সংবাদমাধ্যমে জেন্ডার সমতা, ন্যায্যতা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য একটি ‘জেন্ডার-বিষয়ক অঙ্গীকার সনদ’ প্রকাশ করেছে মিডিয়া রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআরডিআই)। রোববার রাজধানীতে আয়োজিত এই সনদ প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তারা সংবাদমাধ্যমে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত এবং তাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস বলেন, “গণতন্ত্রের জন্য নারী ও পুরুষকে সমানভাবে চিত্রিত করা গুরুত্বপূর্ণ। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম।”
জানা যায়, সনদটি প্রণয়নে সাংবাদিক, শিক্ষক, অধিকারকর্মী, জেন্ডার বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবীদের সমন্বয়ে ১০ সদস্যের একটি দল কাজ করে। রাজধানী ও জেলা পর্যায়ের ১২৯ জন অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে এবং ১৫টি দলীয় আলোচনার মাধ্যমে সনদটি চূড়ান্ত করা হয়।
জেন্ডার সমতার অঙ্গীকার:
জেন্ডার চার্টার্ড ওয়ার্কিং গ্রুপ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ২০টি সংবাদমাধ্যম এই সনদে স্বাক্ষর করেছে। আরও দুটি টিভি স্টেশনের স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন জানান, “সংবাদমাধ্যমে সব জেন্ডারের উপস্থিতি ও মতামত সমানভাবে নিশ্চিত করতে সনদটি তৈরি করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “সংবাদমাধ্যমে নারীর অংশগ্রহণ তুলনামূলকভাবে কম। সবার মতপ্রকাশের জন্য সুস্পষ্ট নীতিমালা থাকা জরুরি। এ সনদ সংবাদমাধ্যমে স্বচ্ছতা ও সমতার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।”
পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, “নতুন সংবাদমাধ্যমগুলোর কর্মীদের জেন্ডার সংবেদনশীলতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য পিআইবি প্রস্তুত। গণমাধ্যমে কর্মীদের সাপ্তাহিক ছুটির সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।”
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ বলেন, “সংবাদমাধ্যমের সংস্কার নিশ্চিত করতে সব পক্ষের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। চাপিয়ে দেওয়া কোনো নীতিমালা টেকসই হবে না।”
অনুষ্ঠানে দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. গোলাম রহমান, সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, চ্যানেল আইয়ের সিনিয়র নিউজ এডিটর মীর মাশরুরুজ্জামান রনি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এই অঙ্গীকার সনদ সংবাদমাধ্যমে জেন্ডার সমতা ও সংবেদনশীলতার প্রতি দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করবে বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদমাধ্যমে জেন্ডার সমতা, ন্যায্যতা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য একটি ‘জেন্ডার-বিষয়ক অঙ্গীকার সনদ’ প্রকাশ করেছে মিডিয়া রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআরডিআই)। রোববার রাজধানীতে আয়োজিত এই সনদ প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তারা সংবাদমাধ্যমে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত এবং তাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস বলেন, “গণতন্ত্রের জন্য নারী ও পুরুষকে সমানভাবে চিত্রিত করা গুরুত্বপূর্ণ। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম।”
জানা যায়, সনদটি প্রণয়নে সাংবাদিক, শিক্ষক, অধিকারকর্মী, জেন্ডার বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবীদের সমন্বয়ে ১০ সদস্যের একটি দল কাজ করে। রাজধানী ও জেলা পর্যায়ের ১২৯ জন অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে এবং ১৫টি দলীয় আলোচনার মাধ্যমে সনদটি চূড়ান্ত করা হয়।
জেন্ডার সমতার অঙ্গীকার:
জেন্ডার চার্টার্ড ওয়ার্কিং গ্রুপ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ২০টি সংবাদমাধ্যম এই সনদে স্বাক্ষর করেছে। আরও দুটি টিভি স্টেশনের স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন জানান, “সংবাদমাধ্যমে সব জেন্ডারের উপস্থিতি ও মতামত সমানভাবে নিশ্চিত করতে সনদটি তৈরি করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “সংবাদমাধ্যমে নারীর অংশগ্রহণ তুলনামূলকভাবে কম। সবার মতপ্রকাশের জন্য সুস্পষ্ট নীতিমালা থাকা জরুরি। এ সনদ সংবাদমাধ্যমে স্বচ্ছতা ও সমতার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।”
পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, “নতুন সংবাদমাধ্যমগুলোর কর্মীদের জেন্ডার সংবেদনশীলতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য পিআইবি প্রস্তুত। গণমাধ্যমে কর্মীদের সাপ্তাহিক ছুটির সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।”
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ বলেন, “সংবাদমাধ্যমের সংস্কার নিশ্চিত করতে সব পক্ষের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। চাপিয়ে দেওয়া কোনো নীতিমালা টেকসই হবে না।”
অনুষ্ঠানে দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. গোলাম রহমান, সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, চ্যানেল আইয়ের সিনিয়র নিউজ এডিটর মীর মাশরুরুজ্জামান রনি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এই অঙ্গীকার সনদ সংবাদমাধ্যমে জেন্ডার সমতা ও সংবেদনশীলতার প্রতি দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করবে বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।