# বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ‘জিয়াফত’ ও ‘গরু জবেহ’ কর্মসূচি ডেকে দৈনিক প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে পুলিশ। পরে বিকালে সেনা সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
প্রথম আলোকে ‘ভারতপন্থি’ আখ্যা দিয়ে গত কয়েকদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছে একদল লোক। এর ধারাবাহিকতায় তারা রোববার কারওয়ান বাজারে ওই পত্রিকা অফিসের সামনে ‘জিয়াফত’ কর্মসূচি পালনের ডাক দেয়। বিকাল থেকে একদল লোক সেখানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের হাতাহাতি বেধে যায়। সন্ধ্যায় তা গড়ায় সংঘাতে। এরপর সেনা সদস্যরা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
ঘটনাস্থল থেকে দৈনিক ইত্তেফাকের একজন সাংবাদিক বলেন,‘জিয়াফত’ কর্মসূচি পালনের কথা বলে রোববার বিকালে দুটো গরু নিয়ে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ের আসেন একদল লোক। তাদের পুলিশ বাধা দেয়। পরে তারা প্রথম আলো কার্যালয় প্রগতি ভবনের সামনে থেকে সরে এক পাশে এসে গরু জবাই করে। পুলিশ তাদের কয়েক দফায় সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। সন্ধ্যায় সেখান থেকে সাউন্ড গ্রেনেডের আওয়াজ শোনা যাওয়ার কথা বলেন ওই সাংবাদিক।
তেজগাঁও থানার ওসি মোবারক হোসেন সন্ধ্যা ৭টায় বলেন,‘ওরা কয়েকদিন ধরে এই কর্মসূচি পালন করে আসছে। ওদেরকে সরে যেতে বলার পরও তারা যাচ্ছে না। কয়েকটা সাউন্ড গ্রেনেড মারার পরও তারা সরছে না।’ ঘটনাস্থল থেকে তেজগাঁও থানার এসআই আকরাম হোসেন সন্ধ্যায় বলেন,‘এখন কারওয়ানবাজার এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। আমরা তাদের সঙ্গে আছি।’
এ নিয়ে প্রথম আলোর সাংবাদিক ও কর্মীরা কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তাদের মুখপাত্রের বক্তব্য মেলেনি। ‘ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার জিয়াফত’ ব্যানারে ’প্রথম গরু জবেহ’ শীর্ষক কর্মসূচি নিয়ে কারওয়ান বাজারে এসেছিল নিজেদের ‘বাংলাদেশের জনগণ’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া এসব ব্যক্তি।
গত কয়েকদিন ধরে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের বিরোধিতা করে এমন কর্মসূচি দিচ্ছেন একদল ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। গত শুক্রবার ডেইলি স্টারের কার্যালয়ের সামনে জুম্মার নামাজ আদায় করতে দেখা যায় তাদের একটি অংশকে।
রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
# বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ‘জিয়াফত’ ও ‘গরু জবেহ’ কর্মসূচি ডেকে দৈনিক প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে পুলিশ। পরে বিকালে সেনা সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
প্রথম আলোকে ‘ভারতপন্থি’ আখ্যা দিয়ে গত কয়েকদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছে একদল লোক। এর ধারাবাহিকতায় তারা রোববার কারওয়ান বাজারে ওই পত্রিকা অফিসের সামনে ‘জিয়াফত’ কর্মসূচি পালনের ডাক দেয়। বিকাল থেকে একদল লোক সেখানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের হাতাহাতি বেধে যায়। সন্ধ্যায় তা গড়ায় সংঘাতে। এরপর সেনা সদস্যরা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
ঘটনাস্থল থেকে দৈনিক ইত্তেফাকের একজন সাংবাদিক বলেন,‘জিয়াফত’ কর্মসূচি পালনের কথা বলে রোববার বিকালে দুটো গরু নিয়ে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ের আসেন একদল লোক। তাদের পুলিশ বাধা দেয়। পরে তারা প্রথম আলো কার্যালয় প্রগতি ভবনের সামনে থেকে সরে এক পাশে এসে গরু জবাই করে। পুলিশ তাদের কয়েক দফায় সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। সন্ধ্যায় সেখান থেকে সাউন্ড গ্রেনেডের আওয়াজ শোনা যাওয়ার কথা বলেন ওই সাংবাদিক।
তেজগাঁও থানার ওসি মোবারক হোসেন সন্ধ্যা ৭টায় বলেন,‘ওরা কয়েকদিন ধরে এই কর্মসূচি পালন করে আসছে। ওদেরকে সরে যেতে বলার পরও তারা যাচ্ছে না। কয়েকটা সাউন্ড গ্রেনেড মারার পরও তারা সরছে না।’ ঘটনাস্থল থেকে তেজগাঁও থানার এসআই আকরাম হোসেন সন্ধ্যায় বলেন,‘এখন কারওয়ানবাজার এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। আমরা তাদের সঙ্গে আছি।’
এ নিয়ে প্রথম আলোর সাংবাদিক ও কর্মীরা কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তাদের মুখপাত্রের বক্তব্য মেলেনি। ‘ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার জিয়াফত’ ব্যানারে ’প্রথম গরু জবেহ’ শীর্ষক কর্মসূচি নিয়ে কারওয়ান বাজারে এসেছিল নিজেদের ‘বাংলাদেশের জনগণ’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া এসব ব্যক্তি।
গত কয়েকদিন ধরে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের বিরোধিতা করে এমন কর্মসূচি দিচ্ছেন একদল ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। গত শুক্রবার ডেইলি স্টারের কার্যালয়ের সামনে জুম্মার নামাজ আদায় করতে দেখা যায় তাদের একটি অংশকে।