alt

যুক্তরাজ্যের সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানের মতে, জুলাই সনদে রয়েছে প্রগতিশীল সংস্কার

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫

যুক্তরাজ্যের সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান জুলাই সনদের সমন্বিত খসড়া পড়েছেন এবং এ নিয়ে তার মতামত দিয়েছেন। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি পোস্টের মাধ্যমে বিস্তারিত বিশ্লেষণ প্রকাশ করেন। বার্গম্যান বহু বছর ধরে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে লিখছেন।

তিনি জানান, তিনি সবে ২৭ পৃষ্ঠার জুলাই সনদের অনানুষ্ঠানিক ইংরেজি সংস্করণ পড়েছেন, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। এই সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য প্রতিফলিত হওয়ার কথা। তার মন্তব্যগুলো প্রধানভাবে নিম্নরূপ:

১. সনদের লক্ষ্য ও সংস্কার: সনদটি জটিল, বোঝার জন্য সময় লাগবে। প্রথম দৃষ্টিতে প্রস্তাবিত সংস্কারগুলো সাধারণ বুদ্ধিতে গ্রহণযোগ্য এবং প্রগতিশীল। এগুলোর উদ্দেশ্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও স্বাধীন করা এবং প্রধানমন্ত্রীর হাতে কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা কমানো। এতে এমন সংস্কার অন্তর্ভুক্ত, যা সংবিধান সংস্কারের জন্য আগ্রহী বেশিরভাগ মানুষ সমর্থন করবেন বলে মনে হয়।

২. রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি: বার্গম্যান লক্ষ্য করেছেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি’ অংশে কৌশলী অস্পষ্টতা রাখা হয়েছে। মূলনীতিতে বর্তমানে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দটি অন্তর্ভুক্ত, যা ইসলামি ডানপন্থীদের আক্রমণের মুখে পড়তে পারে। সনদের ৭ অনুচ্ছেদে প্রস্তাবিত নতুন অংশে ‘সমতা, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়, গণতন্ত্র এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি’ অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এর মাধ্যমে ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্ক ভবিষ্যতে নির্বাচিত সরকারের হাতে যাওয়ার সুযোগ থাকবে।

৩. সংসদের দ্বিতীয় কক্ষ: নতুন সংসদ গঠনের লক্ষ্য হলো প্রধানমন্ত্রীর এবং যেকোনো নতুন সরকারের ক্ষমতার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। তবে বাস্তবে এটি কীভাবে কার্যকর হবে তা এখনও অস্পষ্ট।

৪. সনদ সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠা: সনদকে সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, এমনকি বর্তমান সংবিধানেরও উপরে। বার্গম্যান যুক্তি দিয়েছেন—রাষ্ট্রের মালিক জনগণ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণের ইচ্ছা রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। যেহেতু জুলাই সনদ রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতিমূলক দলিল, তাই এটিকে ‘জনগণের ইচ্ছার সর্বোচ্চ প্রকাশ’ হিসেবে গণ্য করা যায় না।

৫. নিহত ও আহতের সংখ্যা: সনদে বলা হয়েছে, ‘১ হাজার ৪০০ জনের বেশি নিরস্ত্র নাগরিক নিহত হয়েছেন’। সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিশ্চিত তালিকা অনুযায়ী সংখ্যা প্রায় ৮৫০ জন। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ১ হাজার ৪০০ জন ‘নিহত হয়ে থাকতে পারে’, যা নিশ্চিত নয়। এছাড়া নিহতদের মধ্যে ৫২ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।

বার্গম্যানের মতে, সনদটি এমনভাবে সংশোধন করা উচিত যাতে নিহতের সংখ্যা জুলাই ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে এবং আহতের পরিসংখ্যান সরকারি তথ্যের সঙ্গে মিল রেখে ব্যবহার করা হয়।

৬. ২০০৯-২৪ সালের আওয়ামী লীগ আমলের উল্লেখ: সনদের পটভূমি অংশে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সমালোচকদের গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার হরণ করেছে এবং রাষ্ট্রীয় মদদে নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও ভীতির রাজত্ব কায়েম করেছে। বার্গম্যান মনে করেন, ‘নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও ভয়ের রাজত্ব’ অতিরঞ্জিত এবং বিশেষ করে ২০০৯ সালের পিলখানার বিডিআর হত্যাকাণ্ডকে রাষ্ট্রীয় নৃশংসতার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যুক্তিসঙ্গত নয়। বরং ওই ঘটনায় সরকারকে ইচ্ছাকৃত হত্যার চেয়ে সম্ভবত অব্যবস্থাপনার জন্য অভিযুক্ত করা যায়।

ডেভিড বার্গম্যানের বিশ্লেষণে দেখা যায়, জুলাই সনদে কিছু ইতিবাচক সংস্কার রয়েছে, যা রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থনও পেয়েছে। তবে সনদটি সংবিধানকে অতিক্রম করার প্রচেষ্টা, নিহত ও আহতের সংখ্যা, এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যের উপর অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়গুলো বিতর্কিত এবং আরও সতর্কতার সঙ্গে প্রক্রিয়াকরণ প্রয়োজন।

তিনি শেষ করেন, এটি জনগণের ইচ্ছার সর্বোচ্চ প্রকাশ হিসেবে না দেখিয়ে, প্রক্রিয়াটিকে সংযমী ও বাস্তবসম্মতভাবে মূল্যায়ন করার পরামর্শ দিয়ে।

ছবি

খাগড়াছড়ির অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের

ছবি

জাকসু: অমর্ত্য রায় জনের প্রার্থিতা বাতিল, ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলের জরুরি সংবাদ সম্মেলন

ছবি

খুলনায় সাংবাদিক বুলুর মৃত্যু: সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা, সিদ্ধান্তে নৌ পুলিশ

ছবি

এক সাংবাদিকের জামিন শুনানিতে আরেক সাংবাদিককে বিচারকের সামনে আইনজীবির মারধর

ছবি

পলাশ উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন করলেন ড. মঈন খান

ছবি

ছবি অস্বীকার, ডিআরইউতে মব সৃষ্টি ও আওয়ামী লীগ আমলের আইন নিয়ে নতুন উদ্যোগে সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ

ছবি

খুলনায় সাংবাদিক বুলুর মৃতদেহের সুরতহাল, অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত দাবি

ছবি

মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধান আলোচনা: ‘মব হামলা’ মামলায় ১৬ জন কারাগারে

ছবি

ডিআরইউতে আলোচনায় ‘মব হামলা’, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদ প্রতিবাদে সরব

ছবি

নজরুল প্রয়াণ দিবসে বিটিভিতে ‘আলেয়া’ ও অন্যান্য

ছবি

হত্যা মামলায় কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি পাঁচ দিনের রিমান্ডে

ছবি

বিভুরঞ্জন  ময়নাতদন্ত সম্পন্ন : মুন্সিগঞ্জ থেকে লাশ হস্তান্তর, ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন স্বজনরা

ছবি

আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলা : মাইটিভি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী রিমান্ড শেষে কারাগারে

ছবি

সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, বিকালে ঢাকায় শেষকৃত্যের প্রস্তুতি

ছবি

সংবাদের প্রবীণ সাংবাদিক রুকুনউদ্দৌলাহ মারা গেছেন

ছবি

নিখোঁজের এক দিন পর সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের মৃতদেহ পাওয়া গেলো মেঘনায়

ছবি

সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার নিখোঁজ, রমনা থানায় জিডি

ছবি

মাইটিভি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী ৫ দিনের রিমান্ডে

ছবি

ইনডিপেনডেন্ট টিভির প্রধান সম্পাদক শামসুরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছবি

গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অনাকাঙ্ক্ষিত ও ঢালাও অভিযোগের প্রতিবাদ সম্পাদক পরিষদের

ছবি

মোজাম্মেল বাবুকে আবার গ্রেপ্তার দেখানো হলো, এবার ‘চাঁদাবাজির মামলায়’

ছবি

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নোয়াবের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার

ছবি

শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলা বাতিল হাই কোর্টে

ছবি

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে নোয়াবের উদ্বেগ

ছবি

গণমাধ্যমের মালিকানা ব্যবসাকেন্দ্রিক, সাংবাদিকতা পুঁজি রক্ষার হাতিয়ার: আলী রীয়াজ

ছবি

আবদুল কাদেরের অভিযোগের জবাবে সাদিক কায়েমের ব্যাখ্যা

ছবি

প্রেস কাউন্সিলের নতুন কমিটিতে মাহফুজ আনাম ও নুরুল কবীর

ছবি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নঈম নিজামসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

নারী সাংবাদিকদের প্রযুক্তি ও নৈতিকতা বিষয়ে তিন দিনের প্রশিক্ষণ শেষ

ছবি

নারী সাংবাদিকদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সমাপ্ত হলো দুইদিনের নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ

নিবন্ধন পেল অনলাইন নিউজপোর্টাল ‘দ্য নিউজ ২৪ ডটকম’

ছবি

সাংবাদিকদের অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশসহ নানা সংস্কার উদ্যোগ ঘোষণা

মিডিয়ার প্রতি হুমকি,জাতীয় প্রেস ক্লাবের উদ্বেগ

ছবি

নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাচন, আবু সাউদ মাসুদ সভাপতি, বিল্লাল হোসেন রবিন সহসভাপতি ও আফজাল হোসেন পন্টি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

ছবি

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের অভিযোগ আইএসপিআরের

ছবি

সংশোধিত সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ ২০২৫: নতুন ধারায় সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ

tab

যুক্তরাজ্যের সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানের মতে, জুলাই সনদে রয়েছে প্রগতিশীল সংস্কার

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫

যুক্তরাজ্যের সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান জুলাই সনদের সমন্বিত খসড়া পড়েছেন এবং এ নিয়ে তার মতামত দিয়েছেন। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি পোস্টের মাধ্যমে বিস্তারিত বিশ্লেষণ প্রকাশ করেন। বার্গম্যান বহু বছর ধরে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে লিখছেন।

তিনি জানান, তিনি সবে ২৭ পৃষ্ঠার জুলাই সনদের অনানুষ্ঠানিক ইংরেজি সংস্করণ পড়েছেন, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। এই সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য প্রতিফলিত হওয়ার কথা। তার মন্তব্যগুলো প্রধানভাবে নিম্নরূপ:

১. সনদের লক্ষ্য ও সংস্কার: সনদটি জটিল, বোঝার জন্য সময় লাগবে। প্রথম দৃষ্টিতে প্রস্তাবিত সংস্কারগুলো সাধারণ বুদ্ধিতে গ্রহণযোগ্য এবং প্রগতিশীল। এগুলোর উদ্দেশ্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও স্বাধীন করা এবং প্রধানমন্ত্রীর হাতে কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা কমানো। এতে এমন সংস্কার অন্তর্ভুক্ত, যা সংবিধান সংস্কারের জন্য আগ্রহী বেশিরভাগ মানুষ সমর্থন করবেন বলে মনে হয়।

২. রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি: বার্গম্যান লক্ষ্য করেছেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি’ অংশে কৌশলী অস্পষ্টতা রাখা হয়েছে। মূলনীতিতে বর্তমানে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দটি অন্তর্ভুক্ত, যা ইসলামি ডানপন্থীদের আক্রমণের মুখে পড়তে পারে। সনদের ৭ অনুচ্ছেদে প্রস্তাবিত নতুন অংশে ‘সমতা, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়, গণতন্ত্র এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি’ অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এর মাধ্যমে ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্ক ভবিষ্যতে নির্বাচিত সরকারের হাতে যাওয়ার সুযোগ থাকবে।

৩. সংসদের দ্বিতীয় কক্ষ: নতুন সংসদ গঠনের লক্ষ্য হলো প্রধানমন্ত্রীর এবং যেকোনো নতুন সরকারের ক্ষমতার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। তবে বাস্তবে এটি কীভাবে কার্যকর হবে তা এখনও অস্পষ্ট।

৪. সনদ সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠা: সনদকে সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, এমনকি বর্তমান সংবিধানেরও উপরে। বার্গম্যান যুক্তি দিয়েছেন—রাষ্ট্রের মালিক জনগণ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণের ইচ্ছা রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। যেহেতু জুলাই সনদ রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতিমূলক দলিল, তাই এটিকে ‘জনগণের ইচ্ছার সর্বোচ্চ প্রকাশ’ হিসেবে গণ্য করা যায় না।

৫. নিহত ও আহতের সংখ্যা: সনদে বলা হয়েছে, ‘১ হাজার ৪০০ জনের বেশি নিরস্ত্র নাগরিক নিহত হয়েছেন’। সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিশ্চিত তালিকা অনুযায়ী সংখ্যা প্রায় ৮৫০ জন। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ১ হাজার ৪০০ জন ‘নিহত হয়ে থাকতে পারে’, যা নিশ্চিত নয়। এছাড়া নিহতদের মধ্যে ৫২ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।

বার্গম্যানের মতে, সনদটি এমনভাবে সংশোধন করা উচিত যাতে নিহতের সংখ্যা জুলাই ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে এবং আহতের পরিসংখ্যান সরকারি তথ্যের সঙ্গে মিল রেখে ব্যবহার করা হয়।

৬. ২০০৯-২৪ সালের আওয়ামী লীগ আমলের উল্লেখ: সনদের পটভূমি অংশে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সমালোচকদের গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার হরণ করেছে এবং রাষ্ট্রীয় মদদে নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও ভীতির রাজত্ব কায়েম করেছে। বার্গম্যান মনে করেন, ‘নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও ভয়ের রাজত্ব’ অতিরঞ্জিত এবং বিশেষ করে ২০০৯ সালের পিলখানার বিডিআর হত্যাকাণ্ডকে রাষ্ট্রীয় নৃশংসতার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যুক্তিসঙ্গত নয়। বরং ওই ঘটনায় সরকারকে ইচ্ছাকৃত হত্যার চেয়ে সম্ভবত অব্যবস্থাপনার জন্য অভিযুক্ত করা যায়।

ডেভিড বার্গম্যানের বিশ্লেষণে দেখা যায়, জুলাই সনদে কিছু ইতিবাচক সংস্কার রয়েছে, যা রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থনও পেয়েছে। তবে সনদটি সংবিধানকে অতিক্রম করার প্রচেষ্টা, নিহত ও আহতের সংখ্যা, এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যের উপর অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়গুলো বিতর্কিত এবং আরও সতর্কতার সঙ্গে প্রক্রিয়াকরণ প্রয়োজন।

তিনি শেষ করেন, এটি জনগণের ইচ্ছার সর্বোচ্চ প্রকাশ হিসেবে না দেখিয়ে, প্রক্রিয়াটিকে সংযমী ও বাস্তবসম্মতভাবে মূল্যায়ন করার পরামর্শ দিয়ে।

back to top