২২ ডিসেম্বর ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশে ডিজিটাল ও জনপরিসরে বিদ্যমান সমস্যা এবং আমাদের করণীয় বিষয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারী গবেষণা ও অধিকার ভিত্তিক সংগঠন ভয়েস সভাটির আয়োজন করে।
সভায় মানবাধিকার কর্মী, গণমাধ্যম কর্মী, নারী ও যুব প্রতিনিধি, আইনজীবী এবং শিক্ষাবিদ সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অংশগ্রহণকারীরা ক্রমশ সংকুচিত হয়ে আসা ডিজিটাল ও জনপরিসরের বিদ্যমান সমস্যা সমূহ নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় লিঙ্গভিত্তিক অপতথ্য, দমন-পীড়ন, ধর্মীয় উগ্রবাদের উত্থান, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা দমন, সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা এবং করণীয় বিষয়ে বিভিন্ন সুপারিশ উঠে আসে।
অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্যে ভয়েসের ডেপুটি ডিরেক্টর (প্রোগ্রামস) মুশাররাত মাহেরা বলেন, ডিজিটাল ও জনপরিসর আইন, নীতি, প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক চর্চার মাধ্যমে গঠিত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীদের বিরুদ্ধে ‘জেন্ডার অপতথ্য’ এর প্রবণতা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে, যা বিভাজন, বিশৃঙ্খলা ও ঘৃণা ছড়িয়ে সমাজের শান্তি ও সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে। তিনি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা জোরদারের আহ্বান জানান।
প্যানেল আলোচনায় বিভিন্ন সমাজ-সংস্কৃতি, রাজনৈতিক, নীতিগত ও উন্নয়নমূলক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন বক্তারা। কলামিস্ট ও একটিভিস্ট ডাঃ জাহেদ-উর-রহমান অধিকারভিত্তিক আইন সংস্কারের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, মানবাধিকার ও বৈশি^ক অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে অনলাইন এবং অফলাইনে। দায়িত্বশীল নাগরিকদের সমস্ত দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে এক থাকা উচিত। পিছিয়ে না থেকে, বরং যেখানে দাঁড়িয়েছি সেখান থেকে আমাদের আওয়াজ তুলতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান রুবেল বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাস্তবতা এমন এক অবস্থা তৈরি করেছে যেখানে নারী নির্যাতন উদযাপন করা হয়। যেখানে অন্তর্ভুক্তির কথা বলে বৈষম্যের নীতি প্রয়োগ করা হচ্ছে।
মিডিয়া ব্যক্তিত্ব দীপ্তি চৌধুরী বলেন, বাক-স্বাধীনতা মানে অপরের অধিকারকে সমুন্নত রেখে নিজের চিন্তাধারা এবং বিশ্বাস তুলে ধরা। তবে যদি কখনো কারো অধিকার লংঘিত হয় সেটা বিচার করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার কর্মী ও বিশ্লেষক মঞ্জুর রশীদ, ডিজিটাল অপতথ্য বিশেষজ্ঞ তামারা ইয়াসমিন তমা ও ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ।
অর্থ-বাণিজ্য: অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত কাগজশিল্প
অর্থ-বাণিজ্য: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি অনেক বেড়েছে