সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সম্পাদক পরিষদ। আজ সম্পাদক পরিষদের পক্ষে সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগে সংবাদকর্মীরা ক্রমাগতভাবে নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এর ধারাবাহিকতায় এই আইনের ২৫ (২), ৩১ ও ৩৫ ধারায় প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা এবং প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে কারাগারে প্রেরণ করায় সম্পাদক পরিষদ গভীরভাবে মর্মাহত ও উদ্বেগ প্রকাশ করছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘গত ২৯ মার্চ পরিষদ এক বিবৃতিতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু তারপরও দুঃজনকভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে যে শামসুজ্জামান শামসের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রামে দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার মাহবুবুল আলম বাবলুর বিরুদ্ধে ৩০ মার্চ, ২০২৩ তারিখে এই আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অর্থাৎ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের সংবাদপত্র শিল্প ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর চরম আঘাত বলে সম্পাদক পরিষদ মনে করে।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আইনমন্ত্রী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যহার রোধে প্রয়োজনে বিধি সংশোধনের কথা বলেছিলেন এবং সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে আইনের যথেচ্ছ ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তার আশ্বাসের পরও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই আইনের ক্রমবর্ধমান ঘটনাসমূকে আমরা গভীর উদ্ধেগের সঙ্গে লক্ষ করছি। আমরা এই কাজগুলোকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার হুমকি স্পষ্ট উদাহরণ বলে মনে করি।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সম্পাদক পরিষদ প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান, প্রতিবেদক সামসুজ্জামান শামস এবং দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার মাহবুবুল আলম বাবলুর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাসহ এই আইনে সংবাদকর্মীদর নামে যতগুলো মামলা হয়েছে অবিলম্বে সেই সব মামলা প্রত্যাহার করার বিষয়ে পুনরায় জোরালো দাবি জানাচ্ছি।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সম্পাদক পরিষদ। আজ সম্পাদক পরিষদের পক্ষে সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগে সংবাদকর্মীরা ক্রমাগতভাবে নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এর ধারাবাহিকতায় এই আইনের ২৫ (২), ৩১ ও ৩৫ ধারায় প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা এবং প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে কারাগারে প্রেরণ করায় সম্পাদক পরিষদ গভীরভাবে মর্মাহত ও উদ্বেগ প্রকাশ করছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘গত ২৯ মার্চ পরিষদ এক বিবৃতিতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু তারপরও দুঃজনকভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে যে শামসুজ্জামান শামসের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রামে দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার মাহবুবুল আলম বাবলুর বিরুদ্ধে ৩০ মার্চ, ২০২৩ তারিখে এই আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অর্থাৎ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের সংবাদপত্র শিল্প ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর চরম আঘাত বলে সম্পাদক পরিষদ মনে করে।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আইনমন্ত্রী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যহার রোধে প্রয়োজনে বিধি সংশোধনের কথা বলেছিলেন এবং সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে আইনের যথেচ্ছ ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তার আশ্বাসের পরও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই আইনের ক্রমবর্ধমান ঘটনাসমূকে আমরা গভীর উদ্ধেগের সঙ্গে লক্ষ করছি। আমরা এই কাজগুলোকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার হুমকি স্পষ্ট উদাহরণ বলে মনে করি।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সম্পাদক পরিষদ প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান, প্রতিবেদক সামসুজ্জামান শামস এবং দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার মাহবুবুল আলম বাবলুর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাসহ এই আইনে সংবাদকর্মীদর নামে যতগুলো মামলা হয়েছে অবিলম্বে সেই সব মামলা প্রত্যাহার করার বিষয়ে পুনরায় জোরালো দাবি জানাচ্ছি।’