image

এরদোয়ান নাকি কিরিকদারোগলু, কাকে বেছে নেবেন তুর্কিরা

রোববার, ২৮ মে ২০২৩
সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

নিজেদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও ভোট দিচ্ছেন তুর্কিরা । দেশটির জনগণের ভোটে যিনি বিজয়ী হবেন, আগামী পাঁচ বছর দেশটির নেতৃত্ব দেবেন তিনি।]

প্রথম পর্বের ভোটে এগিয়ে থাকলেও নির্বাচিত হতে পারেননি তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তুরস্কের নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী প্রেসিডেন্টকে ৫০ শতাংশ সমর্থন পেতে হয়। এরদোয়ান পেয়েছিলেন ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ ভোট। তার প্রধান প্রতিপক্ষ কেমাল কিলিকদারোগলু পেয়েছিলেন ৪৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোট।

ভোটে তৃতীয় স্থান পেয়েছিলেন সিনান ওগান। তিনি পেয়েছিলেন পাঁচ দশমিক ২০ ভাগ ভোট। গত ২২ মে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দ্বিতীয় দফা ভোটে এরদোয়ানকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছেন তিনি।

প্রথম পর্বের ভোটের এরদোয়ানের দল পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। ওগানের বক্তব্য, তার দল মনে করে, পার্লামেন্টে যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে, প্রেসিডেন্ট সেই দল থেকেই হওয়া উচিত। আর তাই এরদোয়ানকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

ওগান বলেন, রাজনৈতিক মতানৈক্য থাকতেই পারে। কিন্তু সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। আর সে কারণেই আমি এরদোয়ানকে সমর্থন করছি। আর কিলিচদারোগলু এমন এক বিরোধী জোটের প্রতিনিধি, যে জোটকে কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না।

এ সমর্থনের কারণে এরদোয়ানের জয়কে সময়ের অপেক্ষা হিসেবে দেখছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। তবে অনেকের দাবি, এটাই শেষ কথা নয়। ভোটের দিন দেশটির জনগণই সিদ্ধান্ত নেবেন, কার ওপর তারা আস্থা রাখতে চান দেশটির ভোটাররা এমন এক সময়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, যার তিন মাস আগেই ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে তছনছ হয়েছে দেশটি।

প্রথম পর্বে বিভিন্ন জরিপে ধর্মনিরপেক্ষ রিপাবলিকান পিপলস পার্টির নেতা (সিএইচপি) কেমাল বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের থেকে সামান্য এগিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু নিজের রাজনৈতিক জীবনে প্রথমবারের মতো তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়লেও, এসব জরিপকে ভুল প্রমাণ করেছেন এরদোয়ান।

এরদোয়ানের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় সমালোচনা হচ্ছে, তার সরকার ভিন্নমতকে স্তব্ধ করে রেখেছেন। এমনকি দেশের বিচার ব্যবস্থাকেও কুক্ষিগত করে রেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এরদোয়ান।

এসব কারণেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ তুরস্কের নির্বাচন। শেষ পর্যন্ত যিনি জয়ী হবেন, তিনি শুধু নেটোভুক্ত দেশটির সাড়ে কোটি মানুষের নেতৃত্বই দেবেন না, বরং গভীর খাদে পড়া অর্থনীতিকেও টেনে তোলা ও পররাষ্ট্র নীতি সংস্কারের মতো চ্যালেঞ্জিং কাজ করবেন।

‘আন্তর্জাতিক’ : আরও খবর

» ব্রিজিত বার্দো: আলোড়ন, আবেদন ও বিতর্কের এক কিংবদন্তির বিদায়

সম্প্রতি