বাংলাদেশের অন্যতম দুই গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর আজ শুক্রবার প্রকাশিত হয়নি পত্রিকা দুটি। বন্ধ আছে তাদের অনলাইন সংস্করণও।
শুক্রবার সকালে ‘পাঠকের প্রতি’ শিরোনামে একটি লেখায় প্রথম আলো জানিয়েছে, বিগত রাতে তাদের কার্যালয় ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের শিকার হওয়ায় এর স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। আর তাই আজ প্রথম আলো পত্রিকা প্রকাশ করা যায়নি।
“পাঠকদের কাছে এ জন্য আমরা আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। যতটা দ্রুত সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত কারিগরি ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করে প্রথম আলোর অনলাইন ও পত্রিকার প্রকাশ শুরু করা হবে। এ বিষয়ে আমরা পাঠকদের সহযোগিতা প্রার্থনা করছি,” বলে পাঠকদের জানানো হয়।
একই ধরনের একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে দ্য ডেইলি স্টারও। পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণে দেওয়া সেই বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে, আগের রাতে পত্রিকাটির অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর সাময়িক সময়ের জন্য ডেইলি স্টারের প্রকাশনা ব্যাহত হচ্ছে।
অনলাইন সার্ভিস আবার শুরু করার আগ পর্যন্ত পাঠকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
ঢাকায় গুলিবিদ্ধ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদী বৃহস্পতিবার মারা গেছেন সিঙ্গাপুরে। রাতে তার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় আসেন একদল মানুষ।
ঢাকায় শাহবাগ এলাকায় সমবেত হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন অনেকে। সেখান থেকে একদল লোক কারওয়ান বাজারের দিকে গিয়ে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ভাঙ্চুর করে। পরে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয় ওই দুটি সংবাদ মাধ্যমের কার্যালয়ে।
দীর্ঘক্ষণ ওই দুটি কার্যালয়ে আগুন জ্বলে। সেখানে আটকা পড়েছিলেন অনেক সংবাদকর্মী। পরে নিরাপত্তা বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে উচ্ছৃংখল জনতাকে সরিয়ে দিতে তাদেরও বেগ পেতে হয়, সময়ও লাগে।
বেশ কিছুক্ষণ পর ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি গেলেও তারাও উচ্ছৃংখল লেকদের বাঁধা পান। পরে দমকল বাহিনী আটকে পড়াদের উদ্ধার করে ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।