alt

চা আর রুটি খেয়ে চলছে আফগান নারীদের রোজা পালন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

আফগানিস্তানের অথর্নীতি ভেঙে পড়ায় চরম দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে দেশটির জনগণ। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। ফলে অনেকের পক্ষে খাবার কিনে খাওয়ার সক্ষমতা নেই। এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে দেশটির নারীরা। অনেকের খাবার প্লেটে জুটছে শুধু চা আর রুটি।

২০২১ সালের আগস্টে তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর দেশটিতে দৈনন্দিন ব্যয় আর খাবারের দাম আকাশচুম্বী হয়ে যায়। অধিকাংশ মানুষ কর্মক্ষম হলেও বেকার হয়ে পড়েছেন।

জাতিসংঘের তথ্য মতে, দেশটির ২ কোটি ৮০ লাখ মানুষ খাদ্য সহায়তার জন্য অন্যের ওপর নির্ভরশীল। তবে সেই সহায়তাও সীমিত। কারণ বড় বড় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো তালেবান সরকারের সঙ্গে কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।

অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে আফগান পরিবারগুলোর সুস্বাদু খাবার তৈরি করার সামর্থ্য নেই।

কাবুলের একটি কিন্ডারগার্টেনের প্রধান ও সাবেক নারী মানবাধিকার কর্মী শামসিয়া হাসানজাদা আরব নিউজকে বলেন, ‘আগে আমরা ইফতার ও সেহরি তৈরি করতাম একসঙ্গে এবং শুধু নিজেদের জন্য নয়। নিরাপত্তাকর্মী ও আমাদের আশেপাশে বসবাসকারী লোকজনকে নিয়েও ইফতারের আয়োজন করা হতো। কিন্তু গ্রিন-টি ও শুকনো রুটি ছাড়া এখন আমাদের কিছুই নেই ‘

তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫ জন। সবাই আগে কাজ করতো। কিন্তু এখন একজন কাজ করেন। এই একজনের আয় পুরো পরিবারের খরচ চালানোর জন্য যথেষ্ট নয়।

মোহাম্মদ নাঈম নামে কাবুলের এক বাসিন্দা বলেন, মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর থেকে দেশটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু অর্থনৈতিক সংকট আমাদের অশান্তির বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভাবের কারণে কাপড় পর্যন্ত কিনতে পারছি না।

তিনি বলেন, আগে ইফতারে অনেক খাবারের আয়োজন থাকতো। সেহরিতেও থাকতো কয়েক ধরনের খাবার। কিন্তু এখন আমাদের কোনো খাবার নেই। বাজার থেকে মাংস কেনার সার্মথ্যও নেই। তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের আগে মোহাম্মদ নাঈম তৎকালীন প্রশাসনের অধীনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গাড়িচালক ছিলেন।

২০ বছরের আফগান যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে ২০২১ সালের ৩১ আগস্ট দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহার সমাপ্তি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর রাজধানী কাবুল দখল করে নেয় তালেবান। তবে পরিস্থিতি শান্ত হলেও অর্থনৈতিক দুরবস্থা সেই মানুষের শান্তি কেড়ে নিয়েছে।

ছবি

পশ্চিম ইউক্রেইনের টার্নোপিলে রাশিয়ার ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা: শিশু সহ নিহত ২৫

ছবি

রাখাইনে সংঘাত তীব্র, আরাকান আর্মির হামলায় ৩০ জান্তা সেনা নিহত

ছবি

রাখাইনে সংঘাত তীব্র, আরাকান আর্মির হামলায় ৩০ জান্তা সেনা নিহত

ছবি

মহাকাশে আরও তীব্র হচ্ছে সামরিক প্রতিযোগিতা

ছবি

গাজায় ঐতিহাসিক প্রাসাদ ধ্বংস, ২০ হাজারের বেশি প্রত্নবস্তু লুট

ছবি

হামাসকে গাজা থেকে বহিষ্কারের আহ্বান নেতানিয়াহুর

ছবি

সৌদি আরবকে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

ছবি

সংবিধান সংশোধনীর পর পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের হাতে কত ক্ষমতা গেল

ছবি

ভারতীয়দের ভিসামুক্ত প্রবেশ বন্ধ করছে ইরান

ছবি

ব্রিটেনে নতুন আশ্রয়নীতি, ক্ষমতাসীন দলের ভেতরেই তীব্র আপত্তি

ছবি

এআই অন্ধভাবে বিশ্বাস করবেন না: সুন্দর পিচাই

ছবি

আফ্রিকার ৬ দেশে সেনা উপস্থিতি বাড়াচ্ছে রাশিয়া

ছবি

তহবিল ঘাটতি, প্রকট হচ্ছে ক্ষুধা সংকট, জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

ছবি

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে কী আছে

ছবি

ভারতে ২৬টি হামলার নেতৃত্বদানকারী শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডার হিদমা অভিযানে নিহত

ছবি

সড়ক দুর্ঘটনায় সৌদি আরবে ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী নিহত

ছবি

ভেনেজুয়েলায় মাদুরোকে উৎখাতের প্রচেষ্টা ট্রাম্পের!

ছবি

ডান-বামে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে দ্বিতীয় দফায় গড়াল চিলির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

ছবি

পাকিস্তানের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরতা কমাতে চায় আফগানিস্তান

ছবি

তাইওয়ান আক্রান্ত হলে চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাবে জাপান

ছবি

যুদ্ধবিরতির এক মাস পরও গাজার সুড়ঙ্গগুলোয় কেন আটকে আছেন হামাস

ছবি

শার্লটে অবৈধ অভিবাসীবিরোধী ফেডারেল অভিযান শুরু

ছবি

এবার মেক্সিকোতে জেন-জি ধাঁচে বিক্ষোভ

ছবি

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২২ হাজারের বেশি বিদেশি গ্রেপ্তার

ছবি

ফিলিপাইনে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি

ছবি

ট্রাম্প বনাম বিবিসির লড়াই, এরপর কী

ছবি

নীতিতে সংস্কার, আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্য

ছবি

কপে মতবিরোধ তীব্র, চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা

ছবি

মামদানির প্রশাসনে কাজ করতে ৫০ হাজার আবেদন

ছবি

গ্রেপ্তার ও বিচার থেকে আজীবন দায়মুক্তি পেলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান

ছবি

এপস্টেইন–ক্লিনটন সম্পর্কসহ প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে তদন্তে নির্দেশ ট্রাম্পের, নজরদারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ

ছবি

জম্মু-কাশ্মীরে থানায় বিস্ফোরণে নিহত ৯

ছবি

ক্ষমা চেয়েও রক্ষা হচ্ছে না বিবিসির, মামলা করছেন ট্রাম্প

ছবি

মূল্যস্ফীতির শঙ্কায় খাদ্যদ্রব্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প

ছবি

চীন সীমান্তে নতুন বিমানঘাঁটি চালু করল ভারত

ছবি

নীরবে যুদ্ধোত্তর গাজার নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে হামাস

tab

চা আর রুটি খেয়ে চলছে আফগান নারীদের রোজা পালন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

আফগানিস্তানের অথর্নীতি ভেঙে পড়ায় চরম দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে দেশটির জনগণ। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। ফলে অনেকের পক্ষে খাবার কিনে খাওয়ার সক্ষমতা নেই। এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে দেশটির নারীরা। অনেকের খাবার প্লেটে জুটছে শুধু চা আর রুটি।

২০২১ সালের আগস্টে তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর দেশটিতে দৈনন্দিন ব্যয় আর খাবারের দাম আকাশচুম্বী হয়ে যায়। অধিকাংশ মানুষ কর্মক্ষম হলেও বেকার হয়ে পড়েছেন।

জাতিসংঘের তথ্য মতে, দেশটির ২ কোটি ৮০ লাখ মানুষ খাদ্য সহায়তার জন্য অন্যের ওপর নির্ভরশীল। তবে সেই সহায়তাও সীমিত। কারণ বড় বড় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো তালেবান সরকারের সঙ্গে কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।

অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে আফগান পরিবারগুলোর সুস্বাদু খাবার তৈরি করার সামর্থ্য নেই।

কাবুলের একটি কিন্ডারগার্টেনের প্রধান ও সাবেক নারী মানবাধিকার কর্মী শামসিয়া হাসানজাদা আরব নিউজকে বলেন, ‘আগে আমরা ইফতার ও সেহরি তৈরি করতাম একসঙ্গে এবং শুধু নিজেদের জন্য নয়। নিরাপত্তাকর্মী ও আমাদের আশেপাশে বসবাসকারী লোকজনকে নিয়েও ইফতারের আয়োজন করা হতো। কিন্তু গ্রিন-টি ও শুকনো রুটি ছাড়া এখন আমাদের কিছুই নেই ‘

তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫ জন। সবাই আগে কাজ করতো। কিন্তু এখন একজন কাজ করেন। এই একজনের আয় পুরো পরিবারের খরচ চালানোর জন্য যথেষ্ট নয়।

মোহাম্মদ নাঈম নামে কাবুলের এক বাসিন্দা বলেন, মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর থেকে দেশটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু অর্থনৈতিক সংকট আমাদের অশান্তির বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভাবের কারণে কাপড় পর্যন্ত কিনতে পারছি না।

তিনি বলেন, আগে ইফতারে অনেক খাবারের আয়োজন থাকতো। সেহরিতেও থাকতো কয়েক ধরনের খাবার। কিন্তু এখন আমাদের কোনো খাবার নেই। বাজার থেকে মাংস কেনার সার্মথ্যও নেই। তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের আগে মোহাম্মদ নাঈম তৎকালীন প্রশাসনের অধীনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গাড়িচালক ছিলেন।

২০ বছরের আফগান যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে ২০২১ সালের ৩১ আগস্ট দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহার সমাপ্তি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর রাজধানী কাবুল দখল করে নেয় তালেবান। তবে পরিস্থিতি শান্ত হলেও অর্থনৈতিক দুরবস্থা সেই মানুষের শান্তি কেড়ে নিয়েছে।

back to top