alt

ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনতে ‘জিরো ডিজিটাল ডিভাইড’ গ্লোবাল ক্যাম্পেইন উদ্বোধন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী শুরু হচ্ছে #জিরো_ডিজিটাল_ডিভাইড শীর্ষক এক গ্লোবাল ক্যাম্পেইন। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে এই ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব ও ইউএনডিপির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক কান্নি উইগনারাজা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এবং ইউএনডিপি যৌথভাবে এ প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার ও তাতে অংশগ্রহণে সমতা নিশ্চিত করতে ই-কোয়ালিটি সেন্টার চালু করছে বাংলাদেশ। সেই সেন্টার প্রতিষ্ঠাকে ঘিরে ডিজিটাল বৈষম্য শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এই বৈশ্বিক ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে বিশ্বের পিছিয়ে পড়া দেশগুলোতে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই ডিজিটাল ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এই ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের সকল শ্রেণী-পেশার সমতা নিশ্চিতের জন্য সর্বদা কাজ করেছেন। তাঁর কন্যা দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একইভাবে তার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করে চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ইন্টারনেট সেবা থেকে শুরু করে সকল ডিজিটাল সেবা প্রান্তিক পর্যায়ে প্রদানের লক্ষ্যে গ্রাম থেকেই একার্যক্রম শুরু করেছিলেন। যার ফলে প্রান্তিক পর্যায়ে বৈষম্য অনেক কমে গেছে। দেশের নাগরিক সেবা ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে ডিজিটাল বৈষম্য কমাতে এরই মধ্যে সরকার বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছে। যার ফলে সেবা নিতে নাগরিকদের ১৯.১ বিলিয়ন দিন সময়, ২১.৮ বিলিয়ন ডলার খরচ এবং ১২.৯ বিলিয়ন বার যাতায়াত কমেছে।

বাংলাদেশের প্রযুক্তিনির্ভর পাবলিক সার্ভিস উদ্ভাবন গ্লোবাল সাউথে অগ্রগামী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক সমৃদ্ধি ও সুযোগ তৈরি হওয়ায় এবং দক্ষিণের দেশগুলোতে জ্ঞান বিতরণ ও প্রযুক্তিগত কারিগরি সহায়তা প্রদানে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। প্রযুক্তিগত ক্রমবর্ধমান অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল অগ্রগতিকে কার্যকরভাবে সমর্থন করেছে বাংলাদেশ। জ্ঞান সহায়তা ও উপদেশ প্রদানের মাধ্যমে বিভিন্ন স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে ডিজিটাল বিভাজন দূর করার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

‘জিরো ডিজিটাল ডিভাইড’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশ এক ধাপ এগিয়ে যাবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ই-কোয়ালিটি সেন্টার তৈরির এই উদ্যোগ আরো ত্বরান্বিত করবে। স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন বাংলাদেশ দেখছে তা এখন অনেকের চোখে উচ্চাভিলাষী মনে হতে পারে তবে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে এই দেশ সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখাবে।

জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব এবং ইউএনডিপির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক কান্নি উইগনারাজা বলেন, ‘বাংলাদেশকে ঘিরে অনেক আশা রয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখ্যযোগ্য অগ্রগতি করেছে। আমাদের এডমিনিস্ট্রেটর আকিম স্টেইনার প্রায়ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ইউএনডিপি-এর সাবেক এডমিনিস্ট্রেটর হেলেন ক্লার্ক কর্তৃক ২০১০ সালে চর কুকরি মুকরি থেকে সারাদেশে ডিজিটাল সেন্টার উদ্বোধন করার কথা উল্লেখ করেন। সেই ডিজিটাল সেন্টারের সংখ্যা এখন প্রায় ৯ হাজার।’

কান্নি উইগনারাজা আরও বলেন, ‘এখন, ইউএনডিপি-এর সাথে অংশীদারিত্বে, বাংলাদেশ সরকার আরও একটি সাহসী পদক্ষেপ ‘জিরো ডিজিটাল ডিভাইড’ প্রচারণার সূচনা করছে । এই উদ্যোগ শুধু স্লোগান নয়, ডিজিটাল বিপ্লবে কেউ যাতে পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য এটি একটি প্রতিশ্রুতি।’

এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ ভূঞার সভাপতিত্বে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) চেয়ারম্যান এ এফ এম গাউসুল আজম সরকার, এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, উইম্যান অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) এর সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা এবং এক্সেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং কমনওয়েলথ ডিসএবলড পিপলস ফোরাম (সিডিপিএফ) এর আঞ্চলিক প্রতিনিধি মহুয়া পল।

ক্যাম্পেইন উদ্বোধনের সময় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এটুআই-এর কালচার অ্যান্ড কমিউনিকেশনস বিভাগের প্রধান পূরবী মতিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এর অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ইউএনডিপি এবং এটুআইসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

ছবি

নতুন পোভা সিরিজ নিয়ে আসছে টেকনো

ছবি

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

ছবি

বিবিআর কর্পোরেট অ্যাওয়ার্ড পেল রবি

ছবি

এপনিক পলিসি সিগ এর কো-চেয়ার পূনঃনির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের শায়লা শারমিন

ছবি

ঢাকায় নিরাপত্তা প্রযুক্তির সর্বশেষ উদ্ভাবন নিয়ে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী

ছবি

মোবাইল ব্যালেন্স দিয়ে সাবস্ক্রিপশন কিনতে পারবেন টফি ব্যবহারকারীরা

ছবি

গালফ এক্সচেঞ্জ ও বিকাশের মধ্যে পার্টনারশিপ

ছবি

নতুন শিক্ষাক্রমে স্টেম শিক্ষায় অধিকতর গুরুত্ব আরোপ করা হবে : শিক্ষা উপদেষ্টা

ছবি

৯ম ওয়ার্ল্ড রোবোটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ (টেকনোজিয়ান) এ বাংলাদেশের দলের সাফল্য

ছবি

আইআরও বাংলাদেশ ওপেন ২০২৫ এর জাতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত

ছবি

বাংলালিংক অরেঞ্জ ক্লাবের সদস্যদের জন্য ওয়ালটন প্লাজায় বিশেষ ছাড়

ছবি

ফুডপ্যান্ডায় অর্ডার করা যাবে আজোয়া’র খাবার

ছবি

বাংলাদেশে উবার ওয়ান মেম্বারশিপ চালু

ছবি

গ্রামীণফোনের সিলেট ডেটা সেন্টার পরিদর্শন করলেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ছবি

তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিয়ে টেক্সটেকে এক্সেনটেক

ছবি

বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রিভোর ‘মেগা ক্যাশব্যাক’ অফার

ছবি

দেশে ভয়েস ওভার ওয়াই-ফাই কল সেবা চালু করল বাংলালিংক

ছবি

‘রিয়েল কোয়ান্টাম ডট ডিসপ্লে’ সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে স্যামসাং কিউএলইডি টিভি

ছবি

আইএফএ ২০২৫ এ তিনটি গ্লোবাল ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড জিতলো টেকনো

ছবি

১১ তম বাংলাদেশ জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডের জাতীয় পর্ব

ছবি

‘প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় সেমিকন্ডাক্টর ও বাংলাদেশের সম্ভাবনা’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

ছবি

গার্ডিয়ান লাইফের নতুন অ্যাপ বদলে দিচ্ছে ইন্স্যুরেন্স সেবার ধারণা

ছবি

রেনো ১৪ ফাইভজিতে গিফটস অফার নিয়ে এলো অপো

ছবি

গ্রাহকসেবায় আন্তর্জাতিক ‘ডেটা ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ডস’ পেল বিকাশ

ছবি

আইসিটি বিভাগ থেকে এক লক্ষ শিক্ষার্থীকে ডিজিটাল স্কিলস প্রশিক্ষণ দেয়া হবে : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ছবি

এশিয়া কাপ ২০২৫ লাইভ স্ট্রিম করবে টফি

ছবি

স্টারলিংকের অনুমোদিত রিসেলার হলো রবি

ছবি

শেষ হল বিডিজেএসও ২০২৫ এর আঞ্চলিক পর্ব

ছবি

সবুজ জ্বালানি ব্যবহার করে ডেটা সেন্টার চালু করল বাংলালিংক

ছবি

আজ রাতে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ, ৭ ঘণ্টা স্থায়ী হবে

ছবি

আগামীর বাংলাদেশ হবে দক্ষতার বাংলাদেশ : আমীর খসরু মাহামুদ চৌধুরী

ছবি

শেষ হলো ওয়ার্ল্ড রোবট অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ ২০২৫ এর আঞ্চলিক পর্ব

ছবি

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিবের সাথে বিএসআইএ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

ছবি

ইসলামী ব্যাংকের সাথে কোনা সফটওয়্যারের চুক্তি স্বাক্ষর

ছবি

দারাজ সেলার সামিট ২০২৫ অনুষ্ঠিত

ছবি

ফোর্বস এশিয়ার ১০০ টু ওয়াচ-এ পাঠাও

tab

ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনতে ‘জিরো ডিজিটাল ডিভাইড’ গ্লোবাল ক্যাম্পেইন উদ্বোধন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী শুরু হচ্ছে #জিরো_ডিজিটাল_ডিভাইড শীর্ষক এক গ্লোবাল ক্যাম্পেইন। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে এই ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব ও ইউএনডিপির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক কান্নি উইগনারাজা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এবং ইউএনডিপি যৌথভাবে এ প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার ও তাতে অংশগ্রহণে সমতা নিশ্চিত করতে ই-কোয়ালিটি সেন্টার চালু করছে বাংলাদেশ। সেই সেন্টার প্রতিষ্ঠাকে ঘিরে ডিজিটাল বৈষম্য শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এই বৈশ্বিক ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে বিশ্বের পিছিয়ে পড়া দেশগুলোতে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই ডিজিটাল ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এই ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের সকল শ্রেণী-পেশার সমতা নিশ্চিতের জন্য সর্বদা কাজ করেছেন। তাঁর কন্যা দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একইভাবে তার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করে চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ইন্টারনেট সেবা থেকে শুরু করে সকল ডিজিটাল সেবা প্রান্তিক পর্যায়ে প্রদানের লক্ষ্যে গ্রাম থেকেই একার্যক্রম শুরু করেছিলেন। যার ফলে প্রান্তিক পর্যায়ে বৈষম্য অনেক কমে গেছে। দেশের নাগরিক সেবা ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে ডিজিটাল বৈষম্য কমাতে এরই মধ্যে সরকার বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছে। যার ফলে সেবা নিতে নাগরিকদের ১৯.১ বিলিয়ন দিন সময়, ২১.৮ বিলিয়ন ডলার খরচ এবং ১২.৯ বিলিয়ন বার যাতায়াত কমেছে।

বাংলাদেশের প্রযুক্তিনির্ভর পাবলিক সার্ভিস উদ্ভাবন গ্লোবাল সাউথে অগ্রগামী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক সমৃদ্ধি ও সুযোগ তৈরি হওয়ায় এবং দক্ষিণের দেশগুলোতে জ্ঞান বিতরণ ও প্রযুক্তিগত কারিগরি সহায়তা প্রদানে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। প্রযুক্তিগত ক্রমবর্ধমান অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল অগ্রগতিকে কার্যকরভাবে সমর্থন করেছে বাংলাদেশ। জ্ঞান সহায়তা ও উপদেশ প্রদানের মাধ্যমে বিভিন্ন স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে ডিজিটাল বিভাজন দূর করার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

‘জিরো ডিজিটাল ডিভাইড’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশ এক ধাপ এগিয়ে যাবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ই-কোয়ালিটি সেন্টার তৈরির এই উদ্যোগ আরো ত্বরান্বিত করবে। স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন বাংলাদেশ দেখছে তা এখন অনেকের চোখে উচ্চাভিলাষী মনে হতে পারে তবে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে এই দেশ সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখাবে।

জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব এবং ইউএনডিপির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক কান্নি উইগনারাজা বলেন, ‘বাংলাদেশকে ঘিরে অনেক আশা রয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখ্যযোগ্য অগ্রগতি করেছে। আমাদের এডমিনিস্ট্রেটর আকিম স্টেইনার প্রায়ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ইউএনডিপি-এর সাবেক এডমিনিস্ট্রেটর হেলেন ক্লার্ক কর্তৃক ২০১০ সালে চর কুকরি মুকরি থেকে সারাদেশে ডিজিটাল সেন্টার উদ্বোধন করার কথা উল্লেখ করেন। সেই ডিজিটাল সেন্টারের সংখ্যা এখন প্রায় ৯ হাজার।’

কান্নি উইগনারাজা আরও বলেন, ‘এখন, ইউএনডিপি-এর সাথে অংশীদারিত্বে, বাংলাদেশ সরকার আরও একটি সাহসী পদক্ষেপ ‘জিরো ডিজিটাল ডিভাইড’ প্রচারণার সূচনা করছে । এই উদ্যোগ শুধু স্লোগান নয়, ডিজিটাল বিপ্লবে কেউ যাতে পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য এটি একটি প্রতিশ্রুতি।’

এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ ভূঞার সভাপতিত্বে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) চেয়ারম্যান এ এফ এম গাউসুল আজম সরকার, এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, উইম্যান অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) এর সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা এবং এক্সেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং কমনওয়েলথ ডিসএবলড পিপলস ফোরাম (সিডিপিএফ) এর আঞ্চলিক প্রতিনিধি মহুয়া পল।

ক্যাম্পেইন উদ্বোধনের সময় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এটুআই-এর কালচার অ্যান্ড কমিউনিকেশনস বিভাগের প্রধান পূরবী মতিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এর অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ইউএনডিপি এবং এটুআইসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

back to top