রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পালাবদলে এগারো বছর পর সম্প্রচারে ফিরছে দিগন্ত টেলিভিশন। ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সহিংসতার পরদিন ‘বিদ্বেষ ও গুজব ছড়ানো এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতার’ অভিযোগে দিগন্ত টেলিভিশন ও ইসলামিক টিভির সম্প্রচার ‘সাময়িকভাবে’ বন্ধ করে দেয় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। সাময়িক ওই নিষেধাজ্ঞা বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) তুলে নেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন গত সোমবার ‘বিক্ষুব্ধ’ মানুষ ৭১ টিভি, সময় টিভি, এটিএন বাংলা, এটিএন নিউজসহ কয়েকটি টেলিভিশনের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে। বন্ধ হয়ে যায় এসব চ্যানেলের সম্প্রচার।
ভাঙচুরকারীদের অভিযোগ, ‘এসব চ্যানেল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পক্ষে থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক ও মিথ্যা খবর সম্প্রচারে ব্যস্ত ছিল।’ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের কার্যালয়ের সামনে রাখা গাড়িও ভাঙচুর করা হয়, কয়েকটিতে আগুন দেয়া হয়।
হামলার কয়েকঘণ্টা পর দুটি টেলিভিশন এবং দু-একদিন পর অন্য টেলিভিশনগুলো সম্প্রচারে ফিরলেও এখনো বন্ধ আছে ৭১ টেলিভিশন। রাষ্ট্রীয়ভাবে এই টেলিভিশনের সম্প্রচারে কোন বাধা নেই বলে জানা গেছে।
দিগন্ত টিভি বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছিলেন, ‘দিগন্ত টেলিভিশনসহ দু-একটি টেলিভিশন ঘটনাকে (হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন) উসকে দিচ্ছে। এসব চ্যানেল বিদ্বেষ ও গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়ে চরম অপরাধ করেছে। তাই তথ্য মন্ত্রণালয় বাধ্য হয়ে প্রচলিত আইনে এ ধরনের গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।’
এই প্রেক্ষিতে সে সময় দিগন্ত টেলিভিশনের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
প্রবল গণআন্দোলনের মুখে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশত্যাগের পর সামগ্রিক চিত্র বদলে যেতে শুরু করে। দিগন্ত টিভিসহ আওয়ামী লীগের আমলে বন্ধ করে দেয়া অন্যান্য টিভি এবং পত্রিকা অনতিবিলম্বে চালু করে দেয়ার আওয়াজ ওঠে।
দিগন্ত টিভি সম্প্রচারে আরোপ করা সাময়িক নিষেধাজ্ঞা বৃহস্পতিবার প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
দিগন্ত টেলিভিশনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে বলা হয়, ‘তথ্য মন্ত্রণালয় তাদের একটা চিঠি দিয়েছে যে, আগের নির্দেশনাটি (সাময়িক নিষেধাজ্ঞা) প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখন বিটিআরসিতে একটা আবেদন করা হবে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের একটা ফ্রিকোয়েন্সি পেলে দিগন্ত টিভি সম্প্রচার শুরু করবে।’
এদিকে, একাত্তর টেলিভিশনের সংশ্লিষ্টরা জানান, তাদের বারিধারার কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে চেয়ার-টেবিল, টেলিভিশন ও কম্পিউটার ভাঙচুর করা হয়েছে। সম্প্রচার স্টেশনে ঢুকে যান্ত্রপতি ভাঙচুর এবং লুট করা হয়েছে। কার্যালয়ের সামনে রাখা একাধিক গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। স্টেশনের সার্বিক পরিস্থিতি এমন যে, এই মুহূর্তে সম্প্রচার চালু করার মতো অবস্থায় নেই ৭১ টিভি।
শুক্রবার, ০৯ আগস্ট ২০২৪
রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পালাবদলে এগারো বছর পর সম্প্রচারে ফিরছে দিগন্ত টেলিভিশন। ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সহিংসতার পরদিন ‘বিদ্বেষ ও গুজব ছড়ানো এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতার’ অভিযোগে দিগন্ত টেলিভিশন ও ইসলামিক টিভির সম্প্রচার ‘সাময়িকভাবে’ বন্ধ করে দেয় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। সাময়িক ওই নিষেধাজ্ঞা বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) তুলে নেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন গত সোমবার ‘বিক্ষুব্ধ’ মানুষ ৭১ টিভি, সময় টিভি, এটিএন বাংলা, এটিএন নিউজসহ কয়েকটি টেলিভিশনের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে। বন্ধ হয়ে যায় এসব চ্যানেলের সম্প্রচার।
ভাঙচুরকারীদের অভিযোগ, ‘এসব চ্যানেল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পক্ষে থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক ও মিথ্যা খবর সম্প্রচারে ব্যস্ত ছিল।’ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের কার্যালয়ের সামনে রাখা গাড়িও ভাঙচুর করা হয়, কয়েকটিতে আগুন দেয়া হয়।
হামলার কয়েকঘণ্টা পর দুটি টেলিভিশন এবং দু-একদিন পর অন্য টেলিভিশনগুলো সম্প্রচারে ফিরলেও এখনো বন্ধ আছে ৭১ টেলিভিশন। রাষ্ট্রীয়ভাবে এই টেলিভিশনের সম্প্রচারে কোন বাধা নেই বলে জানা গেছে।
দিগন্ত টিভি বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছিলেন, ‘দিগন্ত টেলিভিশনসহ দু-একটি টেলিভিশন ঘটনাকে (হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন) উসকে দিচ্ছে। এসব চ্যানেল বিদ্বেষ ও গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়ে চরম অপরাধ করেছে। তাই তথ্য মন্ত্রণালয় বাধ্য হয়ে প্রচলিত আইনে এ ধরনের গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।’
এই প্রেক্ষিতে সে সময় দিগন্ত টেলিভিশনের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
প্রবল গণআন্দোলনের মুখে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশত্যাগের পর সামগ্রিক চিত্র বদলে যেতে শুরু করে। দিগন্ত টিভিসহ আওয়ামী লীগের আমলে বন্ধ করে দেয়া অন্যান্য টিভি এবং পত্রিকা অনতিবিলম্বে চালু করে দেয়ার আওয়াজ ওঠে।
দিগন্ত টিভি সম্প্রচারে আরোপ করা সাময়িক নিষেধাজ্ঞা বৃহস্পতিবার প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
দিগন্ত টেলিভিশনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে বলা হয়, ‘তথ্য মন্ত্রণালয় তাদের একটা চিঠি দিয়েছে যে, আগের নির্দেশনাটি (সাময়িক নিষেধাজ্ঞা) প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখন বিটিআরসিতে একটা আবেদন করা হবে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের একটা ফ্রিকোয়েন্সি পেলে দিগন্ত টিভি সম্প্রচার শুরু করবে।’
এদিকে, একাত্তর টেলিভিশনের সংশ্লিষ্টরা জানান, তাদের বারিধারার কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে চেয়ার-টেবিল, টেলিভিশন ও কম্পিউটার ভাঙচুর করা হয়েছে। সম্প্রচার স্টেশনে ঢুকে যান্ত্রপতি ভাঙচুর এবং লুট করা হয়েছে। কার্যালয়ের সামনে রাখা একাধিক গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। স্টেশনের সার্বিক পরিস্থিতি এমন যে, এই মুহূর্তে সম্প্রচার চালু করার মতো অবস্থায় নেই ৭১ টিভি।