alt

নতুন টেলিকম পলিসি: ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা হুমকির মুখে

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক : বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এর পক্ষ থেকে ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে টেলিকম পলিসির ৫টি ক্লজ দ্রুত সংশোধন করার আহবান জানানো হয়েছে।

৭.৪.৫ নং ধারায় বলা আছে- নেশনওয়াইড আইএসপি ও ডিভিশনাল আইএসপি এফটিএসপি (ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডার) হতে পারবে এবং জেলা ও উপজেলা/থানা আইএসপি জেলা আইএসপি হতে পারবে।

অপরপক্ষে টেলিকম খাতের নীতি-নির্ধারক বলে থাকেন, টেলিকম খাতে মুদি দোকানদার, অনভিজ্ঞ ব্যবসায়ীরা ঢুকে পড়েছে।

পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, থানা এবং উপজেলা পর্যায়ের আইএসপিরা ২০০৯ সালে লাইসেন্স পেয়েছে এবং তার আগে থেকে ব্যবসা করে আসছে। ফলে ২০ বছর ধরে যারা এই ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবসা করে আসছে তাদের একটি ইন্ডাস্ট্রি অভিজ্ঞতা আছে। লাস্ট মাইল ইউজারকে কিভাবে কোয়ালিটি অব সার্ভিস প্রদান করতে হয় সেই ব্যাপারে তারা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। তাদের একটা রোল আউট হয়ে গেছে। ব্যবসার সম্প্রসারণ হয়েছে। এসব ব্যবসায়ীদের মেইনস্ট্রিমে আনার জন্য এটা উন্মুক্ত থাকা উচিত। অপরপক্ষে দেখা যায়, অনেক বিভাগীয় আইএসপি ছোট একটা মাত্র জেলায় ব্যবসা করে। তাদেরকে ফোর্সফুলি নেশনওয়াইড আইএসপি না দিয়ে দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করতে না বলার থেকে এটা উন্মুক্ত থাকা উচিত, যার ইচ্ছা সে এফটিএসপিতে চলে যেতে পারবে, যার ইচ্ছা সে জেলা এফটিএসপিতে চলে যেতে পারবে।

৭.৪.৭ ধারায় বলা আছে- যারা শুধুমাত্র জেলা এফটিএসপিতে যাচ্ছে তাদেরকে বলা হয়েছে তারা শুধু ইন্টারনেট ও ডেটা সার্ভিস দিতে পারবে। ২০২৫ সালে এসে আমরা ইন্টারনেটের ব্যবহার দেখলে দেখতে পাবো ইন্টারনেটে অনেক ধরনের ডিজিটাল সার্ভিস (আইপি টেলিফোনি, আইপি-টিএসপি, টেলিমেডিসিন ইত্যাদি) উদ্ভাবন যুক্ত হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সার্ভিস লাস্ট মাইল গ্রাহকরা যেন পান সেজন্য বর্তমান সরকারও উৎসাহ দিয়ে আসছেন। ডিজিটাল সার্ভিস যেন জেলা আইএসপিরাও দিতে পারে এবং কোনও বৈষম্য যেন না থাকে।

এই ধারা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ৩টি এনটিটিএন অপারেটরের প্রত্যেকের নামে-বেনামে এএনএসপি লাইসেন্স আছে। এটা থেকে ভুল বোঝাবুঝি হবে। অথরাইজড গ্রাহক কানেক্ট করতে পারবে এনটিটিএন অপারেটররা- বিগত সরকার এরকম একটা প্রজ্ঞাপন দিয়েছিলো। ওই প্রজ্ঞাপন অপব্যবহার করে এএনএসপি অপারেটরদের ডোমেইনে ঢুকে অনেক ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে। এই ধারাটা কোনোভাবেই থাকা উচিত নয়।

৭.৭.৬ এবং ৭.৭.১১ ধারায় বলা হয়েছে- এনটিটিএন অপারেটররা ট্রান্সমিশন অপারেটর থাকবে, এএনএসপি অপারেটর হিসেবে এটাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি, সাপোর্ট করছি। তবে এ বিষয়ে নীতি-নিরর্ধারকদের কাছে আমাদের প্রশ্ন, ২০২৫ সালেও যেখানে এনটিটিএন অপারেটররা নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারেনি ওই এলাকাগুলো কি ইন্টারনেট সেবা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকবে? ডিজিটাল বৈষম্য কি এখনও অবস্থান করবে? এই বৈষম্য কমিয়ে আনার জন্য যেখানে এনিটিটিএন অপারেটররা ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক স্থাপন করেনি সেখানে এএনএসপি অপারেটররা যেন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারে।

নতুন টেলিকম পলিসি’র এই ধারাগুলো আইএসপি খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের হুমকির ?মুখে ফেলে দিয়েছে। এতে এ খাতের সম্পূর্ণ দেশীয় বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়বে। পলিসিতে কয়েকটি সংশোধনী ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার মান (কোয়ালিটি অব সার্ভিস) বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আইএসপিএবি মনে করে।

ছবি

‘রোবো কিকার্স: ন্যাশনাল সকার বট চ্যাম্পিয়নশিপ ফর কিডস’-এর ফাইনাল অনুষ্ঠিত

ছবি

তিনদিনের ‘ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড সেইফটি এক্সপো’ শুরু

ছবি

নতুন পোভা সিরিজ নিয়ে আসছে টেকনো

ছবি

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

ছবি

বিবিআর কর্পোরেট অ্যাওয়ার্ড পেল রবি

ছবি

এপনিক পলিসি সিগ এর কো-চেয়ার পূনঃনির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের শায়লা শারমিন

ছবি

ঢাকায় নিরাপত্তা প্রযুক্তির সর্বশেষ উদ্ভাবন নিয়ে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী

ছবি

মোবাইল ব্যালেন্স দিয়ে সাবস্ক্রিপশন কিনতে পারবেন টফি ব্যবহারকারীরা

ছবি

গালফ এক্সচেঞ্জ ও বিকাশের মধ্যে পার্টনারশিপ

ছবি

নতুন শিক্ষাক্রমে স্টেম শিক্ষায় অধিকতর গুরুত্ব আরোপ করা হবে : শিক্ষা উপদেষ্টা

ছবি

৯ম ওয়ার্ল্ড রোবোটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ (টেকনোজিয়ান) এ বাংলাদেশের দলের সাফল্য

ছবি

আইআরও বাংলাদেশ ওপেন ২০২৫ এর জাতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত

ছবি

বাংলালিংক অরেঞ্জ ক্লাবের সদস্যদের জন্য ওয়ালটন প্লাজায় বিশেষ ছাড়

ছবি

ফুডপ্যান্ডায় অর্ডার করা যাবে আজোয়া’র খাবার

ছবি

বাংলাদেশে উবার ওয়ান মেম্বারশিপ চালু

ছবি

গ্রামীণফোনের সিলেট ডেটা সেন্টার পরিদর্শন করলেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ছবি

তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিয়ে টেক্সটেকে এক্সেনটেক

ছবি

বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রিভোর ‘মেগা ক্যাশব্যাক’ অফার

ছবি

দেশে ভয়েস ওভার ওয়াই-ফাই কল সেবা চালু করল বাংলালিংক

ছবি

‘রিয়েল কোয়ান্টাম ডট ডিসপ্লে’ সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে স্যামসাং কিউএলইডি টিভি

ছবি

আইএফএ ২০২৫ এ তিনটি গ্লোবাল ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড জিতলো টেকনো

ছবি

১১ তম বাংলাদেশ জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডের জাতীয় পর্ব

ছবি

‘প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় সেমিকন্ডাক্টর ও বাংলাদেশের সম্ভাবনা’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

ছবি

গার্ডিয়ান লাইফের নতুন অ্যাপ বদলে দিচ্ছে ইন্স্যুরেন্স সেবার ধারণা

ছবি

রেনো ১৪ ফাইভজিতে গিফটস অফার নিয়ে এলো অপো

ছবি

গ্রাহকসেবায় আন্তর্জাতিক ‘ডেটা ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ডস’ পেল বিকাশ

ছবি

আইসিটি বিভাগ থেকে এক লক্ষ শিক্ষার্থীকে ডিজিটাল স্কিলস প্রশিক্ষণ দেয়া হবে : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ছবি

এশিয়া কাপ ২০২৫ লাইভ স্ট্রিম করবে টফি

ছবি

স্টারলিংকের অনুমোদিত রিসেলার হলো রবি

ছবি

শেষ হল বিডিজেএসও ২০২৫ এর আঞ্চলিক পর্ব

ছবি

সবুজ জ্বালানি ব্যবহার করে ডেটা সেন্টার চালু করল বাংলালিংক

ছবি

আজ রাতে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ, ৭ ঘণ্টা স্থায়ী হবে

ছবি

আগামীর বাংলাদেশ হবে দক্ষতার বাংলাদেশ : আমীর খসরু মাহামুদ চৌধুরী

ছবি

শেষ হলো ওয়ার্ল্ড রোবট অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ ২০২৫ এর আঞ্চলিক পর্ব

ছবি

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিবের সাথে বিএসআইএ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

ছবি

ইসলামী ব্যাংকের সাথে কোনা সফটওয়্যারের চুক্তি স্বাক্ষর

tab

নতুন টেলিকম পলিসি: ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা হুমকির মুখে

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক

বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এর পক্ষ থেকে ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে টেলিকম পলিসির ৫টি ক্লজ দ্রুত সংশোধন করার আহবান জানানো হয়েছে।

৭.৪.৫ নং ধারায় বলা আছে- নেশনওয়াইড আইএসপি ও ডিভিশনাল আইএসপি এফটিএসপি (ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডার) হতে পারবে এবং জেলা ও উপজেলা/থানা আইএসপি জেলা আইএসপি হতে পারবে।

অপরপক্ষে টেলিকম খাতের নীতি-নির্ধারক বলে থাকেন, টেলিকম খাতে মুদি দোকানদার, অনভিজ্ঞ ব্যবসায়ীরা ঢুকে পড়েছে।

পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, থানা এবং উপজেলা পর্যায়ের আইএসপিরা ২০০৯ সালে লাইসেন্স পেয়েছে এবং তার আগে থেকে ব্যবসা করে আসছে। ফলে ২০ বছর ধরে যারা এই ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবসা করে আসছে তাদের একটি ইন্ডাস্ট্রি অভিজ্ঞতা আছে। লাস্ট মাইল ইউজারকে কিভাবে কোয়ালিটি অব সার্ভিস প্রদান করতে হয় সেই ব্যাপারে তারা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। তাদের একটা রোল আউট হয়ে গেছে। ব্যবসার সম্প্রসারণ হয়েছে। এসব ব্যবসায়ীদের মেইনস্ট্রিমে আনার জন্য এটা উন্মুক্ত থাকা উচিত। অপরপক্ষে দেখা যায়, অনেক বিভাগীয় আইএসপি ছোট একটা মাত্র জেলায় ব্যবসা করে। তাদেরকে ফোর্সফুলি নেশনওয়াইড আইএসপি না দিয়ে দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করতে না বলার থেকে এটা উন্মুক্ত থাকা উচিত, যার ইচ্ছা সে এফটিএসপিতে চলে যেতে পারবে, যার ইচ্ছা সে জেলা এফটিএসপিতে চলে যেতে পারবে।

৭.৪.৭ ধারায় বলা আছে- যারা শুধুমাত্র জেলা এফটিএসপিতে যাচ্ছে তাদেরকে বলা হয়েছে তারা শুধু ইন্টারনেট ও ডেটা সার্ভিস দিতে পারবে। ২০২৫ সালে এসে আমরা ইন্টারনেটের ব্যবহার দেখলে দেখতে পাবো ইন্টারনেটে অনেক ধরনের ডিজিটাল সার্ভিস (আইপি টেলিফোনি, আইপি-টিএসপি, টেলিমেডিসিন ইত্যাদি) উদ্ভাবন যুক্ত হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সার্ভিস লাস্ট মাইল গ্রাহকরা যেন পান সেজন্য বর্তমান সরকারও উৎসাহ দিয়ে আসছেন। ডিজিটাল সার্ভিস যেন জেলা আইএসপিরাও দিতে পারে এবং কোনও বৈষম্য যেন না থাকে।

এই ধারা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ৩টি এনটিটিএন অপারেটরের প্রত্যেকের নামে-বেনামে এএনএসপি লাইসেন্স আছে। এটা থেকে ভুল বোঝাবুঝি হবে। অথরাইজড গ্রাহক কানেক্ট করতে পারবে এনটিটিএন অপারেটররা- বিগত সরকার এরকম একটা প্রজ্ঞাপন দিয়েছিলো। ওই প্রজ্ঞাপন অপব্যবহার করে এএনএসপি অপারেটরদের ডোমেইনে ঢুকে অনেক ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে। এই ধারাটা কোনোভাবেই থাকা উচিত নয়।

৭.৭.৬ এবং ৭.৭.১১ ধারায় বলা হয়েছে- এনটিটিএন অপারেটররা ট্রান্সমিশন অপারেটর থাকবে, এএনএসপি অপারেটর হিসেবে এটাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি, সাপোর্ট করছি। তবে এ বিষয়ে নীতি-নিরর্ধারকদের কাছে আমাদের প্রশ্ন, ২০২৫ সালেও যেখানে এনটিটিএন অপারেটররা নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারেনি ওই এলাকাগুলো কি ইন্টারনেট সেবা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকবে? ডিজিটাল বৈষম্য কি এখনও অবস্থান করবে? এই বৈষম্য কমিয়ে আনার জন্য যেখানে এনিটিটিএন অপারেটররা ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক স্থাপন করেনি সেখানে এএনএসপি অপারেটররা যেন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারে।

নতুন টেলিকম পলিসি’র এই ধারাগুলো আইএসপি খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের হুমকির ?মুখে ফেলে দিয়েছে। এতে এ খাতের সম্পূর্ণ দেশীয় বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়বে। পলিসিতে কয়েকটি সংশোধনী ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার মান (কোয়ালিটি অব সার্ভিস) বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আইএসপিএবি মনে করে।

back to top