alt

রাশিয়াকে ড্রোন তৈরিতে সহায়তা করছে ইরান : যুক্তরাষ্ট্র

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ১০ জুন ২০২৩

মস্কোর কাছে ড্রোন উৎপাদন কারখানা তৈরিতে ইরান রাশিয়াকে সহায়তা করছে বলে অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলেছে, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য এমন উদ্যোগ নিয়েছে তেহরান।

মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ তোলেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি । তিনি বলেন, ‘ইরান এই প্ল্যান্টের জন্য সহায়তা দিয়েছে। এটি আগামী বছরের শুরুর দিকে চালু হতে পারে।’

ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য শত শত ড্রোন বা মনুষ্যবিহীন এরিয়াল ভেহিকেল (ইউএভি) রাশিয়ায় ইরান পাঠাচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। বিবৃতিতে কিরবি বলেন, ‘রাশিয়া সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কিয়েভে হামলা এবং ইউক্রেনের জনগণকে আতঙ্কিত করতে ইরানি ইউএভি ব্যবহার করছে। এতে রাশিয়া-ইরান সামরিক অংশীদারিত্ব আরও গভীর হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা উদ্বিগ্ন। রাশিয়ার অভ্যন্তরে ইরানি ইউএভি তৈরি করতে তেহরানের সঙ্গে কাজ করছে মস্কো।’ ইউক্রেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর আগে বাইডেন অভিযোগ করেছিল, ইরান এবং রাশিয়া মস্কোর অভ্যন্তরে একটি ড্রোন নির্মাণকেন্দ্র স্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছে।

কিরবি বলেন, ‘মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এখন বিশ্বাস করেন যে মস্কো থেকে কয়েকশ মাইল পূর্বে আলাবুগা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে উৎপাদন কারখানা স্থাপন করা হচ্ছে।’

রাশিয়া এবং ইরান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করেছে। তারা অস্ত্র বিক্রিও বাড়িয়েছে। দুই দেশকে অর্থনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন প্রচেষ্টাকে তারা বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যাচ্ছে।

কিরবি বলেন, ‘ইরান রাশিয়ায় ড্রোন পাঠানো অব্যাহত রেখেছে। কাস্পিয়ান সাগর পেরিয়ে রাশিয়ার মাখাচকালা বন্দরে এগুলো পাঠাচ্ছে।’ যদিও ইউক্রেনে ইরানের তৈরি ড্রোন ব্যবহারের কথা অস্বীকার করেছে রাশিয়া।

তবে রাশিয়ায় ড্রোন পাঠানোর কথা স্বীকার করেছে ইরান। তারা বলেছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের আগে এগুলো সরবরাহ করা হয়েছিল।

জাতিসংঘ বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। যুদ্ধ প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষকে করেছে বাস্তুচ্যুত।

ছবি

সড়ক দুর্ঘটনায় সৌদি আরবে ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী নিহত

ছবি

ভেনেজুয়েলায় মাদুরোকে উৎখাতের প্রচেষ্টা ট্রাম্পের!

ছবি

ডান-বামে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে দ্বিতীয় দফায় গড়াল চিলির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

ছবি

পাকিস্তানের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরতা কমাতে চায় আফগানিস্তান

ছবি

তাইওয়ান আক্রান্ত হলে চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাবে জাপান

ছবি

যুদ্ধবিরতির এক মাস পরও গাজার সুড়ঙ্গগুলোয় কেন আটকে আছেন হামাস

ছবি

শার্লটে অবৈধ অভিবাসীবিরোধী ফেডারেল অভিযান শুরু

ছবি

এবার মেক্সিকোতে জেন-জি ধাঁচে বিক্ষোভ

ছবি

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২২ হাজারের বেশি বিদেশি গ্রেপ্তার

ছবি

ফিলিপাইনে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি

ছবি

ট্রাম্প বনাম বিবিসির লড়াই, এরপর কী

ছবি

নীতিতে সংস্কার, আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্য

ছবি

কপে মতবিরোধ তীব্র, চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা

ছবি

মামদানির প্রশাসনে কাজ করতে ৫০ হাজার আবেদন

ছবি

গ্রেপ্তার ও বিচার থেকে আজীবন দায়মুক্তি পেলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান

ছবি

এপস্টেইন–ক্লিনটন সম্পর্কসহ প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে তদন্তে নির্দেশ ট্রাম্পের, নজরদারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ

ছবি

জম্মু-কাশ্মীরে থানায় বিস্ফোরণে নিহত ৯

ছবি

ক্ষমা চেয়েও রক্ষা হচ্ছে না বিবিসির, মামলা করছেন ট্রাম্প

ছবি

মূল্যস্ফীতির শঙ্কায় খাদ্যদ্রব্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প

ছবি

চীন সীমান্তে নতুন বিমানঘাঁটি চালু করল ভারত

ছবি

নীরবে যুদ্ধোত্তর গাজার নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে হামাস

ছবি

দিল্লি বিস্ফোরণে কাশ্মীর-সংযোগ খতিয়ে দেখছে ভারতীয় পুলিশ

ছবি

ল্যাটিন আমেরিকায় নতুন সামরিক অভিযানের ঘোষণা

ছবি

পশ্চিম তীরে মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিশ্বসম্প্রদায়ের তীব্র নিন্দা

ছবি

গাজায় বাহিনী গঠনের মার্কিন প্রস্তাবে আপত্তি চীন-রাশিয়ার

ছবি

আমাজনের উল্টো আচরণ

ছবি

ট্রাম্প কেন পুতিনকে যুদ্ধ থামাতে রাজি করাতে পারছেন না?

ছবি

২৩০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হচ্ছে এক সেন্টের মুদ্রা উৎপাদন

ছবি

জলবায়ু সংকট আসলে স্বাস্থ্য সংকট: ডব্লিউএইচও

ছবি

মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র মজুত করছে রাশিয়া: ম্যাখোঁ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো ইতিহাসের দীর্ঘতম শাটডাউন

ছবি

আফগানিস্তানের প্রতি ১০ পরিবারের ৯টিই অনাহার বা ঋণে জর্জরিত

ছবি

নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদে বিস্ফোরণ, কাকতালীয় নাকি ষড়যন্ত্র

ছবি

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জারা: মামদানির নির্বাচনী প্রচারে নেপথ্য কুশলী

ছবি

ভেনেজুয়েলা যেকোনও মার্কিন সামরিক আগ্রাসন মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনী প্রস্তুত: প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ছবি

চীনের কার্বন নিঃসরণ কখনও কম, কখনও স্থিতিশীল

tab

রাশিয়াকে ড্রোন তৈরিতে সহায়তা করছে ইরান : যুক্তরাষ্ট্র

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ১০ জুন ২০২৩

মস্কোর কাছে ড্রোন উৎপাদন কারখানা তৈরিতে ইরান রাশিয়াকে সহায়তা করছে বলে অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলেছে, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য এমন উদ্যোগ নিয়েছে তেহরান।

মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ তোলেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি । তিনি বলেন, ‘ইরান এই প্ল্যান্টের জন্য সহায়তা দিয়েছে। এটি আগামী বছরের শুরুর দিকে চালু হতে পারে।’

ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য শত শত ড্রোন বা মনুষ্যবিহীন এরিয়াল ভেহিকেল (ইউএভি) রাশিয়ায় ইরান পাঠাচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। বিবৃতিতে কিরবি বলেন, ‘রাশিয়া সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কিয়েভে হামলা এবং ইউক্রেনের জনগণকে আতঙ্কিত করতে ইরানি ইউএভি ব্যবহার করছে। এতে রাশিয়া-ইরান সামরিক অংশীদারিত্ব আরও গভীর হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা উদ্বিগ্ন। রাশিয়ার অভ্যন্তরে ইরানি ইউএভি তৈরি করতে তেহরানের সঙ্গে কাজ করছে মস্কো।’ ইউক্রেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর আগে বাইডেন অভিযোগ করেছিল, ইরান এবং রাশিয়া মস্কোর অভ্যন্তরে একটি ড্রোন নির্মাণকেন্দ্র স্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছে।

কিরবি বলেন, ‘মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এখন বিশ্বাস করেন যে মস্কো থেকে কয়েকশ মাইল পূর্বে আলাবুগা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে উৎপাদন কারখানা স্থাপন করা হচ্ছে।’

রাশিয়া এবং ইরান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করেছে। তারা অস্ত্র বিক্রিও বাড়িয়েছে। দুই দেশকে অর্থনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন প্রচেষ্টাকে তারা বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যাচ্ছে।

কিরবি বলেন, ‘ইরান রাশিয়ায় ড্রোন পাঠানো অব্যাহত রেখেছে। কাস্পিয়ান সাগর পেরিয়ে রাশিয়ার মাখাচকালা বন্দরে এগুলো পাঠাচ্ছে।’ যদিও ইউক্রেনে ইরানের তৈরি ড্রোন ব্যবহারের কথা অস্বীকার করেছে রাশিয়া।

তবে রাশিয়ায় ড্রোন পাঠানোর কথা স্বীকার করেছে ইরান। তারা বলেছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের আগে এগুলো সরবরাহ করা হয়েছিল।

জাতিসংঘ বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। যুদ্ধ প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষকে করেছে বাস্তুচ্যুত।

back to top