alt

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

বাংলাদেশে ৯ এপ্রিল পরীক্ষামূলক স্টারলিংক চালু

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক : রোববার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫

স্টারলিংক যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী ৯ এপ্রিল দেশে পরীক্ষামূলক চালু হবে এই পরিষেবা। পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে। এটি ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, স্টারলিংক সেবা সঠিকভাবে চালানো সম্ভব হলে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রাথমিকভাবে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বড় কোম্পানি এবং ই-কমার্স ও ডিজিটাল ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো স্টারলিংকের গ্রাহক হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে এই নতুন প্রযুক্তি দেশের ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নতুন প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে স্থানীয় ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, তারা তেমন কোনো চাপ অনুভব করছেন না। যদিও কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়তে পারে দেশীয় আইএসপি।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্টারলিংকের এই ইন্টারনেট সেবা চালু করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। বিটিআরসি ইতোমধ্যে গাইডলাইন তৈরির কাজ শেষ করেছে। স্টারলিংক চালু করা এখন সময়ের ব্যাপার। টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, স্টারলিংক শুধু ইন্টারনেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতাই বদলাবে না, বরং অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কৃষিসহ নানা খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে। বিশেষত, এটি সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন আনতে পারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে, যেখানে ফাইবার অপটিক পৌঁছানো কঠিন। স্টারলিংকের মাধ্যমে সরাসরি স্যাটেলাইট থেকে ইন্টারনেট সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, স্টারলিংক বাজারে এলে বর্তমানে ইন্টারনেট নিয়ে দেশে যে মনোপলি ব্যবসা ও হয়রানি চলছে তা ভেঙে যাবে। দাম কিছুটা বাড়লেও গ্রাহকরা দ্রুত গতির ইন্টারনেট সেবা পাবেন। একই সঙ্গে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল তথা দুর্গম এলাকায় পৌঁছে যাবে ইন্টারনেট সেবা। স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবায় গ্রাহকরা অনলাইন বাফারিং, গেমিং এবং ভিডিও কলিংয়ের মান ভালো পাবেন।

স্টারলিংক একটি স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা, যা লো আর্থ অরবিট স্যাটেলাইট ব্যবহার করে দ্রুতগতির ইন্টারনেট প্রদান করে। অন্যদিকে বাংলাদেশের স্থানীয় আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো অপটিক ফাইবার ও মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দিয়ে থাকে। ফলে শহরাঞ্চলে ব্রডব্যান্ড সংযোগ ভালো থাকলেও গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন ও উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা এখনো একটি চ্যালেঞ্জ।

জানা গেছে, স্টারলিংক ছোট উপগ্রহের একটি অ্যারের মাধ্যমে সীমাহীন উচ্চগতির ডেটা অফার করে, যা প্রতি সেকেন্ডে ১৫০ মেগাবিট (এমবিপিএস) ইন্টারনেট গতি সরবরাহ করে। স্পেসএক্স আগামীতে এই হার দ্বিগুণ করারও পরিকল্পনা নিয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ গতি ২৫ এমবিপিএসের মতো। বিশ্বের দ্রুতগতির ইন্টারনেট প্রদানকারী ১০৮টি দেশের মধ্যে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান ৯০তম।

স্টারলিংক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৯১ এমবিপিএস, কানাডায় ৯৭ এমবিপিএস, অস্ট্রেলিয়ায় ১২৪ এমবিপিএস গতিতে ক্লক ইন করেছে। মেক্সিকোতে স্টারলিংক ছিল উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে দ্রুততম স্যাটেলাইট ইন্টারনেট, যার গড় ডাউনলোড গতি ১০৫.৯১ এমবিপিএস।

স্টারলিংক ইন্টারনেট যেভাবে কাজ করে : স্টারলিংক যেহেতু স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা দেয় তাই এর সিগন্যাল রিসিভ করতে অ্যান্টেনার প্রয়োজন হবে। এ ধরনের অ্যান্টেনা অনেকটা ডিশের ছাতার মতো। তবে আকারে ছোট। ১ ফুট ছাতা দিয়ে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সিগন্যাল যে কোনো প্রান্তে বসেই পাওয়া যাবে। এর জন্য লোয়ার অরবিট স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হয়। তবে অনেক নিম্ন অরবিটাল স্যাটেলাইটের কারণে লেটেন্সি রেট কিছুটা কম হবে। লেটেন্সি রেট এক পয়েন্ট থেকে অন্য পয়েন্টে ডেটা স্থানান্তর করতে যে সময় লাগে তাকে নিম্ন অরবিটাল স্যাটেলাইট বোঝায়। কম বিলম্বের কারণে এগুলোর অনলাইন বাফারিং, গেমিং এবং ভিডিও কলিংয়ের মান ভালো হয়ে থাকে। তবে স্টারলিংকের ইন্টারনেট পেতে আপনাকে ডিশ ছাড়াও সিগন্যাল ডিকোডার অর্থাৎ রিসিভার লাগবে। এই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট যে কোনো জায়গা থেকে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর গতি সাধারণত প্রতিশ্রুতির তুলনায় অনেক দ্রুত হবে। প্রত্যন্ত অঞ্চল এবং দুর্যোগে স্টারলিংক ইন্টারনেট ভালো পরিষেবা দেবে। তার না থাকার কারণে দুর্যোগের সময় এটি সহজেই পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে।

ছবি

সেমিকন্ডাক্টর বিক্রি বাড়াতে চীনের প্রতি ঝুঁকছে স্যামসাং

ছবি

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ‘জিবলি আর্ট’ আসলে কী?

ছবি

মাইক্রোসফটের তৈরি প্রথম সফটওয়্যারের সোর্স কোড উন্মুক্ত করলেন বিল গেটস

৭০০ ব্যান্ডে নিলাম, বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগের জবাব দিল সরকার

ছবি

মাইক্রোপ্লাস্টিক শরীরে প্রবেশ করলে যেসব সমস্যা হতে পারে

ছবি

টেলিটকের ডাটা প্যাকেজের দাম কমেছে

ছবি

ন্যাশনাল ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন স্ট্র্যাটেজি বাস্তবায়নে এটুআইয়ের কর্মপরিকল্পনা

ছবি

ডিজিটাল ও নাগরিক পরিসরে লিঙ্গভিত্তিক বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রতিরোধে নেটওয়ার্কিং সভা

ছবি

বিকাশে দৈনিক ও মাসিক লেনদেনের সীমা বাড়ল

ছবি

মাই জিপি অ্যাপের মাধ্যমে গ্রামীণফোন ও লোটোর আকর্ষণীয় অফার

ছবি

বাংলাদেশে আসছে ইনফিনিক্স এআই নোট ৫০ সিরিজ

ছবি

ভয়ের রাজ্যে ‘অচিনপুর’: ভূতুড়ে রোমাঞ্চ বাড়াতে এয়ারটেলের বিশেষ প্যাক

ছবি

৩০ হাজার টাকা বাজেটের মধ্যে সেরা ৫ স্মার্টফোন

ছবি

বাংলালিংক ব্যবহারকারীদের জন্য ঈদ অফার

ছবি

ঈদে পাঠাও রেন্টালস- বুক নাও ক্যাম্পেইন

ছবি

ঈদে বিডিটিকিটসে ২০ লাখ বাস টিকিট

ছবি

র‌্যাংগস ইমার্টের আয়োজনে ওএলইডি ফেয়ার

ছবি

মাস্টারকার্ডের বিশেষ ‘হলিডে স্পেন্ড ক্যাম্পেইন ২০২৫’ ঘোষণা

ছবি

বিকাশের মাধ্যমে জাকাত-অনুদান পৌঁছে দেয়ার সুযোগ

ছবি

ঈদ উপলক্ষে স্যামসাং স্মার্টফোনে মূল্যছাড়

ছবি

রিমোট র‌্যানসমওয়্যার হামলার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে : সফোস

ছবি

৬০ জন ফ্রিল্যান্সারকে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রশিক্ষণ দিল বাক্কো

ছবি

মাইক্রোল্যাবের সঙ্গে গ্লোবাল ব্র্যান্ডের অংশীদারিত্ব

ছবি

নেটওয়ার্কিং বৃদ্ধিতে বেসিসের ইফতার আয়োজন

ছবি

চট্টগ্রামে বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অলিম্পিয়াড ২০২৫-এর প্রস্তুতি কর্মশালা

ছবি

টফিতে আইপিএলের সব ম্যাচ

‘বিকাশ পে লেটার’ এর মাধ্যমে স্মার্টফোন কেনার সুবিধা আনল সিটি ব্যাংক ও সেলেক্সট্রা

ছবি

ইনফিনিক্স হট৫০প্রো+ এখনো চাহিদার শীর্ষে

টেকনোর ঈদ অফার

ছবি

চীনা ব্র্যান্ড রেসি এখন বাংলাদেশে

ছবি

ডিএক্স ঈদ ফেস্টে ডিজিটাল স্পিনার ঘুরিয়ে পাওয়া যাবে উপহার

ছবি

সবুর খান গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ নেটওয়ার্ক (জিইএন) বাংলাদেশের চেয়ারম্যান নিযুক্ত

ছবি

রমজান ও ঈদে বিকাশ পেমেন্টে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক

ছবি

বিইউবিটি এবং বিডিওএসএনের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষরিত

ছবি

সিটি আইটি ঈদ ফেস্ট ২০২৫ শুরু

ছবি

বিকাশের ফেসবুক লাইভ থেকে ঈদ কেনাকাটার সুযোগ

tab

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

বাংলাদেশে ৯ এপ্রিল পরীক্ষামূলক স্টারলিংক চালু

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক

রোববার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫

স্টারলিংক যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী ৯ এপ্রিল দেশে পরীক্ষামূলক চালু হবে এই পরিষেবা। পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে। এটি ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, স্টারলিংক সেবা সঠিকভাবে চালানো সম্ভব হলে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রাথমিকভাবে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বড় কোম্পানি এবং ই-কমার্স ও ডিজিটাল ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো স্টারলিংকের গ্রাহক হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে এই নতুন প্রযুক্তি দেশের ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নতুন প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে স্থানীয় ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, তারা তেমন কোনো চাপ অনুভব করছেন না। যদিও কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়তে পারে দেশীয় আইএসপি।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্টারলিংকের এই ইন্টারনেট সেবা চালু করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। বিটিআরসি ইতোমধ্যে গাইডলাইন তৈরির কাজ শেষ করেছে। স্টারলিংক চালু করা এখন সময়ের ব্যাপার। টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, স্টারলিংক শুধু ইন্টারনেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতাই বদলাবে না, বরং অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কৃষিসহ নানা খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে। বিশেষত, এটি সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন আনতে পারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে, যেখানে ফাইবার অপটিক পৌঁছানো কঠিন। স্টারলিংকের মাধ্যমে সরাসরি স্যাটেলাইট থেকে ইন্টারনেট সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, স্টারলিংক বাজারে এলে বর্তমানে ইন্টারনেট নিয়ে দেশে যে মনোপলি ব্যবসা ও হয়রানি চলছে তা ভেঙে যাবে। দাম কিছুটা বাড়লেও গ্রাহকরা দ্রুত গতির ইন্টারনেট সেবা পাবেন। একই সঙ্গে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল তথা দুর্গম এলাকায় পৌঁছে যাবে ইন্টারনেট সেবা। স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবায় গ্রাহকরা অনলাইন বাফারিং, গেমিং এবং ভিডিও কলিংয়ের মান ভালো পাবেন।

স্টারলিংক একটি স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা, যা লো আর্থ অরবিট স্যাটেলাইট ব্যবহার করে দ্রুতগতির ইন্টারনেট প্রদান করে। অন্যদিকে বাংলাদেশের স্থানীয় আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো অপটিক ফাইবার ও মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দিয়ে থাকে। ফলে শহরাঞ্চলে ব্রডব্যান্ড সংযোগ ভালো থাকলেও গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন ও উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা এখনো একটি চ্যালেঞ্জ।

জানা গেছে, স্টারলিংক ছোট উপগ্রহের একটি অ্যারের মাধ্যমে সীমাহীন উচ্চগতির ডেটা অফার করে, যা প্রতি সেকেন্ডে ১৫০ মেগাবিট (এমবিপিএস) ইন্টারনেট গতি সরবরাহ করে। স্পেসএক্স আগামীতে এই হার দ্বিগুণ করারও পরিকল্পনা নিয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ গতি ২৫ এমবিপিএসের মতো। বিশ্বের দ্রুতগতির ইন্টারনেট প্রদানকারী ১০৮টি দেশের মধ্যে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান ৯০তম।

স্টারলিংক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৯১ এমবিপিএস, কানাডায় ৯৭ এমবিপিএস, অস্ট্রেলিয়ায় ১২৪ এমবিপিএস গতিতে ক্লক ইন করেছে। মেক্সিকোতে স্টারলিংক ছিল উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে দ্রুততম স্যাটেলাইট ইন্টারনেট, যার গড় ডাউনলোড গতি ১০৫.৯১ এমবিপিএস।

স্টারলিংক ইন্টারনেট যেভাবে কাজ করে : স্টারলিংক যেহেতু স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা দেয় তাই এর সিগন্যাল রিসিভ করতে অ্যান্টেনার প্রয়োজন হবে। এ ধরনের অ্যান্টেনা অনেকটা ডিশের ছাতার মতো। তবে আকারে ছোট। ১ ফুট ছাতা দিয়ে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সিগন্যাল যে কোনো প্রান্তে বসেই পাওয়া যাবে। এর জন্য লোয়ার অরবিট স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হয়। তবে অনেক নিম্ন অরবিটাল স্যাটেলাইটের কারণে লেটেন্সি রেট কিছুটা কম হবে। লেটেন্সি রেট এক পয়েন্ট থেকে অন্য পয়েন্টে ডেটা স্থানান্তর করতে যে সময় লাগে তাকে নিম্ন অরবিটাল স্যাটেলাইট বোঝায়। কম বিলম্বের কারণে এগুলোর অনলাইন বাফারিং, গেমিং এবং ভিডিও কলিংয়ের মান ভালো হয়ে থাকে। তবে স্টারলিংকের ইন্টারনেট পেতে আপনাকে ডিশ ছাড়াও সিগন্যাল ডিকোডার অর্থাৎ রিসিভার লাগবে। এই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট যে কোনো জায়গা থেকে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর গতি সাধারণত প্রতিশ্রুতির তুলনায় অনেক দ্রুত হবে। প্রত্যন্ত অঞ্চল এবং দুর্যোগে স্টারলিংক ইন্টারনেট ভালো পরিষেবা দেবে। তার না থাকার কারণে দুর্যোগের সময় এটি সহজেই পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে।

back to top