দেশের ৬৪ জেলার ১৬টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক পর্যায়ে নির্বাচিত বিজয়ী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ২১ জুন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলোব ‘জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা (এনএইচএসপিসি) ২০২৫’ এর জাতীয় পর্। আঞ্চলিক পর্যায়ে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে বিজয়ীদের বাছাই করা হয়েছে। জাতীয় পর্বে প্রোগ্রামিং জুনিয়র ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হন খুলনা জিলা স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র অরিত্র সরকার। প্রোগ্রামিং সেকেন্ডারি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হন বিএএফ শাহীন কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্র রায়ান ফেরদৌস।
প্রোগ্রামিং হায়ার সেকেন্ডারি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হন জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দেবজ্যোতি দাশ সৌম্য।
কুইজ প্রতিযোগিতায় জুনিয়র ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হন ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র মো. তাহসিন কবির। কুইজ প্রতিযোগিতায় সিনিয়র ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হন দশম শ্রেণীর রায়হান মাহবুব। দাবা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় ৪ সদস্যের একটি দল যেখানে ছিলেন সিয়াম চৌধুরী, রায়ান রশিদ মুগ্ধ, ওয়ারসিয়া খুশবু ও নীলাভা চৌধুরী। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) খামারবাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়েছে কুইজ ও দাবা প্রতিযোগিতা। প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)-তে। কেআইবিতে বিকেলে পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে শেষ হয় এবারের পর্ব। এছাড়া সারাদিন ধরে আরো ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক সেশন, সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। অনুষ্ঠানে প্রতিযোগীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজকের এই প্রজন্মই ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক। আজকের প্রোগ্রামাররা জাতিকে আলোর দিশারি হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ যে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সরকার তা পুরোপুরি বিবেচনায় রেখে পরিকল্পনা করছে। ভবিষ্যতে এই প্রোগ্রাম আরো বড় পরিসরে হবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক মো. জফুরুল আলম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. বি এম মইনুল হোসেন।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, মেধাভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যেই আমাদের এই আয়োজন। এই ধরনের প্রতিযোগিতা এই প্রজন্মকে ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত করবে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এই তিনটি ভ্যেনুর মাধ্যমে এনএইচএসপিসি-এর আঞ্চলিক পর্বের সূচনা হয়। এর অন্তর্ভূক্ত জেলাগুলো হলো ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোণা, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, টাংগাইল, গাজীপুর, ভোলা, বরিশাল ও ঝালকাঠি।
জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ২০২৫-এর মূল আয়োজক বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। বাস্তবায়ন সহযোগী হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন, এজ প্রকল্প এবং ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি।
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
দেশের ৬৪ জেলার ১৬টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক পর্যায়ে নির্বাচিত বিজয়ী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ২১ জুন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলোব ‘জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা (এনএইচএসপিসি) ২০২৫’ এর জাতীয় পর্। আঞ্চলিক পর্যায়ে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে বিজয়ীদের বাছাই করা হয়েছে। জাতীয় পর্বে প্রোগ্রামিং জুনিয়র ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হন খুলনা জিলা স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র অরিত্র সরকার। প্রোগ্রামিং সেকেন্ডারি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হন বিএএফ শাহীন কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্র রায়ান ফেরদৌস।
প্রোগ্রামিং হায়ার সেকেন্ডারি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হন জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দেবজ্যোতি দাশ সৌম্য।
কুইজ প্রতিযোগিতায় জুনিয়র ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হন ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র মো. তাহসিন কবির। কুইজ প্রতিযোগিতায় সিনিয়র ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হন দশম শ্রেণীর রায়হান মাহবুব। দাবা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় ৪ সদস্যের একটি দল যেখানে ছিলেন সিয়াম চৌধুরী, রায়ান রশিদ মুগ্ধ, ওয়ারসিয়া খুশবু ও নীলাভা চৌধুরী। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) খামারবাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়েছে কুইজ ও দাবা প্রতিযোগিতা। প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)-তে। কেআইবিতে বিকেলে পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে শেষ হয় এবারের পর্ব। এছাড়া সারাদিন ধরে আরো ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক সেশন, সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। অনুষ্ঠানে প্রতিযোগীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজকের এই প্রজন্মই ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক। আজকের প্রোগ্রামাররা জাতিকে আলোর দিশারি হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ যে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সরকার তা পুরোপুরি বিবেচনায় রেখে পরিকল্পনা করছে। ভবিষ্যতে এই প্রোগ্রাম আরো বড় পরিসরে হবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক মো. জফুরুল আলম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. বি এম মইনুল হোসেন।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, মেধাভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যেই আমাদের এই আয়োজন। এই ধরনের প্রতিযোগিতা এই প্রজন্মকে ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত করবে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এই তিনটি ভ্যেনুর মাধ্যমে এনএইচএসপিসি-এর আঞ্চলিক পর্বের সূচনা হয়। এর অন্তর্ভূক্ত জেলাগুলো হলো ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোণা, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, টাংগাইল, গাজীপুর, ভোলা, বরিশাল ও ঝালকাঠি।
জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ২০২৫-এর মূল আয়োজক বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। বাস্তবায়ন সহযোগী হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন, এজ প্রকল্প এবং ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি।