নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় ফেসবুক লাইভ ও আল জাজিরায় সরকারের সমালোচনা করায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের মামলা বাতিল করেছে হাই কোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি তামান্না রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ মামলাটি বাতিলের রায় দেন। শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন, আবদুল্লাহ আল নোমান ও প্রিয়া আহসান চৌধুরী।
প্রায় সাত বছর আগে ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে শহিদুল আলমকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। তার আগের দু’দিন তিনি নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় জিগাতলা এলাকায় সংঘর্ষের বিষয়ে ফেসবুক লাইভে বক্তব্য দেন এবং আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সরকারের সমালোচনা করেন।
এরপর রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করে পুলিশ। অভিযোগ করা হয়, তিনি ‘কল্পনাপ্রসূত ও অসত্য তথ্য’ প্রচার করে জনমনে ভীতি ছড়িয়েছেন এবং আন্তর্জাতিকভাবে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন।
প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাবন্দি থাকার পর ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান শহিদুল আলম।
মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তিনি ২০১৯ সালের ৩ মার্চ হাই কোর্টে রিট করেন। হাই কোর্ট প্রাথমিক শুনানি শেষে রুল জারি করে তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়। তবে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে এক বেঞ্চ ওই রুল খারিজ করে দেয়।
পরে তিনি মামলাটি সম্পূর্ণ বাতিল চেয়ে পুনরায় হাই কোর্টে আবেদন করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদালত রুল যথাযথ ঘোষণা করে মামলাটি বাতিল করে দেয়।
মানবাধিকারকর্মী ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে খ্যাতিমান আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে করা মামলাটি শুরু থেকেই বিতর্কিত ছিল বলে মনে করেন তার আইনজীবীরা। তাদের মতে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করায় তার বিরুদ্ধে এই মামলা হয়েছিল।
---
বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় ফেসবুক লাইভ ও আল জাজিরায় সরকারের সমালোচনা করায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের মামলা বাতিল করেছে হাই কোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি তামান্না রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ মামলাটি বাতিলের রায় দেন। শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন, আবদুল্লাহ আল নোমান ও প্রিয়া আহসান চৌধুরী।
প্রায় সাত বছর আগে ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে শহিদুল আলমকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। তার আগের দু’দিন তিনি নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় জিগাতলা এলাকায় সংঘর্ষের বিষয়ে ফেসবুক লাইভে বক্তব্য দেন এবং আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সরকারের সমালোচনা করেন।
এরপর রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করে পুলিশ। অভিযোগ করা হয়, তিনি ‘কল্পনাপ্রসূত ও অসত্য তথ্য’ প্রচার করে জনমনে ভীতি ছড়িয়েছেন এবং আন্তর্জাতিকভাবে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন।
প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাবন্দি থাকার পর ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান শহিদুল আলম।
মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তিনি ২০১৯ সালের ৩ মার্চ হাই কোর্টে রিট করেন। হাই কোর্ট প্রাথমিক শুনানি শেষে রুল জারি করে তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়। তবে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে এক বেঞ্চ ওই রুল খারিজ করে দেয়।
পরে তিনি মামলাটি সম্পূর্ণ বাতিল চেয়ে পুনরায় হাই কোর্টে আবেদন করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদালত রুল যথাযথ ঘোষণা করে মামলাটি বাতিল করে দেয়।
মানবাধিকারকর্মী ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে খ্যাতিমান আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে করা মামলাটি শুরু থেকেই বিতর্কিত ছিল বলে মনে করেন তার আইনজীবীরা। তাদের মতে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করায় তার বিরুদ্ধে এই মামলা হয়েছিল।
---