ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা এক মামলায় দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক *বাংলাদেশ প্রতিদিন*-এর সাবেক সম্পাদক নঈম নিজামসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি সাইবার ট্রাইব্যুনাল।
রোববার (২১ জুলাই) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম এ আদেশ দেন।
পরোয়ানায় যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন—বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী এবং অনলাইন পোর্টাল বাংলা ইনসাইডারের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ বোরহান কবীর।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া জানান, মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত ২ জুন প্রতিবেদনটি আদালত আমলে নেন।
“এরপর আসামিদের হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করা হয়। কিন্তু তাঁরা কেউই রোববার আদালতে হাজির হননি। এ অবস্থায় বাদীপক্ষ থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন,” বলেন তিনি।
গ্রেপ্তারের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৮ আগস্ট তারিখ নির্ধারণ করেছেন বিচারক।
মামলাটি দায়ের করা হয় ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন আদালতে অভিযোগ করেন, ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় “নুসরাতকে দিয়ে বিচ্ছু সামশু সিন্ডিকেটের ফের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে তাকে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত, এমনকি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাথেও সংশ্লিষ্ট বলে উল্লেখ করা হয়।
সারোয়ার অভিযোগ করেন, তিনি ওই সময় নুসরাতের আইনজীবী ছিলেন না, বরং মামলার একটি শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন মাত্র।
মামলায় আরও বলা হয়, পরদিন অর্থাৎ ৮ সেপ্টেম্বর বাংলা ইনসাইডার পত্রিকায় “কে এই সারোয়ার” শিরোনামে আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যাতে তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাষ্ট্রবিরোধী চক্রের সঙ্গে যুক্ত দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
মামলায় শুরুতে সাতজনকে আসামি করা হয়, যাদের মধ্যে ভাইরাল প্রতিদিন নামের একটি ফেসবুক পেইজের অ্যাডমিন, ভিডিও নির্মাতা ও প্রযুক্তি সহকারীর নামও রয়েছে।
২০২৪ সালের ২০ নভেম্বর সিআইডির এসআই তরিকুল ইসলাম তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন, যেখানে তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়—নঈম নিজাম, ময়নাল হোসেন চৌধুরী ও সৈয়দ বোরহান কবীর।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের কারো পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
---
রোববার, ২৭ জুলাই ২০২৫
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা এক মামলায় দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক *বাংলাদেশ প্রতিদিন*-এর সাবেক সম্পাদক নঈম নিজামসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি সাইবার ট্রাইব্যুনাল।
রোববার (২১ জুলাই) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম এ আদেশ দেন।
পরোয়ানায় যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন—বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী এবং অনলাইন পোর্টাল বাংলা ইনসাইডারের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ বোরহান কবীর।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া জানান, মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত ২ জুন প্রতিবেদনটি আদালত আমলে নেন।
“এরপর আসামিদের হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করা হয়। কিন্তু তাঁরা কেউই রোববার আদালতে হাজির হননি। এ অবস্থায় বাদীপক্ষ থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন,” বলেন তিনি।
গ্রেপ্তারের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৮ আগস্ট তারিখ নির্ধারণ করেছেন বিচারক।
মামলাটি দায়ের করা হয় ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন আদালতে অভিযোগ করেন, ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় “নুসরাতকে দিয়ে বিচ্ছু সামশু সিন্ডিকেটের ফের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে তাকে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত, এমনকি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাথেও সংশ্লিষ্ট বলে উল্লেখ করা হয়।
সারোয়ার অভিযোগ করেন, তিনি ওই সময় নুসরাতের আইনজীবী ছিলেন না, বরং মামলার একটি শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন মাত্র।
মামলায় আরও বলা হয়, পরদিন অর্থাৎ ৮ সেপ্টেম্বর বাংলা ইনসাইডার পত্রিকায় “কে এই সারোয়ার” শিরোনামে আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যাতে তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাষ্ট্রবিরোধী চক্রের সঙ্গে যুক্ত দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
মামলায় শুরুতে সাতজনকে আসামি করা হয়, যাদের মধ্যে ভাইরাল প্রতিদিন নামের একটি ফেসবুক পেইজের অ্যাডমিন, ভিডিও নির্মাতা ও প্রযুক্তি সহকারীর নামও রয়েছে।
২০২৪ সালের ২০ নভেম্বর সিআইডির এসআই তরিকুল ইসলাম তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন, যেখানে তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়—নঈম নিজাম, ময়নাল হোসেন চৌধুরী ও সৈয়দ বোরহান কবীর।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের কারো পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
---