alt

আদালতে সাংবাদিক রোজিনা, অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের মামলায় গ্রেপ্তার

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ১৮ মে ২০২১

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে আজ মঙ্গলবার (১৮ মে) সকাল আটটার দিকে শাহবাগ থানা থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে নেওয়া হয়েছে। তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে।

এর আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার কক্ষ থেকে ‘গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথি চুরির চেষ্টা এবং মোবাইলে ছবি তোলার’ অভিযোগে রোজিনাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রোজিনার বিরুদ্ধে ঢাকার শাহবাগ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে, যেখানে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় চুরি এবং ১৯২৩ সালের ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের’ ৩ ও ৫ ধারায় গুপ্তচরবৃত্তি ও রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজের দখলে রাখার অভিযোগ এনেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

রোজিনা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আর প্রথম আলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন করায় রোজিনা ‘আক্রোশের শিকার’ হয়েছেন বলে তাদের সন্দেহ।

প্রথম আলো সুত্র জানিয়েছে, পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য গতকাল সোমবার দুপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান রোজিনা। তখন তাকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞার কক্ষে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। সেখানে তাকে ‘হেনস্তা’ করা হয়। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

পরে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তার বিরুদ্ধে। রাত পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ জানায়, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা হয়েছে। তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এই ঘটনার প্রতিবাদে সাংবাদিকেরা বিকেলে সচিবালয়ে এবং রাতে শাহবাগ থানার সামনে বিক্ষোভ করেন। এডিটর্স গিলড তার মুক্তির দাবি জানিয়েছে। এর নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় প্রেস ক্লাব, বিএফউজে, ডিউজে, কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে), অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংগঠন।

কী ঘটেছে সচিবালয়ে

সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা সোমবার বিকালে খবর পান রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে আটক রাখা হয়েছে। তখন তারা সেখানে ছুটে যান। যে কক্ষে তাকে রাখা হয়েছিল, ছয়জন নারী পুলিশ সদস্যকে সেখানে দেখা যায়। কক্ষের বাইরে আরো কয়েকজন পুলিশ সদস্য ছিলেন।

কী ঘটেছে জানতে উপস্থিত সাংবাদিকরা কয়েক দফা সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন সাংবাদিকরা, কিন্তু তিনি কথা বলেননি।

সেই সময় রোজিনা জানান তিনি সচিবের সাথে দেখা করতে তার একান্ত সচিব সাইফুলের কক্ষে যান। এরপরই হঠাৎ পুলিশ ডেকে তাকে ঐ কক্ষে আটক করা হয়। আটকের পর দেহ তল্লাশি করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন ‘মিজান’ নামে এক পুলিশ সদস্য তাকে ‘নাজেহাল’ করেছে। তিনি আরও জানান সেখান থেকে কোনো নথি তিনি নেননি।

সন্ধ্যার দিকে রোজিনা অসুস্থ হয়ে পড়লে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া দাবি তোলেন। তবে কর্মকর্তারা তাতে সাড়া দেননি।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশের কয়েকটি গাড়ি আসে। এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চতুর্থ তলা থেকে রোজিনা ইসলামকে লিফটে করে নিচে নামিয়ে একটি সাদা রঙের গাড়িতে তুলে শাহবাগ থানার দিকে রওনা হয় পুলিশ। তবে রোজিনাকে কী অভিযোগে থানায় নেয়া হচ্ছে - উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের তখন কোনো উত্তর দেননি।

পরে রাত ৯টার দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধান সাংবাদিকদের অভিযোগের বিষয়গুলো জানান। তার অভিযোগ রোজিনা সচিবের পিএসের রুমে ঢুকে মোবাইলে কিছু ‘গুরুত্বপূর্ণ ফাইল-নথির ছবি তোলেন’। আর কিছু কাগজপত্র তিনি ‘সাথে নিয়ে যাচ্ছিলেন’।

তবে থানায় রোজিনার সঙ্গে দেখা করার পর তার ছোট বোন সাবিনা পারভীন সুমী বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রোজিনা ‘হয়রানির শিকার হচ্ছেন’।

সাবিনা বলেন, কিছু তথ্য জন্য স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রোজিনা। তখন তাকে পিএসের রুমে বসতে বলেন কনস্টেবল মিজান। যদিও রোজিনা সেখানে বসতে চাচ্ছিলেন না। এর কিছুক্ষণ পরই কনস্টেবল মিজানসহ দুই তিনজন এসে রোজিনার ব্যাগ কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ করেন সাবিনা। তিনি বলেন যে এই সময় রজিনাকে তারা এই বলে হুমকি দেন যে, ‘এতদিন স্বাস্থ্য খাত নিয়ে অনেক নেতিবাচক রিপোর্ট করছেন। আপনাকে মাটিতে পুঁতে ফেলব’।

সাবিনার অভিযোগ যখন রজিনার ব্যাগ কেড়ে নেয়া হয়েছিলো তখন ‘ব্যাগে কিছু ডকুমেন্ট ঢুকিয়ে’ দিয়ে থাকতে পারে।

ছবি

ময়মনসিংহের ১১ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল

ছবি

শহিদুল আলমের অভিযোগ: গাজাগামী ফ্রিডম ফ্লোটিলায় আটক হয়ে মানসিক নির্যাতনের শিকার

ছবি

জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রয়াত ২০ সদস্যের স্মরণে স্মৃতিসভা

ছবি

অন্তবর্তী সরকারের সময়ে দুটি নতুন টেলিভিশন চ্যানেল লাইসেন্স পেল

সীতাকুণ্ডে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, দুইজন আহত

ছবি

খাগড়াছড়ির অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের

ছবি

জাকসু: অমর্ত্য রায় জনের প্রার্থিতা বাতিল, ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলের জরুরি সংবাদ সম্মেলন

ছবি

খুলনায় সাংবাদিক বুলুর মৃত্যু: সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা, সিদ্ধান্তে নৌ পুলিশ

ছবি

এক সাংবাদিকের জামিন শুনানিতে আরেক সাংবাদিককে বিচারকের সামনে আইনজীবির মারধর

ছবি

পলাশ উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন করলেন ড. মঈন খান

ছবি

ছবি অস্বীকার, ডিআরইউতে মব সৃষ্টি ও আওয়ামী লীগ আমলের আইন নিয়ে নতুন উদ্যোগে সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ

ছবি

খুলনায় সাংবাদিক বুলুর মৃতদেহের সুরতহাল, অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত দাবি

ছবি

মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধান আলোচনা: ‘মব হামলা’ মামলায় ১৬ জন কারাগারে

ছবি

ডিআরইউতে আলোচনায় ‘মব হামলা’, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদ প্রতিবাদে সরব

ছবি

নজরুল প্রয়াণ দিবসে বিটিভিতে ‘আলেয়া’ ও অন্যান্য

ছবি

হত্যা মামলায় কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি পাঁচ দিনের রিমান্ডে

ছবি

বিভুরঞ্জন  ময়নাতদন্ত সম্পন্ন : মুন্সিগঞ্জ থেকে লাশ হস্তান্তর, ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন স্বজনরা

ছবি

আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলা : মাইটিভি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী রিমান্ড শেষে কারাগারে

ছবি

সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, বিকালে ঢাকায় শেষকৃত্যের প্রস্তুতি

ছবি

সংবাদের প্রবীণ সাংবাদিক রুকুনউদ্দৌলাহ মারা গেছেন

ছবি

নিখোঁজের এক দিন পর সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের মৃতদেহ পাওয়া গেলো মেঘনায়

ছবি

সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার নিখোঁজ, রমনা থানায় জিডি

ছবি

মাইটিভি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী ৫ দিনের রিমান্ডে

ছবি

যুক্তরাজ্যের সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানের মতে, জুলাই সনদে রয়েছে প্রগতিশীল সংস্কার

ছবি

ইনডিপেনডেন্ট টিভির প্রধান সম্পাদক শামসুরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছবি

গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অনাকাঙ্ক্ষিত ও ঢালাও অভিযোগের প্রতিবাদ সম্পাদক পরিষদের

ছবি

মোজাম্মেল বাবুকে আবার গ্রেপ্তার দেখানো হলো, এবার ‘চাঁদাবাজির মামলায়’

ছবি

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নোয়াবের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার

ছবি

শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলা বাতিল হাই কোর্টে

ছবি

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে নোয়াবের উদ্বেগ

ছবি

গণমাধ্যমের মালিকানা ব্যবসাকেন্দ্রিক, সাংবাদিকতা পুঁজি রক্ষার হাতিয়ার: আলী রীয়াজ

ছবি

আবদুল কাদেরের অভিযোগের জবাবে সাদিক কায়েমের ব্যাখ্যা

ছবি

প্রেস কাউন্সিলের নতুন কমিটিতে মাহফুজ আনাম ও নুরুল কবীর

ছবি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নঈম নিজামসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

নারী সাংবাদিকদের প্রযুক্তি ও নৈতিকতা বিষয়ে তিন দিনের প্রশিক্ষণ শেষ

ছবি

নারী সাংবাদিকদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সমাপ্ত হলো দুইদিনের নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ

tab

আদালতে সাংবাদিক রোজিনা, অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের মামলায় গ্রেপ্তার

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ১৮ মে ২০২১

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে আজ মঙ্গলবার (১৮ মে) সকাল আটটার দিকে শাহবাগ থানা থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে নেওয়া হয়েছে। তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে।

এর আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার কক্ষ থেকে ‘গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথি চুরির চেষ্টা এবং মোবাইলে ছবি তোলার’ অভিযোগে রোজিনাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রোজিনার বিরুদ্ধে ঢাকার শাহবাগ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে, যেখানে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় চুরি এবং ১৯২৩ সালের ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের’ ৩ ও ৫ ধারায় গুপ্তচরবৃত্তি ও রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজের দখলে রাখার অভিযোগ এনেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

রোজিনা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আর প্রথম আলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন করায় রোজিনা ‘আক্রোশের শিকার’ হয়েছেন বলে তাদের সন্দেহ।

প্রথম আলো সুত্র জানিয়েছে, পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য গতকাল সোমবার দুপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান রোজিনা। তখন তাকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞার কক্ষে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। সেখানে তাকে ‘হেনস্তা’ করা হয়। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

পরে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তার বিরুদ্ধে। রাত পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ জানায়, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা হয়েছে। তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এই ঘটনার প্রতিবাদে সাংবাদিকেরা বিকেলে সচিবালয়ে এবং রাতে শাহবাগ থানার সামনে বিক্ষোভ করেন। এডিটর্স গিলড তার মুক্তির দাবি জানিয়েছে। এর নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় প্রেস ক্লাব, বিএফউজে, ডিউজে, কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে), অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংগঠন।

কী ঘটেছে সচিবালয়ে

সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা সোমবার বিকালে খবর পান রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে আটক রাখা হয়েছে। তখন তারা সেখানে ছুটে যান। যে কক্ষে তাকে রাখা হয়েছিল, ছয়জন নারী পুলিশ সদস্যকে সেখানে দেখা যায়। কক্ষের বাইরে আরো কয়েকজন পুলিশ সদস্য ছিলেন।

কী ঘটেছে জানতে উপস্থিত সাংবাদিকরা কয়েক দফা সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন সাংবাদিকরা, কিন্তু তিনি কথা বলেননি।

সেই সময় রোজিনা জানান তিনি সচিবের সাথে দেখা করতে তার একান্ত সচিব সাইফুলের কক্ষে যান। এরপরই হঠাৎ পুলিশ ডেকে তাকে ঐ কক্ষে আটক করা হয়। আটকের পর দেহ তল্লাশি করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন ‘মিজান’ নামে এক পুলিশ সদস্য তাকে ‘নাজেহাল’ করেছে। তিনি আরও জানান সেখান থেকে কোনো নথি তিনি নেননি।

সন্ধ্যার দিকে রোজিনা অসুস্থ হয়ে পড়লে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া দাবি তোলেন। তবে কর্মকর্তারা তাতে সাড়া দেননি।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশের কয়েকটি গাড়ি আসে। এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চতুর্থ তলা থেকে রোজিনা ইসলামকে লিফটে করে নিচে নামিয়ে একটি সাদা রঙের গাড়িতে তুলে শাহবাগ থানার দিকে রওনা হয় পুলিশ। তবে রোজিনাকে কী অভিযোগে থানায় নেয়া হচ্ছে - উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের তখন কোনো উত্তর দেননি।

পরে রাত ৯টার দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধান সাংবাদিকদের অভিযোগের বিষয়গুলো জানান। তার অভিযোগ রোজিনা সচিবের পিএসের রুমে ঢুকে মোবাইলে কিছু ‘গুরুত্বপূর্ণ ফাইল-নথির ছবি তোলেন’। আর কিছু কাগজপত্র তিনি ‘সাথে নিয়ে যাচ্ছিলেন’।

তবে থানায় রোজিনার সঙ্গে দেখা করার পর তার ছোট বোন সাবিনা পারভীন সুমী বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রোজিনা ‘হয়রানির শিকার হচ্ছেন’।

সাবিনা বলেন, কিছু তথ্য জন্য স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রোজিনা। তখন তাকে পিএসের রুমে বসতে বলেন কনস্টেবল মিজান। যদিও রোজিনা সেখানে বসতে চাচ্ছিলেন না। এর কিছুক্ষণ পরই কনস্টেবল মিজানসহ দুই তিনজন এসে রোজিনার ব্যাগ কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ করেন সাবিনা। তিনি বলেন যে এই সময় রজিনাকে তারা এই বলে হুমকি দেন যে, ‘এতদিন স্বাস্থ্য খাত নিয়ে অনেক নেতিবাচক রিপোর্ট করছেন। আপনাকে মাটিতে পুঁতে ফেলব’।

সাবিনার অভিযোগ যখন রজিনার ব্যাগ কেড়ে নেয়া হয়েছিলো তখন ‘ব্যাগে কিছু ডকুমেন্ট ঢুকিয়ে’ দিয়ে থাকতে পারে।

back to top