alt

‘ক্রেডিট সুইস’ কিনতে আলোচনায় ইউবিএস ব্যাংক

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ১৯ মার্চ ২০২৩

সুইজারল্যান্ডের সবচেয়ে বড় ব্যাংক ইউবিএস তার প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের আংশিক বা পুরোটা কিনে নিতে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি ক্রেডিট সুইসের শেয়ারগুলো তীব্রভাবে হ্রাস পেয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ও সিগনেচার ব্যাংক বন্ধের আলোচনার মধ্যেই ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের দূরাবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ব্যাংক দুটির পতনের পর যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং খাত নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়।

বিবিসি জানিয়েছে, সমস্যা সমাধানে জরুরিভাবে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের দেওয়া ৫৪ বিলিয়ন ডলারও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারেনি। সোমবার ফের পুঁজিবাজার খোলার আগে নিয়ন্ত্রকরা একটি চুক্তির পথ খোলার চেষ্টা করছেন।

বুধবার ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের শেয়ারের ২৪ শতাংশ দরপতন হয়। ফলে ইউরোপীয় বাজারে ব্যাংকটির সম্পদ মূল্য আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে।

ক্রেডিট সুইসের ব্যাপারে শনিবার রাতে জরুরি বৈঠবে বসে সুইস সরকার। তবে ব্যাংকটির সঙ্গে সমঝোতার আলোচনা নিয়ে সরকারি কোনো বক্তব্য এখনো আসেনি।

রয়টার্সের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, ক্রেডিট সুইস ব্যাংক কিনতে ইউবিএস ব্যাংক সরকারকে ৬ বিলিয়ন ডলারের খরচ সামলাতে বলেছে। ব্যাংকটি কিনে নেওয়ার কোনো চুক্তি হলেই অসংখ্য মানুষকে চাকরি হারাতে হবে।

ক্রেডিট সুইস ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৫৬ সালে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগসহ বিভিন্ন কেলেঙ্কারির মুখে পড়ে ব্যাংকটি।

২০২২ সালে ব্যাংকটি ৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঙ্ক (৭.৯ বিলিয়ন ডলার) আর্থিক ক্ষতির কথা জানায়, ২০০৮ সালের পর সবথেকে খারাপ সময় ছিল সেটি। একইসঙ্গে ২০২৪ সালের আগ পর্যন্ত ব্যাংকটি যে লাভজনক অবস্থায় যেতে পারবে না, সেই আশঙ্কার কথাও জানিয়েছিল। অন্যদিকে ২০২২ সালে ইউবিএস ব্যাংক লাভ করে ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার।

দেশের ভেতরে ৯৫টি শাখায় কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি ক্রেডিট সুইসের বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ ব্যাংকিং কার্যক্রম রয়েছে এবং ধনী গ্রাহকদের সম্পদ পরিচালনা করে তারা।

বিশ্বের শীর্ষ ৩০টি ব্যাংকের একটি ক্রেডিট সুইস, যেটির পতন অর্থনীতিতে বিপর্যয় তৈরি করতে পারে। এ ব্যাংকগুলো আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ছবি

ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন করে ‘মুক্ত’ হতে চান নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

তেল বিক্রি বন্ধে ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

মায়ানমারে ১২১টি আসনে হবে না ভোটগ্রহণ, ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের

ছবি

দ্বিতীয়বার রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাজ্য গেলেন ট্রাম্প

ছবি

গাজায় এবার স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল, হত্যাযজ্ঞ চলছে

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন রাশিয়া-বেলারুশ সামরিক মহড়ায় কেন

ছবি

দক্ষিণ এশিয়াই কি জেন জি বিপ্লবের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে?

ছবি

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ বাড়ছে: জাতিসংঘ

ছবি

ওএবার ইউরোপকে তাড়িয়ে বেড়ানোর হুমকি রাশিয়ার

ছবি

গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল : জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন

ছবি

মুসলিম বিশ্ব নেটোর আদলে সামরিক বাহিনী গঠনে একমত

ছবি

গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ তদন্ত কমিশন

ছবি

ভেনেজুয়েলার মাদকবাহী জলযানে মার্কিন হামলা, নিহত ৩

ছবি

ইসরায়েলি আগ্রাসন ঠেকাতে মুসলিম দেশগুলোকে যৌথ সামরিক জোটের আহ্বান ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর

ছবি

ইউরোপকে সতর্ক করল রাশিয়া

ছবি

ওয়াকফ সংশোধনী আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

ছবি

তালেবান সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছে জার্মানি

ছবি

১০ হাজার ইসরায়লি সেনাকে মানসিক রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে

ছবি

দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানে বিপুল সমর্থন, নারাজ যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল

ছবি

নেপালে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে আবারও রাস্তায় জেন জি

ছবি

নেপালে বিক্ষোভে সহিংসতা: নিহত ৭২, আহত দুই হাজারের বেশি

ছবি

তেল কেনা বন্ধ করলেই রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে চার্লি কার্কের সমালোচনাকারীদের ওপর ক্ষুব্ধ আইনপ্রণেতারা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়া ‘খারাপ পরিণতি’ ডেকে আনবে

ছবি

লন্ডনে অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভে এক লাখের বেশি মানুষ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

ছবি

গাজা ছেড়েছে আরও আড়াই লাখ মানুষ

ছবি

বিপর্যস্ত নেপালের পর্যটন খাত, ২ দিনে ক্ষতি ২৫০০ কোটি রুপি

ছবি

নেপাল: দায়িত্ব নিয়েই নির্বাচনের তারিখ জানিয়ে দিলেন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান

ছবি

আফগানিস্তানে বন্দি থাকা মার্কিন নাগরিকদের বিষয় নিয়ে কাবুলে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা

ছবি

রাশিয়ার ড্রোন হামলা কোনো ভুল ছিল না: পোল্যান্ড

ছবি

উত্তর কোরিয়ায় বিদেশি চলচ্চিত্র দেখলেও মৃত্যুদণ্ড

ছবি

ইসরায়েলি হামলার পর ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী

ছবি

নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন সুশীলা কারকি

ছবি

হামাসমুক্ত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে ভোট

ছবি

কেন নেপালের এ সংকট দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

ছবি

পাকিস্তানে জঙ্গিদের হামলায় ১২ সেনা নিহত

tab

‘ক্রেডিট সুইস’ কিনতে আলোচনায় ইউবিএস ব্যাংক

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ১৯ মার্চ ২০২৩

সুইজারল্যান্ডের সবচেয়ে বড় ব্যাংক ইউবিএস তার প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের আংশিক বা পুরোটা কিনে নিতে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি ক্রেডিট সুইসের শেয়ারগুলো তীব্রভাবে হ্রাস পেয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ও সিগনেচার ব্যাংক বন্ধের আলোচনার মধ্যেই ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের দূরাবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ব্যাংক দুটির পতনের পর যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং খাত নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়।

বিবিসি জানিয়েছে, সমস্যা সমাধানে জরুরিভাবে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের দেওয়া ৫৪ বিলিয়ন ডলারও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারেনি। সোমবার ফের পুঁজিবাজার খোলার আগে নিয়ন্ত্রকরা একটি চুক্তির পথ খোলার চেষ্টা করছেন।

বুধবার ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের শেয়ারের ২৪ শতাংশ দরপতন হয়। ফলে ইউরোপীয় বাজারে ব্যাংকটির সম্পদ মূল্য আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে।

ক্রেডিট সুইসের ব্যাপারে শনিবার রাতে জরুরি বৈঠবে বসে সুইস সরকার। তবে ব্যাংকটির সঙ্গে সমঝোতার আলোচনা নিয়ে সরকারি কোনো বক্তব্য এখনো আসেনি।

রয়টার্সের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, ক্রেডিট সুইস ব্যাংক কিনতে ইউবিএস ব্যাংক সরকারকে ৬ বিলিয়ন ডলারের খরচ সামলাতে বলেছে। ব্যাংকটি কিনে নেওয়ার কোনো চুক্তি হলেই অসংখ্য মানুষকে চাকরি হারাতে হবে।

ক্রেডিট সুইস ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৫৬ সালে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগসহ বিভিন্ন কেলেঙ্কারির মুখে পড়ে ব্যাংকটি।

২০২২ সালে ব্যাংকটি ৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঙ্ক (৭.৯ বিলিয়ন ডলার) আর্থিক ক্ষতির কথা জানায়, ২০০৮ সালের পর সবথেকে খারাপ সময় ছিল সেটি। একইসঙ্গে ২০২৪ সালের আগ পর্যন্ত ব্যাংকটি যে লাভজনক অবস্থায় যেতে পারবে না, সেই আশঙ্কার কথাও জানিয়েছিল। অন্যদিকে ২০২২ সালে ইউবিএস ব্যাংক লাভ করে ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার।

দেশের ভেতরে ৯৫টি শাখায় কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি ক্রেডিট সুইসের বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ ব্যাংকিং কার্যক্রম রয়েছে এবং ধনী গ্রাহকদের সম্পদ পরিচালনা করে তারা।

বিশ্বের শীর্ষ ৩০টি ব্যাংকের একটি ক্রেডিট সুইস, যেটির পতন অর্থনীতিতে বিপর্যয় তৈরি করতে পারে। এ ব্যাংকগুলো আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

back to top