alt

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

৩৮ বছর পর পৃথিবীতে ‘আছড়ে পড়ছে’ নাসার স্যাটেলাইট

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৩

কৃত্রিম উপগ্রহটি ‘আর্থ রেডিয়েশন বাজেট স্যাটেলাইট (ইআরবিএস)’নামে পরিচিত। স্পেস শাটল চ্যালেঞ্জারের মাধ্যমে ১৯৮৪ সালে এটি মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ঠিক ছিল যে এটি মাত্র ২ বছর কাজ করবে। কিন্তু ২০০৫ সাল পর্যন্ত এটি ব্যবহার করতে সক্ষম হন বিজ্ঞানীরা।

৩৮ বছরের দীর্ঘ জীবন শেষ। অবশেষে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে মিলিয়ে যেতে চলেছে নাসার এক কৃত্রিম উপগ্রহ। এতে ভয়ের কিছু নেই বলে জানিয়েছে, নাসা । এর বেশিরভাগটাই বায়ুমণ্ডলে পুনঃপ্রবেশের সময়েই পুড়ে যাবে। সামান্য কিছু টুকরো পড়ে থাকতে পারে। তবে তাই নিয়ে বিশেষ চিন্তার কিছু নেই। কৃত্রিম উপগ্রহটির মোট ওজন প্রায় ২,৪৫০ কিলোগ্রামবলে উঠে এসেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে।

১৯৮৪ সালে ‘চ্যালেঞ্জার’ স্পেস শাটলের মাধ্যমে এটি মহাকাশে উৎক্ষেপিত হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে, পৃথিবী কীভাবে সূর্য থেকে শক্তি শোষণ ও বিকিরণ করে তা নিয়ে গবেষণার উদ্দেশ্যে কেবল দুই বছরের জন্য নাসা একে মহাকাশে পাঠিয়েছিল।

নাসা বলেছে, পড়ন্ত এই স্যাটেলাইটের ধ্বংসাবশেষ কারও ওপর পড়ার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’। এইসব ধ্বংসস্তুপ ভূপৃষ্ঠের কোনো জনগোষ্ঠির ওপর সরাসরি এসে পড়লেও এতে শারীরিক আঘাতের ঝুঁকি প্রায় ১০ হাজার ভাগের এক ভাগ।

তবে, পৃথিবীর আনুমানিক জনসংখ্যা আটশ কোটি হওয়ায় ১০ হাজার ভাগের এক ভাগও ছোট কোনো সংখ্যা নয়।

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ভূপৃষ্ঠে এটি আছড়ে পড়বে রোববার রাতে বা এর ১৭ ঘণ্টার মধ্যে।

তবে, ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ‘অ্যারোস্পেস কর্পোরেশনের’ অনুমান বলছে, এটি ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়তে পারে সোমবার সকালে বা এর ১৩ ঘণ্টার মধ্যে।

স্যাটেলাইটটি আফ্রিকা, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের সবচেয়ে পশ্চিমাংশের ওপর দিয়ে অতিক্রম করতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে স্কাই।

মহাকাশযান চ্যালেঞ্জারের রোবটিক বাহুর সহায়তায় ‘ইআরবিএস’কে কক্ষপথে পাঠিয়েছিলেন মহাকাশে যাওয়া প্রথম মার্কিন নারী স্যালি রাইড।

রাইডের দ্বিতীয় ও সর্বশেষ মহাকাশ অভিযান ছিল এটি। ২০১২ সালে তিনি মারা যান। একই মিশনের অংশ ছিলেন ‘মহাকাশে হাটা’ প্রথম মার্কিন নারী নভোচারী ক্যাথরিন সালিভান।

ছবি

ই-কমার্সে মানুষের আস্থা ফেরাতে চান জান্নাতুল হক শাপলা

ছবি

১০,০০০ মেগাহার্টজ ব্যাটারির কনসেপ্ট ফোন উন্মোচন করল রিয়েলমি

ছবি

স্মার্ট কুলিং প্রকল্প নিয়ে স্যামসাং, সাইনটেক ও প্রিন্সিপাল গ্রুপের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

ছবি

মা দিবস উপলক্ষে ফুডপ্যান্ডায় বিশেষ ছাড়

ছবি

গ্রামীণফোন ও চরকির মধ্যে চুক্তি

ছবি

ইনোভেশন সামিট ২০২৫ চালু করল বিডিঅ্যাপস

ছবি

জেলা তথ্য কর্মকর্তাদের জন্য ডিজিটাল আইডেন্টিফিকেশন অ্যান্ড ফ্যাক্ট চেকিং প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

ছবি

‘জিরো টাকায় বিজনেস’ বইয়ের প্রি-অর্ডার শুরু

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে অনারের নতুন স্মার্টফোন এক্স৮সি

ছবি

আইএসপিএবি নির্বাচনে আমিনুল হাকিমের নেতৃত্বে ‘আইএসপি ইউনাইটেড’ প্যানেল

ছবি

এনএসডিএ এবং বুয়েট, রুয়েট, এনইউ, বাউবির মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত

ছবি

রাজধানীতে এআই অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ ২০২৫ অনুষ্ঠিত

ছবি

দারাজ বাংলাদেশে ৫.৫ ক্যাম্পেইন

ছবি

পদ্মা সেতুর ইলেকট্রনিক টোল সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলো নগদ

ছবি

হজযাত্রীদের জন্য বাংলাদেশি টাকায় রোমিং প্যাকেজ কেনার সুবিধা আনল রবি

ছবি

এআই ও সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠিত

ছবি

রিয়েলমি সি৭৫এক্স স্মার্টফোনের বৈশিষ্ট্য

ছবি

বিকাশের ‘মায়ের মায়ায় ম্যাজিক্যাল মোমেন্ট’ ক্যাম্পেইন

ছবি

গ্রাহকদের পছন্দের তালিকায় ভিভো ভি৫০ লাইট

ছবি

নতুন ডেটা প্যাকেজ নিয়ে এলো বাংলালিংক

ছবি

গ্যালাক্সি এ০৬ স্মার্টফোন উন্মোচন করল স্যামসাং

ছবি

বাংলাদেশে ‘আন্তর্জাতিক উদ্যোক্তা বিশ্বকাপ ২০২৫’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

ছবি

দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনা তরুণদের সহায়তা করা হবে : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ছবি

মেরিটাইম ইন্ড্রাস্টিকে নিরাপদ ও ডিজিটাল করতে বিএসসিএল ও স্টারনুলারের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষর

ছবি

হজ রোমিং প্যাক নিয়ে এলো বাংলালিংক

ছবি

সিটি ব্যাংক ও ফুডপ্যান্ডার মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত

ছবি

বিকাশ পার্টনার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে হুয়াওয়ে

ছবি

মোবাইল ফটোগ্রাফির ফ্ল্যাশস্ন্যাপ প্রযুক্তি

ছবি

রবি গ্রাহকদের জন্য ক্যাসপারস্কির প্রিমিয়াম সাইবার সুরক্ষা

ছবি

সাইবার হুমকির শীর্ষে র‌্যানসমওয়্যার : সফোস

ছবি

বেসিস কোরিয়া ডেস্ক চালু

ছবি

মোবাইল ব্যালেন্স দিয়ে হজ রোমিং প্যাক কেনার সুবিধা নিয়ে এলো গ্রামীণফোন

ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেনিউর ল্যাবের ‘ফিউচার ফেলোস’ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত

ছবি

গুলশানে প্রিয়শপের নতুন গ্রিন হাব

ছবি

নতুন রঙ ‘ওলো’ আবিষ্কার, দাবি বিজ্ঞানীদের, দেখা সম্ভব প্রযুক্তির সহায়তায়

ছবি

জাপান আইটি উইকে অংশ নিচ্ছে বেসিসের ৬ সদস্য প্রতিষ্ঠান

tab

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

৩৮ বছর পর পৃথিবীতে ‘আছড়ে পড়ছে’ নাসার স্যাটেলাইট

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৩

কৃত্রিম উপগ্রহটি ‘আর্থ রেডিয়েশন বাজেট স্যাটেলাইট (ইআরবিএস)’নামে পরিচিত। স্পেস শাটল চ্যালেঞ্জারের মাধ্যমে ১৯৮৪ সালে এটি মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ঠিক ছিল যে এটি মাত্র ২ বছর কাজ করবে। কিন্তু ২০০৫ সাল পর্যন্ত এটি ব্যবহার করতে সক্ষম হন বিজ্ঞানীরা।

৩৮ বছরের দীর্ঘ জীবন শেষ। অবশেষে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে মিলিয়ে যেতে চলেছে নাসার এক কৃত্রিম উপগ্রহ। এতে ভয়ের কিছু নেই বলে জানিয়েছে, নাসা । এর বেশিরভাগটাই বায়ুমণ্ডলে পুনঃপ্রবেশের সময়েই পুড়ে যাবে। সামান্য কিছু টুকরো পড়ে থাকতে পারে। তবে তাই নিয়ে বিশেষ চিন্তার কিছু নেই। কৃত্রিম উপগ্রহটির মোট ওজন প্রায় ২,৪৫০ কিলোগ্রামবলে উঠে এসেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে।

১৯৮৪ সালে ‘চ্যালেঞ্জার’ স্পেস শাটলের মাধ্যমে এটি মহাকাশে উৎক্ষেপিত হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে, পৃথিবী কীভাবে সূর্য থেকে শক্তি শোষণ ও বিকিরণ করে তা নিয়ে গবেষণার উদ্দেশ্যে কেবল দুই বছরের জন্য নাসা একে মহাকাশে পাঠিয়েছিল।

নাসা বলেছে, পড়ন্ত এই স্যাটেলাইটের ধ্বংসাবশেষ কারও ওপর পড়ার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’। এইসব ধ্বংসস্তুপ ভূপৃষ্ঠের কোনো জনগোষ্ঠির ওপর সরাসরি এসে পড়লেও এতে শারীরিক আঘাতের ঝুঁকি প্রায় ১০ হাজার ভাগের এক ভাগ।

তবে, পৃথিবীর আনুমানিক জনসংখ্যা আটশ কোটি হওয়ায় ১০ হাজার ভাগের এক ভাগও ছোট কোনো সংখ্যা নয়।

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ভূপৃষ্ঠে এটি আছড়ে পড়বে রোববার রাতে বা এর ১৭ ঘণ্টার মধ্যে।

তবে, ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ‘অ্যারোস্পেস কর্পোরেশনের’ অনুমান বলছে, এটি ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়তে পারে সোমবার সকালে বা এর ১৩ ঘণ্টার মধ্যে।

স্যাটেলাইটটি আফ্রিকা, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের সবচেয়ে পশ্চিমাংশের ওপর দিয়ে অতিক্রম করতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে স্কাই।

মহাকাশযান চ্যালেঞ্জারের রোবটিক বাহুর সহায়তায় ‘ইআরবিএস’কে কক্ষপথে পাঠিয়েছিলেন মহাকাশে যাওয়া প্রথম মার্কিন নারী স্যালি রাইড।

রাইডের দ্বিতীয় ও সর্বশেষ মহাকাশ অভিযান ছিল এটি। ২০১২ সালে তিনি মারা যান। একই মিশনের অংশ ছিলেন ‘মহাকাশে হাটা’ প্রথম মার্কিন নারী নভোচারী ক্যাথরিন সালিভান।

back to top