জুলাই আন্দোলনের সময়কার আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলায় বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশন মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম রাকিবুল হাসান তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক খান মো. এরফান তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ‘অনৈতিক প্রভাব ও প্রতিপত্তি’ কাজে লাগিয়ে তিনি দলীয় ও ব্যক্তিগত স্বার্থে আওয়ামী সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে আসাদুল হক বাবু হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। এছাড়া উসকানিমূলক বক্তব্য ও প্রচার কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম জামিন আবেদন শুনানিতে বলেন, “তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। মামলার বাদী অ্যাভিডেভিট দিয়ে জানিয়েছেন, ভুল তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আসামি করা হয়েছে। জামিন, অব্যাহতি বা খালাস পেলে বাদীর কোনো আপত্তি নেই।”
তিনি আরও বলেন, “আসামি জামিনে মুক্তি পেলে পলাতক হবেন না। তিনি অসুস্থ এবং নানা রোগে আক্রান্ত।”
তবে রাষ্ট্রপক্ষের কাইয়ুম হোসেন নয়ন বলেন, “এটি হত্যা মামলা। আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।”
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে নাসির উদ্দিন সাথীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই মো. শরীফুজ্জামান।
রোববার গুলশান থেকে নাসির উদ্দিন সাথীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
মামলার বিবরণী অনুযায়ী, জুলাই আন্দোলনের সময় গত বছরের ৫ অগাস্ট যাত্রাবাড়ীর ‘পাকা রাস্তায়’ বিক্ষোভে অংশ নেন আসাদুল হক বাবু। দুপুর আড়াইটার দিকে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে তিনি নিহত হন।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন গত বছরের ৩০ অগাস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। আসামির তালিকায় নাসির উদ্দিন সাথীর ছেলে তৌহিদ আফ্রিদির নামও রয়েছে।
শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫
জুলাই আন্দোলনের সময়কার আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলায় বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশন মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম রাকিবুল হাসান তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক খান মো. এরফান তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ‘অনৈতিক প্রভাব ও প্রতিপত্তি’ কাজে লাগিয়ে তিনি দলীয় ও ব্যক্তিগত স্বার্থে আওয়ামী সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে আসাদুল হক বাবু হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। এছাড়া উসকানিমূলক বক্তব্য ও প্রচার কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম জামিন আবেদন শুনানিতে বলেন, “তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। মামলার বাদী অ্যাভিডেভিট দিয়ে জানিয়েছেন, ভুল তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আসামি করা হয়েছে। জামিন, অব্যাহতি বা খালাস পেলে বাদীর কোনো আপত্তি নেই।”
তিনি আরও বলেন, “আসামি জামিনে মুক্তি পেলে পলাতক হবেন না। তিনি অসুস্থ এবং নানা রোগে আক্রান্ত।”
তবে রাষ্ট্রপক্ষের কাইয়ুম হোসেন নয়ন বলেন, “এটি হত্যা মামলা। আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।”
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে নাসির উদ্দিন সাথীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই মো. শরীফুজ্জামান।
রোববার গুলশান থেকে নাসির উদ্দিন সাথীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
মামলার বিবরণী অনুযায়ী, জুলাই আন্দোলনের সময় গত বছরের ৫ অগাস্ট যাত্রাবাড়ীর ‘পাকা রাস্তায়’ বিক্ষোভে অংশ নেন আসাদুল হক বাবু। দুপুর আড়াইটার দিকে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে তিনি নিহত হন।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন গত বছরের ৩০ অগাস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। আসামির তালিকায় নাসির উদ্দিন সাথীর ছেলে তৌহিদ আফ্রিদির নামও রয়েছে।