alt

আন্তর্জাতিক

ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ জানালেন ভারতের রেলমন্ত্রী

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ০৪ জুন ২০২৩

ভারতের ওড়িশায় শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটা ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনাটি ভুল সিগন্যালের কারণে হয়েছে। রেলমন্ত্রী অশিনি বৈষ্ণ রোববার (৪ জুন) জানিয়েছেন, সেখানে থাকা ইলেকট্রনিক সিগন্যালের ত্রুটির কারণেই ৩০০ মানুষের প্রাণ গেছে।

এছাড়া প্রাথমিক তদন্তেও বের হয়েছে শুধুমাত্র সিগন্যালের ভুলের কারণে স্মরণকালের ভয়াবহ এ রেল দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।

বার্তাসংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ওড়িশার বালেশ্বরের যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে চারটি লাইন ছিল। যেগুলোর মধ্যে দুটি মেইন লাইন। আর দুটি লুপ লাইন।

১২৭ কিলোমিটার গতিতে এগিয়ে আসা সালিমার-চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের মেইন লাইন দিয়ে চলে যাওয়ার কথা ছিল। এজন্য মেইন লাইনে সিগন্যালও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সিগন্যাল আবার বন্ধ করে পাশের লুপ লাইনে দেওয়া হয়। ওই সময় লুপ লাইনে আগে থেকেই দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনকে পেছন থেকে প্রচণ্ড জোরে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এতে ট্রেনটির বেশিরভাগ বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এর কয়েক মিনিট পরই ব্যাঙ্গালুরু থেকে আসা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস করমণ্ডলের বগিগুলোতে ধাক্কা মারে।

দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এটি পয়েন্ট মেশিন, ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং। যে পরিবর্তন ইলেকট্রনিক ইন্টারলিংকের সময় হয়েছিল, সে কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। কে সিগন্যাল দিয়ে আবার বন্ধ করে দিয়েছে এবং এটির পেছনের কারণ কী সেটি তদন্তের পর বেরিয়ে আসবে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার আসল কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। আমি বিস্তারিততে যাব না। তদন্ত প্রতিবেদন আসুক। আমি শুধু বলব আসল কারণ এবং কারা দায়ী সেটি চিহ্নিত হয়েছে।’

এদিকে শুক্রবার রাতে দুর্ঘটনা ঘটার পর আহত ও নিহতদের উদ্ধারে ১৮ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান চলে। এখন রেললাইন পরিষ্কার ও ক্ষতিগ্রস্ত বগিগুলো সরানোর কাজ চলছে।

তিন ট্রেনের সংঘর্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ২৭৫ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে ভারত। যদিও একবার বলা হয়েছিল, এ ঘটনায় ২৮৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে মৃতদেহ পুনর্গণনা শেষে সংখ্যাটি কমানো হয়।

ভারতের নয়াদিল্লিতে ১৯৯৫ সালে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩৫৮ জন নিহত হন। যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রেল দুর্ঘটনা। এছাড়া ২০১৬ সালে ইন্দোর ও পাটনা শহরের মাঝামাঝি একটি জায়গায় ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ১৪৬ জন মারা যান।

সূত্র: এনডিটিভি, দ্য গার্ডিয়ান

ছবি

ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে লাহোরে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অচল, সীমান্তজুড়ে

ছবি

উত্তরকাশীতে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত, একজন আহত

ছবি

অভাব, ক্ষুধা ও হতাশায় অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে গাজাবাসী

ছবি

রাজস্থান-পাঞ্জাবে সতর্কতা, পুলিশের ছুটি বাতিল-প্রস্তুত মিসাইল

ভারতের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেওয়া হবে: জয়শঙ্কর

দুই দেশকেই ভালোভাবে চিনি, এই সংঘাত বন্ধ হোক : ট্রাম্প

ইসরায়েলি ২৫ ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান

ছবি

ভূস্বর্গ কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের সূত্রপাত কোথায়

ছবি

‘অপারেশন সিঁদুর’ চলমান, পাল্টা জবাব দেবে ভারত: রাজনাথ সিং

ছবি

পাকিস্তানে ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত, উত্তেজনা চরমে

কাশ্মীর সীমান্তে রাতভর গোলাগুলি

ছবি

সকালে লাহোরে বিস্ফোরণের শব্দ

ছবি

আমরা একে অপরের শত্রু নই: ভারত-পাকিস্তানকে মালালার শান্তির বার্তা

ছবি

পোপ নির্বাচনে প্রথম দফায় ফল শূন্য, চিমনি দিয়ে কালো ধোঁয়া

ছবি

আবারও মঙ্গলবারেই বদলার বার্তা, বালাকোট ও অপারেশন সিঁদুরে মিল খুঁজে পাচ্ছে বিশ্লেষকরা

ছবি

কাশ্মীরে হামলার জেরে পাকিস্তান ও নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’

ছবি

ভারতের হামলাকে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ বলে নিন্দা পাকিস্তানের

পাক-ভারত যুদ্ধ, বিজয়ী হবে কে?

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের উত্তাপ, বিশ্বনেতাদের প্রতিক্রিয়া

গাজায় হামাসের হাতে আটক ২১ জিম্মি জীবিত আছেন : ট্রাম্প

‘শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়ব’ ইমরান খানের বার্তা

ছবি

ভারত-পাকিস্তানের যত যুদ্ধ

ছবি

ভারতের হামলায় মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্যসহ ১৪ জন নিহত

ছবি

ভারতের হামলার পর পাঞ্জাবে জরুরি অবস্থা, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

ছবি

বেলুচিস্তানে বোমা হামলায় ৭ পাকিস্তানি সেনা নিহত

ছবি

ভারতের পাঁচ যুদ্ধবিমান ‘ভূপাতিত’ করার দাবি পাকিস্তানের

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পাকিস্তানের গুলিতে নিহত ৩: দাবি দিল্লির

ছবি

পাকিস্তানে ভারতের হামলাকে ‘লজ্জাজনক’ বললেন ট্রাম্প, জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ

ছবি

জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করেই হামলা: ভারতের দাবি

ছবি

পাকিস্তানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত অন্তত ৮

ছবি

ভারত-পাকিস্তানের অত্যাধুনিক সমরসজ্জা সংঘাতের শঙ্কা কয়েক গুণ বাড়িয়েছে

ছবি

মুহুর্মুহু ড্রোন হামলার পর মস্কোর সব বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা

নথিবিহীন অভিবাসীরা স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করলে পাবেন পুরস্কার

ভারত-পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ সংযমের’ আহ্বান জাতিসংঘের

ফিলিস্তিনি লেখক পেলেন পুলিৎজার পুরস্কার

ছবি

একসঙ্গে ৪ দেশে হামলা চালাল ইসরায়েল

tab

আন্তর্জাতিক

ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ জানালেন ভারতের রেলমন্ত্রী

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ০৪ জুন ২০২৩

ভারতের ওড়িশায় শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটা ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনাটি ভুল সিগন্যালের কারণে হয়েছে। রেলমন্ত্রী অশিনি বৈষ্ণ রোববার (৪ জুন) জানিয়েছেন, সেখানে থাকা ইলেকট্রনিক সিগন্যালের ত্রুটির কারণেই ৩০০ মানুষের প্রাণ গেছে।

এছাড়া প্রাথমিক তদন্তেও বের হয়েছে শুধুমাত্র সিগন্যালের ভুলের কারণে স্মরণকালের ভয়াবহ এ রেল দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।

বার্তাসংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ওড়িশার বালেশ্বরের যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে চারটি লাইন ছিল। যেগুলোর মধ্যে দুটি মেইন লাইন। আর দুটি লুপ লাইন।

১২৭ কিলোমিটার গতিতে এগিয়ে আসা সালিমার-চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের মেইন লাইন দিয়ে চলে যাওয়ার কথা ছিল। এজন্য মেইন লাইনে সিগন্যালও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সিগন্যাল আবার বন্ধ করে পাশের লুপ লাইনে দেওয়া হয়। ওই সময় লুপ লাইনে আগে থেকেই দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনকে পেছন থেকে প্রচণ্ড জোরে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এতে ট্রেনটির বেশিরভাগ বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এর কয়েক মিনিট পরই ব্যাঙ্গালুরু থেকে আসা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস করমণ্ডলের বগিগুলোতে ধাক্কা মারে।

দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এটি পয়েন্ট মেশিন, ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং। যে পরিবর্তন ইলেকট্রনিক ইন্টারলিংকের সময় হয়েছিল, সে কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। কে সিগন্যাল দিয়ে আবার বন্ধ করে দিয়েছে এবং এটির পেছনের কারণ কী সেটি তদন্তের পর বেরিয়ে আসবে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার আসল কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। আমি বিস্তারিততে যাব না। তদন্ত প্রতিবেদন আসুক। আমি শুধু বলব আসল কারণ এবং কারা দায়ী সেটি চিহ্নিত হয়েছে।’

এদিকে শুক্রবার রাতে দুর্ঘটনা ঘটার পর আহত ও নিহতদের উদ্ধারে ১৮ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান চলে। এখন রেললাইন পরিষ্কার ও ক্ষতিগ্রস্ত বগিগুলো সরানোর কাজ চলছে।

তিন ট্রেনের সংঘর্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ২৭৫ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে ভারত। যদিও একবার বলা হয়েছিল, এ ঘটনায় ২৮৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে মৃতদেহ পুনর্গণনা শেষে সংখ্যাটি কমানো হয়।

ভারতের নয়াদিল্লিতে ১৯৯৫ সালে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩৫৮ জন নিহত হন। যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রেল দুর্ঘটনা। এছাড়া ২০১৬ সালে ইন্দোর ও পাটনা শহরের মাঝামাঝি একটি জায়গায় ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ১৪৬ জন মারা যান।

সূত্র: এনডিটিভি, দ্য গার্ডিয়ান

back to top