহার করা হয়। শুধু তাই নয়, এটি কমব্যাট ট্রেনিং বা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ, রেডিও সিগনাল শনাক্ত ও দুর্গম অঞ্চলেও অভিযান চালাতে সক্ষম বলে দাবি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের। ডে লাইট ক্যামেরার পাশাপাশি এটিতে থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরাও যুক্ত থাকে। যে প্রযুক্তির সাহায্যে রাতের বেলা বা অন্ধকার ও ধোঁয়াতেও নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম ওরলান ১০।

যুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে বাণিজ্যিক ড্রোনও

সামরিক ড্রোনের দাম অনেক বেশি; সে কারণে সাধারণ ড্রোনও ব্যবহার করছে রাশিয়া-ইউক্রেন। একটি বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোনের দামই ২০ লাখ ডলার। অন্যদিকে একটি ওরলান ১০-এর দাম ১ লাখ ২০ হাজার ডলারের বেশি। ফলে দুপক্ষই বিশেষ করে ইউক্রেন ছোট বাণিজ্যিক মডেলের ড্রোন ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে। এ রকম একটি ড্রোন হচ্ছে ডিজেআই ম্যাভিক-থ্রি, যেটির দাম ১৭০০ ডলার। ইউক্রেনের ড্রোন প্রস্তুতকারী একটি কোম্পানির হিসেবে, দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাছে আনুমানিক ৬ হাজারের মতো ডিজেআই ম্যাভিক-থ্রি ড্রোন আছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সামরিক ড্রোনের মতো বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত ড্রোনেও ছোট আকারের বোমা স্থাপন করা যায়। আবার ইউক্রেনের কাছে রাশিয়ার মতো বিপুল সংখ্যক অস্ত্র নেই। তাই শত্রুপক্ষকে ঘায়েল করতে বাণিজ্যিক এ ড্রোনগুলো অনেক বেশি ব্যবহার করছে ইউক্রেন।

ছবি

জেন-জি বিক্ষোভের মুখে পালিয়েছেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট

ছবি

থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়া ‘শান্তিচুক্তি’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন ট্রাম্প

ছবি

ট্রাম্পের শান্তিচুক্তির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করলো ইরান

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে ‘শেষ পর্যন্ত লড়বে’ চীন

ছবি

পাকিস্তান-আফগান লড়াইয়ে তৈরি হচ্ছে বৃহত্তর সংঘাতের হুমকি

ছবি

প্যালেস্টাইনি-ইসরায়েল বন্দিবিনিময়ের পর চুক্তি সই

ছবি

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ট্রাম্পসহ চার নেতার স্বাক্ষর

ছবি

ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ট্রাম্পের ভাষণে বাধা, প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতির আহ্বান

ছবি

জাতিসংঘের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি স্থগিত করল ইরান

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতিক্রমেই ফের সশস্ত্র হয়েছে হামাস: ট্রাম্প

ছবি

গাজার নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব হামাসের: ট্রাম্প

ছবি

জীবিত ২০ জিম্মিকে মুক্তি দিলো হামাস

ছবি

পশ্চিমা শক্তিকে দুর্বল করতে একাট্টা চীন-রাশিয়া

ছবি

গাজায় ধ্বংসস্তূপে মিলছে একের পর এক লাশ

ছবি

পাকিস্তান-আফগানিস্তান লড়াই, কোন দিকে মোড় নেবে পরিস্থিতি

ছবি

ট্রাম্পের শুল্ক হুমকিতে ক্ষুব্ধ বেইজিং, ‘দ্বিমুখী নীতি’র অভিযোগ চীনের

ছবি

প্রথম ৭ ইসরায়েলি জিম্মিকে রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে হামাস

ছবি

ট্রাম্পের দাবি, গাজা যুদ্ধ ‘শেষ’

ছবি

গাজা: ঢুকছে ত্রাণবাহী ট্রাক, সোমবার মুক্তি পাচ্ছে জিম্মিরা

ছবি

সীমান্তে সংঘর্ষ: পাকিস্তানের ৫৮ সেনা হত্যার দাবি আফগানিস্তানের

ছবি

গাজায় ত্রাণ প্রবেশ শুরু, বন্দি মুক্তি প্রক্রিয়া সোমবার থেকে

ছবি

শান্তি প্রস্তাব মানলেও অস্ত্র জমা দেবে না হামাস

ছবি

ভারতে বিদেশিদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যায় শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ

ছবি

পাকিস্তানে তালেবানের হামলা নিয়ে মুখ খুলল ‘বন্ধু’ সৌদি!

ছবি

আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি দাবি

ছবি

আল্টিমেটামের জবাবে ট্রাম্পকে সতর্কবার্তা দিলো বেইজিং

ছবি

গাজা থেকে জিম্মিমুক্তি শুরু কখন, কীভাবে

ছবি

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণ কী?

ছবি

সীমান্তে রাতভর গোলাগুলিতে ৫৮ পাকিস্তানি সেনা নিহতের দাবি কাবুলের

ছবি

আফগানিস্তান আগুন ও রক্তের খেলা খেলছে,” বলছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

ছবি

শান্তিতে নোবেল পাওয়া ভেনেজুয়েলার মাচাদোকে নিয়ে সমালোচনা

ছবি

বোমা-ড্রোনের শব্দ ছাড়া গাজাবাসীর প্রথম রাত

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি শাটডাউনে ব্যাপক ছাঁটাই শুরু, ট্রাম্প ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করলেন

ছবি

‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করলো উত্তর কোরিয়া

ছবি

মাচাদোকে বললে আমাকে নোবেলটা দিয়ে দিত: ট্রাম্প

ছবি

চীনা পণ্যে বাড়তি ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

tab

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে যেসব ড্রোন ব্যবহার করছে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে উভয়ই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হামলায় ব্যবহার করছে মানববিহীন উড়োহাজাজ বা ড্রোন। শত্রুপক্ষকে ঘায়েলে কার্যকর ভূমিকা রাখছে এসব ড্রোন। এমনকি রুশ কিংবা ইউক্রেনের স্থাপনায় বোমা বা গোলা হামলার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হচ্ছে সামরিক-অসামরিক গ্রেডের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিভিন্ন ধরনের ড্রোন।

ক্রিমিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে রুশ সামরিক ঘাঁটি কিংবা সেভাস্তোপোলের বিমানঘাঁটিতে সম্প্রতি যে হামলাগুলো চালানো হয়েছে, তার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছোট কামিকেজ ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়পক্ষই এ ধরনের ড্রোন ব্যবহার করেছে।

কামিকেজ সুইচব্লেড

ছোট কিন্তু অত্যন্ত কার্যকর একটি ড্রোন কামিকেজ। সুইচব্লেড নামেও পরিচিত এ ড্রোনগুলোতে ক্যামেরা ও গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস যুক্ত থাকে। একজন ব্যবহারকারী লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করে ড্রোনকে সেখানে উড়িয়ে নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারেন। এ ড্রোনের ভেতর বিস্ফোরকবোঝাই করা থাকে। এগুলো লক্ষ্যবস্তু খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত আকাশে চক্কর দিতে থাকে।

মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্স ইউক্রেনকে স্টারলিংক স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ব্যবস্থা সরবরাহ করছে। এর মাধ্যমে বাণিজ্যিক ড্রোন এবং এর অপারেটরের মধ্যে একটি গোপন এবং নিরাপদ সংযোগ তৈরি করা যায়। ড্রোন বিশেষজ্ঞরা জানান, কামিকেজ বা সুইচব্লেড ড্রোনগুলো যানবাহন ও সাঁজোয়া বহরকে অনেক দূর থেকেও আঘাত করতে পারে।

তুর্কি বায়রাক্তার টিবি২

যুদ্ধে ব্যবহার করা ইউক্রেনের সামরিক গ্রেডের প্রধান ড্রোন হচ্ছে বায়রাক্তার টিবি২। তুরস্কের তৈরি এই ড্রোনটি দিয়ে রাশিয়াকে প্রতিহত করতে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে ইউক্রেন। কার্যকারিতা বেশি হওয়ায় অনেক দেশই তুরস্কের এ ড্রোন কিনতে মরিয়া। বায়রাক্তার টিবি২ দেখতে ছোট একটি বিমানের মতো, যেটিতে ক্যামেরা ও লেজারগাইডযুক্ত বোমাও রয়েছে।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে এ হাতিয়ারের কাছে একরকম নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে রুশ বাহিনীকে। শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, সাঁজোয়া যানসহ বড়সড় ঘাঁটিও গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোন। অস্ত্রের গুদামের মতো লক্ষ্যবস্তু খুঁজে বের করা এবং রাশিয়ার মস্কভা যুদ্ধজাহাজে হামলা চালিয়ে সেটিকে ডুবিয়ে দিতে এ ড্রোন ভূমিকা রেখেছে বলে দাবি ইউক্রেনের। বায়রাক্তার টিবি২ আকাশে ২৫ হাজার ফুট পর্যন্ত ওপরে উড়তে সক্ষম। রুশ সেনাদের প্রতিরোধে ড্রোনগুলো এতটাই কার্যকর যে ইউক্রেনের সেনারা এটিকে সুপার উইপন হিসেবে আখ্যা দেয়।

ওরলান ১০

ইউক্রেনের যদি থাকে বায়রাক্তার টিবিটু, তাহলে রাশিয়ার রয়েছে সামরিক গ্রেডের ড্রোন ওরলান ১০। ইউক্রেনের অনেক বায়রাক্তার ড্রোন রাশিয়ার হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। শত্রুপক্ষের অবস্থান খুঁজে পাওয়ার তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে ওরলান ১০।

মানুষবিহীন উড়োজাহাজ ওরলান ১০ বানিয়েছে সেন্ট পিটার্সবার্গের রাশিয়ান ফার্ম স্পেশাল টেকনোলজি সেন্টার এলএলসি। এ ড্রোনটি একাধারে আকাশে টহল, পর্যবেক্ষণ, গবেষণা ও উদ্ধার কাজেও ব্যবহার করা হয়। শুধু তাই নয়, এটি কমব্যাট ট্রেনিং বা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ, রেডিও সিগনাল শনাক্ত ও দুর্গম অঞ্চলেও অভিযান চালাতে সক্ষম বলে দাবি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের। ডে লাইট ক্যামেরার পাশাপাশি এটিতে থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরাও যুক্ত থাকে। যে প্রযুক্তির সাহায্যে রাতের বেলা বা অন্ধকার ও ধোঁয়াতেও নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম ওরলান ১০।

যুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে বাণিজ্যিক ড্রোনও

সামরিক ড্রোনের দাম অনেক বেশি; সে কারণে সাধারণ ড্রোনও ব্যবহার করছে রাশিয়া-ইউক্রেন। একটি বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোনের দামই ২০ লাখ ডলার। অন্যদিকে একটি ওরলান ১০-এর দাম ১ লাখ ২০ হাজার ডলারের বেশি। ফলে দুপক্ষই বিশেষ করে ইউক্রেন ছোট বাণিজ্যিক মডেলের ড্রোন ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে। এ রকম একটি ড্রোন হচ্ছে ডিজেআই ম্যাভিক-থ্রি, যেটির দাম ১৭০০ ডলার। ইউক্রেনের ড্রোন প্রস্তুতকারী একটি কোম্পানির হিসেবে, দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাছে আনুমানিক ৬ হাজারের মতো ডিজেআই ম্যাভিক-থ্রি ড্রোন আছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সামরিক ড্রোনের মতো বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত ড্রোনেও ছোট আকারের বোমা স্থাপন করা যায়। আবার ইউক্রেনের কাছে রাশিয়ার মতো বিপুল সংখ্যক অস্ত্র নেই। তাই শত্রুপক্ষকে ঘায়েল করতে বাণিজ্যিক এ ড্রোনগুলো অনেক বেশি ব্যবহার করছে ইউক্রেন।

back to top