image

সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত ময়মনসিংহ সীমান্ত এলাকায় আটক

সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্ত থেকে সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্তকে আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। এ সময় আরও ২ জনকে আটক করা হয়।

সোমবার ভোর ৬ টার দিকে দক্ষিণ মাইজপাড়া ও পোড়াকান্দুলিয়া সীমান্তের মাঝামামাঝি এলাকায় একটি প্রাইভেটকারসহ চারজনকে আটক করে ‘এলাকাবাসী’। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের থানা হেফাজতে নেয় বলে জানান ধোবাউড়া থানার ওসি মো. চাঁন মিয়া।

দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আর একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু সম্পাদকদের একটি সংগঠন এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের সভাপতি।

আটক বাকি দুজন হলেন, একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মাহবুবুর রহমান এবং প্রাইভেটকারের চালক সেলিম।

ওসি চাঁন মিয়া বলেন, ‘তারা সীমান্ত হয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। তাদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে আটকৃতরা পুলিশ হেফাজতে আছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। আইনগত ব‍্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

বৈষম্যবিরোধী অন্দোলনকারীদের নামে পদচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ‘সাংবাদিকতার আড়ালে জাতীয় স্বার্থ এবং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার’ অভিযোগে যে ৫১ জন সাংবাদিককে কর্মস্থল থেকে বহিষ্কার এবং সাংবাদিক অঙ্গনে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিল, সেখানে মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্তর নাম ছিল।

তাদের দুজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাও দায়ের করা হয়েছে। আন্দোলনের মধ্যে রাজধানীর মিরপুরে মো. ফজলু হত্যার ঘটনায় ভাসানটেক থানায় দায়ের করা এক মামলায় শ্যামল দত্ত আসামি। আর যাত্রাবাড়ীতে শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার হত্যা মামলার আসামির তালিকায় রয়েছে মোজাম্মেল বাবুর নাম।

৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পরদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া হয়ে সপরিবারে ভারতে যাওয়ার সময় শ্যামল দত্তকে আটকে দিয়েছিল ইমিগ্রেশন পুলিশ। এর পর থেকে তাকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। আর শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন মোজাম্মেল বাবু ।

এর আগে গত ২১ অগাস্ট ফান্সে যাওয়ার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয় সাংবাদিক দম্পতি শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রূপাকে।

শাকিল একাত্তর টেলিভিশনের বার্তা প্রধান এবং রূপা একই টেলিভিশনের মুখ্য প্রতিবেদক ছিলেন। তাদের দুটি হত্যা মামলায় দুই দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিশ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যে সাংবাদিকদের 'নিষিদ্ধ করার' দাবি জানিয়েছিল, সেখানে শাকিল ও রূপার নামও ছিল। সরকার পতনের পরপর গত ৮ আগস্ট শাকিল ও রূপাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয় একাত্তর টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।

‘মিডিয়া’ : আরও খবর

» গণমাধ্যমে হামলার নিন্দা, দ্রুত তদন্তের দাবি : এমএফসি

» সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় সাংবাদিক আনিস আলমগীরের ৭ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

সম্প্রতি