তরুণ প্রজন্মের জন্য শিক্ষা-তথ্য-বিনোদন (এডুইনফোটেইনমেন্ট) ভিত্তিক একটি উদ্ভাবনী ওটিটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির লক্ষ্যে শুরু হয়েছে আইডিয়া প্রতিযোগিতা। আয়োজকরা বলছেন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২২ শীর্ষক প্রতিযোগিতার লক্ষ্য হলো এমন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যাতে শিক্ষা, কৃষি, তথ্য, বিনোদনসহ বিভিন্ন খাতের চাহিদা অনুযায়ী মানসম্পন্ন ও খাতভিত্তিক কনটেন্ট থাকবে। যা একটি শিক্ষা-তথ্য-বিনোদনের (এডুইনফোটেইনমেন্ট) ওটিটি (ওভার দ্য টপ) প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেশের ১৩ থেকে ৪০ বছর বয়সী তরুণসহ সকল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছে পছন্দের কন্টেন্ট পৌঁছে দিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য দেশীয় উদ্ভাবকদেরকে আগামী ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখের মধ্যে স্ব-স্ব আইডিয়া প্রস্তাবনা আকারে জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: challenge.gov.bd
এটুআইর আয়োজনে ১৮ ডিসেম্বর অনলাইনে ‘ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২২’ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম। এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এর সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এর সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন (বেসিস) এর পরিচালক এ কে এম আহমেদুল ইসলাম বাবু এবং এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী।
আয়োজকরা জানান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নাগরিকদের কাছ থেকে জমা হওয়া উদ্ভাবনী আইডিয়াগুলো থেকে পরবর্তীতে জুরি বোর্ড টেকসই ও সম্ভাবনাময় সেরা আইডিয়াকে পুরস্কৃত করবে। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে উদ্ভাবকদের কাছ থেকে পাওয়া উদ্ভাবনী প্রস্তাবনাগুলো থেকে ১০টি সেরা আইডিয়া প্রদানকারী উদ্ভাবকদের নিয়ে একটি বুটক্যাম্প এর আয়োজন করা হবে। বুটক্যাম্পে বিচারকদের সামনে উদ্ভাবকেরা তাদের উদ্ভাবনী আইডিয়ার সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার সুযোগ পাবেন। সেখান থেকে সর্বোত্তম ও বিজয়ী আইডিয়া প্রদানকারী/প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিয়ত মেনটরিং করার পাশাপাশি প্রস্তাবিত আইডিয়ার গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য সীড মানি হিসেবে বিভিন্ন ধাপে ১ কোটি টাকা প্রদান করা হবে।
অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম বলেন, ‘বর্তমানে সবকিছুই ইন্টারনেটভিত্তিক হয়ে গেছে এবং মূলধারার টেলিভিশন চ্যানেল, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী এখন ওটিটি প্ল্যাটফর্মের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কন্টেন্টগুলোতে দেশীয় মূল্যবোধের সাথে সঙ্গতি রাখার পাশাপাশি বিতর্কিত কন্টেন্টগুলো পরিহার করতে হবে। এসব কন্টেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে অটোমেটিক ভেরিফিকেশন সিস্টেম ব্যবহার এবং কন্টেন্টগুলো সঠিকভাবে আর্কাইভের ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে হবে। সকলের জন্য এই প্ল্যাটফর্মটিতে অ্যাক্সেসিবিলিটি নিশ্চিতে শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উপযোগী কন্টেন্ট প্রচারের একটা উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া প্ল্যাটফর্মটি ডিজিটাল বাংলাদেশের পরবর্তী লক্ষ্য ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে গৃহীত যাবতীয় উদ্যোগগুলো সঠিকভাবে প্রচারের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’
সভাপতির বক্তব্যে এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ এর মাধ্যমে এমন একটি এডুইনফোটেইনমেন্ট প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে যেখানে সেক্টর ভিত্তিক কনটেন্ট এর পাশাপাশি ইউজার জেনারেটেড কনটেন্টও দেওয়া যাবে। বাংলাদেশে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের গ্রহণযোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে বিনোদন, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, কর্মক্ষেত্র সব ধরনের কন্টেন্ট থাকবে যা দিয়ে সাধারণ জনগণের নিজের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে সহযোগিতা করবে। এই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার প্রধান উদ্দেশ্য হলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানসিকতায় ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে সরকারি সেবা, অপরাধ জগত থেকে দূরে রাখতে সহযোগিতা, দেশাত্মবোধ ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করার পাশাপাশি বিনোদন ও তথ্য প্রদান নিশ্চিত করা হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আনীর চৌধুরী বলেন, ‘ওটিটি প্ল্যাটফর্মটিতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কনটেন্টও যুক্ত করা হবে। সমন্বিত কনটেন্টের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সরকারি সহায়তায় এটি সবসময় পরিচালনা করা হবে এমন নয়।’
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এইচডি মিডিয়া ম্যানেজার পূরবী মতিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এটুআই এর ইনোভেশন ফান্ড এক্সপার্ট নাঈম আশরাফী।
সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২২
তরুণ প্রজন্মের জন্য শিক্ষা-তথ্য-বিনোদন (এডুইনফোটেইনমেন্ট) ভিত্তিক একটি উদ্ভাবনী ওটিটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির লক্ষ্যে শুরু হয়েছে আইডিয়া প্রতিযোগিতা। আয়োজকরা বলছেন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২২ শীর্ষক প্রতিযোগিতার লক্ষ্য হলো এমন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যাতে শিক্ষা, কৃষি, তথ্য, বিনোদনসহ বিভিন্ন খাতের চাহিদা অনুযায়ী মানসম্পন্ন ও খাতভিত্তিক কনটেন্ট থাকবে। যা একটি শিক্ষা-তথ্য-বিনোদনের (এডুইনফোটেইনমেন্ট) ওটিটি (ওভার দ্য টপ) প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেশের ১৩ থেকে ৪০ বছর বয়সী তরুণসহ সকল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছে পছন্দের কন্টেন্ট পৌঁছে দিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য দেশীয় উদ্ভাবকদেরকে আগামী ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখের মধ্যে স্ব-স্ব আইডিয়া প্রস্তাবনা আকারে জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: challenge.gov.bd
এটুআইর আয়োজনে ১৮ ডিসেম্বর অনলাইনে ‘ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২২’ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম। এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এর সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এর সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন (বেসিস) এর পরিচালক এ কে এম আহমেদুল ইসলাম বাবু এবং এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী।
আয়োজকরা জানান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নাগরিকদের কাছ থেকে জমা হওয়া উদ্ভাবনী আইডিয়াগুলো থেকে পরবর্তীতে জুরি বোর্ড টেকসই ও সম্ভাবনাময় সেরা আইডিয়াকে পুরস্কৃত করবে। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে উদ্ভাবকদের কাছ থেকে পাওয়া উদ্ভাবনী প্রস্তাবনাগুলো থেকে ১০টি সেরা আইডিয়া প্রদানকারী উদ্ভাবকদের নিয়ে একটি বুটক্যাম্প এর আয়োজন করা হবে। বুটক্যাম্পে বিচারকদের সামনে উদ্ভাবকেরা তাদের উদ্ভাবনী আইডিয়ার সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার সুযোগ পাবেন। সেখান থেকে সর্বোত্তম ও বিজয়ী আইডিয়া প্রদানকারী/প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিয়ত মেনটরিং করার পাশাপাশি প্রস্তাবিত আইডিয়ার গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য সীড মানি হিসেবে বিভিন্ন ধাপে ১ কোটি টাকা প্রদান করা হবে।
অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম বলেন, ‘বর্তমানে সবকিছুই ইন্টারনেটভিত্তিক হয়ে গেছে এবং মূলধারার টেলিভিশন চ্যানেল, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী এখন ওটিটি প্ল্যাটফর্মের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কন্টেন্টগুলোতে দেশীয় মূল্যবোধের সাথে সঙ্গতি রাখার পাশাপাশি বিতর্কিত কন্টেন্টগুলো পরিহার করতে হবে। এসব কন্টেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে অটোমেটিক ভেরিফিকেশন সিস্টেম ব্যবহার এবং কন্টেন্টগুলো সঠিকভাবে আর্কাইভের ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে হবে। সকলের জন্য এই প্ল্যাটফর্মটিতে অ্যাক্সেসিবিলিটি নিশ্চিতে শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উপযোগী কন্টেন্ট প্রচারের একটা উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া প্ল্যাটফর্মটি ডিজিটাল বাংলাদেশের পরবর্তী লক্ষ্য ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে গৃহীত যাবতীয় উদ্যোগগুলো সঠিকভাবে প্রচারের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’
সভাপতির বক্তব্যে এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ এর মাধ্যমে এমন একটি এডুইনফোটেইনমেন্ট প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে যেখানে সেক্টর ভিত্তিক কনটেন্ট এর পাশাপাশি ইউজার জেনারেটেড কনটেন্টও দেওয়া যাবে। বাংলাদেশে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের গ্রহণযোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে বিনোদন, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, কর্মক্ষেত্র সব ধরনের কন্টেন্ট থাকবে যা দিয়ে সাধারণ জনগণের নিজের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে সহযোগিতা করবে। এই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার প্রধান উদ্দেশ্য হলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানসিকতায় ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে সরকারি সেবা, অপরাধ জগত থেকে দূরে রাখতে সহযোগিতা, দেশাত্মবোধ ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করার পাশাপাশি বিনোদন ও তথ্য প্রদান নিশ্চিত করা হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আনীর চৌধুরী বলেন, ‘ওটিটি প্ল্যাটফর্মটিতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কনটেন্টও যুক্ত করা হবে। সমন্বিত কনটেন্টের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সরকারি সহায়তায় এটি সবসময় পরিচালনা করা হবে এমন নয়।’
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এইচডি মিডিয়া ম্যানেজার পূরবী মতিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এটুআই এর ইনোভেশন ফান্ড এক্সপার্ট নাঈম আশরাফী।