ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন জেলার ১১টি পত্রিকার ঘোষণাপত্র (ডিক্লেয়ারেশন) বাতিল করেছে। এসব পত্রিকা অনুমোদিত ছাপাখানা থেকে মুদ্রিত হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
ডিক্লারেশন বাতিল করা পত্রিকাগুলোর তালিকায় রয়েছে মো. শামসুল আলম খান সম্পাদিত দৈনিক আজকের ময়মনসিংহ, এফ এম এ ছালাম সম্পাদিত দৈনিক দেশের খবর, এন বি এম ইব্রাহীম খলিল রহিম সম্পাদিত দৈনিক বিশ্বের মুখপত্র, মরহুম আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার সম্পাদিত দৈনিক ঈষিকা, নাসির উদ্দিন আহমেদ সম্পাদিত দৈনিক অদম্য বাংলা, আ ন ম ফারুক সম্পাদিত দৈনিক আলোকিত ময়মনসিংহ ও দৈনিক দিগন্ত বাংলা, শেখ মেহেদী হাসান নাদিম প্রকাশিত দৈনিক জাহান, ওমর ফারুক সম্পাদিত দৈনিক কিষানের দেশ, ফরিদা ইয়াসমীন রত্না সম্পাদিত হৃদয়ে বাংলাদেশ এবং বিকাশ রায় সম্পাদিত সাপ্তাহিক পরিধি।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা মীরা সোমবার বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার এই ১১ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করে প্রত্যেক সম্পাদক ও প্রকাশককে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ এপ্রিল ও ১৩ এপ্রিল ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত ১১ দৈনিক পত্রিকায় অনুরূপভাবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পাতায় হুবহু একই সংবাদ ও তথ্যচিত্র প্রকাশ করা হয়। এ সময় উল্লিখিত সংখ্যাগুলো অনুমোদিত ছাপাখানা থেকে মুদ্রিত হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে ১৬ এপ্রিল ১৩ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়।
পরবর্তীতে ২১ এপ্রিল ভুল স্বীকার করে ঘটনাটিকে সম্পূর্ণভাবে বাহ্যিক ছাপাখানার দায়িত্বহীনতা ও নিজস্ব মুদ্রণ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে সৃষ্ট একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মর্মে ব্যাখ্যাসহ জবাব দাখিল করা হয়। তবে এই জবাব গ্রহণযোগ্য বা যুক্তিযুক্ত বিবেচিত হয়নি।
পরে ১৮ মে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে একজন নির্বাহী হাকিম সরেজমিন তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, প্রকাশিত ১১ পত্রিকা অনুমোদিত ছাপাখানা হতে মুদ্রিত হচ্ছে না। যা ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধিকরণ) আইন, ১৯৭৩-এর ৪ ও ৭ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ কারণে ঘোষণাপত্র ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধিকরণ) আইন, ১৯৭৩-এর ১০ ধারায় বাতিল করা হয়।
এ ব্যাপারে দৈনিক আলোকিত ময়মনসিংহ এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আব্দুল হালিম বলেন, “আমার পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের চিঠি এখনো হাতে পাইনি। খোঁজ খবর নিচ্ছি, যেনে বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।”
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা মীরা আরও বলেন, “৩০ মার্চ এবং ৭, ৮, ৯, ১০, ১২, ১৩ এপ্রিল পত্রিকাগুলোর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পাতায় সব প্রতিবেদন হুবহু একই ধরনের ছাপা হওয়ায় শোকজ করা হয়। যা ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধিকরণ) আইন, ১৯৭৩-এর ৪ ও ৭ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই ঘোষণাপত্র ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধিকরণ) আইন, ১৯৭৩-এর ১০ ধারায় বাতিল করা হয়েছে।”
সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ:
· এটি একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের (ময়মনসিংহ) গণমাধ্যমের ওপর প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ও আইনি প্রয়োগ সম্পর্কে তথ্য দেয়।
· এটি সাংবাদিকতা ও প্রকাশনা ক্ষেত্রে আইনি ও নৈতিক মান (যেমন অনুমোদিত ছাপাখানা ব্যবহার) বজায় রাখার বিষয়টিকে তুলে ধরে।
· এটি দেখায় যে কর্তৃপক্ষ কীভাবে অভিন্ন কন্টেন্ট প্রকাশ এবং নিবন্ধিত ছাপাখানা ব্যবহার না করার মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে।
· এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং নিয়ন্ত্রণের মধ্যে存在的 টানাপোড়েনকে ইঙ্গিত করে।
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন জেলার ১১টি পত্রিকার ঘোষণাপত্র (ডিক্লেয়ারেশন) বাতিল করেছে। এসব পত্রিকা অনুমোদিত ছাপাখানা থেকে মুদ্রিত হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
ডিক্লারেশন বাতিল করা পত্রিকাগুলোর তালিকায় রয়েছে মো. শামসুল আলম খান সম্পাদিত দৈনিক আজকের ময়মনসিংহ, এফ এম এ ছালাম সম্পাদিত দৈনিক দেশের খবর, এন বি এম ইব্রাহীম খলিল রহিম সম্পাদিত দৈনিক বিশ্বের মুখপত্র, মরহুম আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার সম্পাদিত দৈনিক ঈষিকা, নাসির উদ্দিন আহমেদ সম্পাদিত দৈনিক অদম্য বাংলা, আ ন ম ফারুক সম্পাদিত দৈনিক আলোকিত ময়মনসিংহ ও দৈনিক দিগন্ত বাংলা, শেখ মেহেদী হাসান নাদিম প্রকাশিত দৈনিক জাহান, ওমর ফারুক সম্পাদিত দৈনিক কিষানের দেশ, ফরিদা ইয়াসমীন রত্না সম্পাদিত হৃদয়ে বাংলাদেশ এবং বিকাশ রায় সম্পাদিত সাপ্তাহিক পরিধি।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা মীরা সোমবার বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার এই ১১ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করে প্রত্যেক সম্পাদক ও প্রকাশককে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ এপ্রিল ও ১৩ এপ্রিল ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত ১১ দৈনিক পত্রিকায় অনুরূপভাবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পাতায় হুবহু একই সংবাদ ও তথ্যচিত্র প্রকাশ করা হয়। এ সময় উল্লিখিত সংখ্যাগুলো অনুমোদিত ছাপাখানা থেকে মুদ্রিত হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে ১৬ এপ্রিল ১৩ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়।
পরবর্তীতে ২১ এপ্রিল ভুল স্বীকার করে ঘটনাটিকে সম্পূর্ণভাবে বাহ্যিক ছাপাখানার দায়িত্বহীনতা ও নিজস্ব মুদ্রণ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে সৃষ্ট একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মর্মে ব্যাখ্যাসহ জবাব দাখিল করা হয়। তবে এই জবাব গ্রহণযোগ্য বা যুক্তিযুক্ত বিবেচিত হয়নি।
পরে ১৮ মে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে একজন নির্বাহী হাকিম সরেজমিন তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, প্রকাশিত ১১ পত্রিকা অনুমোদিত ছাপাখানা হতে মুদ্রিত হচ্ছে না। যা ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধিকরণ) আইন, ১৯৭৩-এর ৪ ও ৭ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ কারণে ঘোষণাপত্র ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধিকরণ) আইন, ১৯৭৩-এর ১০ ধারায় বাতিল করা হয়।
এ ব্যাপারে দৈনিক আলোকিত ময়মনসিংহ এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আব্দুল হালিম বলেন, “আমার পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের চিঠি এখনো হাতে পাইনি। খোঁজ খবর নিচ্ছি, যেনে বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।”
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা মীরা আরও বলেন, “৩০ মার্চ এবং ৭, ৮, ৯, ১০, ১২, ১৩ এপ্রিল পত্রিকাগুলোর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পাতায় সব প্রতিবেদন হুবহু একই ধরনের ছাপা হওয়ায় শোকজ করা হয়। যা ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধিকরণ) আইন, ১৯৭৩-এর ৪ ও ৭ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই ঘোষণাপত্র ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধিকরণ) আইন, ১৯৭৩-এর ১০ ধারায় বাতিল করা হয়েছে।”
সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ:
· এটি একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের (ময়মনসিংহ) গণমাধ্যমের ওপর প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ও আইনি প্রয়োগ সম্পর্কে তথ্য দেয়।
· এটি সাংবাদিকতা ও প্রকাশনা ক্ষেত্রে আইনি ও নৈতিক মান (যেমন অনুমোদিত ছাপাখানা ব্যবহার) বজায় রাখার বিষয়টিকে তুলে ধরে।
· এটি দেখায় যে কর্তৃপক্ষ কীভাবে অভিন্ন কন্টেন্ট প্রকাশ এবং নিবন্ধিত ছাপাখানা ব্যবহার না করার মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে।
· এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং নিয়ন্ত্রণের মধ্যে存在的 টানাপোড়েনকে ইঙ্গিত করে।