যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বিশ্বাস, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সরকারি বাসভবন ক্রেমলিনে এ মাসে হওয়া ড্রোন হামলা ইউক্রেইনের গুপ্তচররা কিংবা সামরিক গোয়েন্দারা পরিচালনা করেছে।

‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ এ খবর জানিয়েছে। পত্রিকাটিতে বলা হয়েছে, ওই হামলা কয়েক দফা গোপন অভিযানেরই অংশ, যা ইউক্রেইনের সবচেয়ে বড় সামরিক হাতিয়ার সরবরাহকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্রে কর্মকর্তাদেরকে অস্বস্তিতে ফেলেছে।

রাশিয়া এবং ইউক্রেইনের যোগাযোগে আড়িপেতে এর ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন হামলা সম্পর্কে ওই ধারণা প্রকাশ করেছে। ইউক্রেইনের যোগাযোগে আড়িপেতে কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের ধারণা, দেশটি ড্রোন হামলার জন্য দায়ী।

ওদিকে, রাশিয়ার যোগাযোগে আড়িপেতে কর্মকর্তারা বলেছেন, এটি রাশিয়ার কোনও সাজানো অভিযান নয় বলেই ইঙ্গিত মিলেছে।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের এই প্রতিবেদন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, “আমরা তাৎক্ষণিকভাবেই বলেছিলাম, এ হামলার পেছনে আছে কিইভ সরকার। আমরা এটি জানি। এ ব্যাপারে আমরা ওয়াকিবহাল।”

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সব গোপন অভিযান বন্ধ করে দিয়েছেন বলে তারা বিশ্বাস করেন না। আগামীতে এ ধরনের অভিযানের ব্যাপারে তিনি কতটুকু জানেন তাও স্পষ্ট নয়।

গত ৩ মে ক্রেমলিনে ইউক্রেইনের ড্রোন হামলার অভিযোগ করে রাশিয়া বলেছিল, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যা করার চেষ্টাতেই এ হামলা চালানো হয়।

ক্রেমলিনের দূর্গে এ হামলায় দুটো ড্রোন ব্যবহার করা হয়। তবে হামলাটি ব্যর্থ হয়। ইউক্রেইন তখন তাৎক্ষণিকভাবে এ হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছিল।

রাশিয়া পরে এ ড্রোন হামলার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রও জড়িত আছে বলে অভিযোগ করে। তবে ওয়াশিংটন এ অভিযোগ অস্বীকার করে।

সূত্র: রয়টার্স