alt

মিডিয়া

তদন্তে ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দাবি সাগর-রুনির সহকর্মীদের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২২

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যার এক দশক পেরিয়ে গেলেও এই হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তে ব্যর্থতায় হতাশা এবং ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন সহকর্মীরা।

সহকর্মীরা বলছেন, এই হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনে অদৃশ্য শক্তি ও বাধা কাজ করছে। হত্যার ঘটনায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার তারিখ ৮৫ বার পিছিয়েছে। এটি এখন ‌‘সেঞ্চুরি’ করার অপেক্ষায়। এখন তাঁরা প্রধানমন্ত্রী এবং আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পাশাপাশি তদন্তে ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।

সাগর-রুনির দশম মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) চত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশে সহকর্মীরা এসব কথা বলেন। ডিআরইউ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‌‘হত্যার ১০ বছর পরও হত্যাকাণ্ডের সূত্র তদন্তকারীরা বের করতে পারেননি। আমার জিজ্ঞাসা, তাঁরা কীভাবে পুলিশে থাকেন। জনগণের করের টাকায় যাঁরা দায়িত্ব পালন করতে পারেন না, যাঁরা বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন, তাঁদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত। প্রয়োজনে চাকরিচ্যুত করা উচিত।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে না পারায় ক্ষোভ জানাতে হচ্ছে। এখন বিষয়টি এমন অবস্থায় এসেছে, দিবস এলেই কথা বলি। দিবস পার হলেই ভুলে যাই। যেকোনো মানুষের হত্যার বিচার করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। অনেক সূত্রবিহীন হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিন্তু সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটিত হয় না। বাধাটা কোথায়? নিশ্চয়ই কোথাও বাধা আছে। আমি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, আদালত যদি একটি নির্দেশনা দেন, তবে প্রশাসন উদ্যোগী হতে পারে। এখন আদালত এগিয়ে এলেই এই হত্যার বিচার সম্ভব।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম তপু বলেন, ‘সাংবাদিকদের পেশার নিশ্চয়তা নেই, জীবনের নিরাপত্তা নেই। সাগর-রুনির হত্যার বিচার হয়নি দীর্ঘ সময়েও। প্রধানমন্ত্রীর কাছে, প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানাই, এই হত্যার বিচার যেন দ্রুততম সময়ে হয়।’

মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক রাশেদ আহমেদ বলেন, ‘কত কিছুরই রহস্য উদ্‌ঘাটিত হয়। এর পেছনে কোনো কারণ নেই, এটা বিশ্বাস করা যায় না। সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে তো আমাদের রাস্তায় দাঁড়ানোর কথা ছিল না। কিন্তু বাধ্য হয়েই দাঁড়াতে হচ্ছে। এখন সর্বশেষ ভরসা হচ্ছে হাইকোর্ট। হাইকোর্ট যদি একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেন, তবে হয়তো এটার বিচার সম্ভব।’

হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে না পারায় ডিআরইউর সাবেক সহসভাপতি আজমল হক হেলাল হতাশা প্রকাশ করে বলেন, আমি প্রস্তাব করতে চাই, সাগর-রুনির বিচারের দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আর স্মারকলিপি দিতে চাই না। তাঁকে পচা ডিম উপহার দিতে চাই। কারণ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়ে, আমাদের আর লজ্জা পেয়ে লাভ নেই।

প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ডিআরইউর সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব শেখ মামুনুর রশীদ, ডিআরইউর যুগ্ম সম্পাদক শাহনাজ শারমিন প্রমুখ।

ছবি

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: ‘মব সংস্কৃতি নতুন আতঙ্ক’ আলোচনা সভায় রাজনীতিক ও সম্পাদকরা

শফিক রেহমানকে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ‘ডিক্লারেশন’দেয়া হলো

ছবি

সাংবাদিক স্বপন দত্তের শেষকৃত্য সম্পন্ন

ছবি

যশোরে সাংবাদিকদের মানববন্ধন, যায় যায় দিনের ডিক্লারেশন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি

ছবি

মুন্সীগঞ্জ জেলা সাংবাদিক কল্যান সমিতির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল

ছবি

দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল

ছবি

চ্যানেল ওয়ান সম্প্রচারে বাধা নেই : আপিল বিভাগ

ছবি

সাংবাদিক দম্পতি শাকিল-রূপা ৫ দিনের রিমান্ডে

ছবি

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাপে সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত বন্ধ ছিল’

ছবি

স্বাধীন, বস্তুনিষ্ঠ ও শক্তিশালী গণমাধ্যম গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে কমিশন- গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ

ছবি

জন্মদিনে শ্রদ্ধা-ভালবাসায় আহমদুল কবিরকে স্মরণ

ছবি

আহমদুল কবিরের ১০৩তম জন্মদিন আজ

বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক মোঃ আব্দুল জলিল

ছবি

ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষের বিবৃতি : ‘বিশেষ একটি মহল’ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভোরের কাগজের ‘কর্তৃত্ব দখল ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্রে’ লিপ্ত

ফারজানা রূপার জামিন আবেদন প্রত্যাখ্যান, নতুন ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ

ছবি

গণমাধ্যমে প্রতিবেদন তৈরিতে জেন্ডার নীতিমালা অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান

ছবি

নারায়ণগঞ্জ ফটো জার্নালিস্ট ক্লাবের আত্মপ্রকাশ

ছবি

‘ভোরের কাগজ’ প্রকাশিত হয়নি, প্রধান কার্যালয়ে তালা

ছবি

ইরাব সভাপতি আকতারুজ্জামান ও সম্পাদক সেলিম

ছবি

ডিক্যাবের নতুন সভাপতি মঈন, সাধারণ সম্পাদক মামুন

সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার বাতিল স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায়: সম্পাদক পরিষদ

ছবি

জনবাণী সম্পাদক শফিকসহ সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

সংবাদমাধ্যমে জেন্ডার সমতা ও সংবেদনশীলতা নিশ্চিতের অঙ্গীকার সনদ প্রকাশ

ছবি

গণমাধ্যমসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে মব-জাস্টিস কঠোর হস্তে দমনের আহ্বান সম্পাদক পরিষদের

ছবি

প্রথম আলো কার্যালয়গুলোর ওপর হামলা ও বিক্ষোভ

ছবি

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা চরম আক্রমনের মুখে : নোয়াব

ছবি

প্রথম আলো অফিসের সামনে ‘গরু জবেহ’ কর্মসূচি ঘিরে সংঘর্ষ,সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ পুলিশের

ছবি

শতাধিক অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিলে নোয়াব-এর উদ্বেগ

ছবি

ইমরুল কায়েসকে নিউইয়র্কে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে পাবনা সমিতি ইউএসএ ইনক্

ছবি

জাতীয় প্রেস ক্লাবের নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে

ছবি

দেশ টিভির এমডি আরিফ গ্রেপ্তার

ছবি

ঢালাওভাবে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন বাতিল সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার অন্তরায়: সম্পাদক পরিষদ

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ

ছবি

গ্রেপ্তারের পর কারাগারে একাংশের ‘সাংবাদিক নেতা’ মোল্লা জালাল

ছবি

আরও ৩০ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল

ছবি

মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবে ৪২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

tab

মিডিয়া

তদন্তে ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দাবি সাগর-রুনির সহকর্মীদের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২২

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যার এক দশক পেরিয়ে গেলেও এই হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তে ব্যর্থতায় হতাশা এবং ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন সহকর্মীরা।

সহকর্মীরা বলছেন, এই হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনে অদৃশ্য শক্তি ও বাধা কাজ করছে। হত্যার ঘটনায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার তারিখ ৮৫ বার পিছিয়েছে। এটি এখন ‌‘সেঞ্চুরি’ করার অপেক্ষায়। এখন তাঁরা প্রধানমন্ত্রী এবং আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পাশাপাশি তদন্তে ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।

সাগর-রুনির দশম মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) চত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশে সহকর্মীরা এসব কথা বলেন। ডিআরইউ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‌‘হত্যার ১০ বছর পরও হত্যাকাণ্ডের সূত্র তদন্তকারীরা বের করতে পারেননি। আমার জিজ্ঞাসা, তাঁরা কীভাবে পুলিশে থাকেন। জনগণের করের টাকায় যাঁরা দায়িত্ব পালন করতে পারেন না, যাঁরা বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন, তাঁদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত। প্রয়োজনে চাকরিচ্যুত করা উচিত।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে না পারায় ক্ষোভ জানাতে হচ্ছে। এখন বিষয়টি এমন অবস্থায় এসেছে, দিবস এলেই কথা বলি। দিবস পার হলেই ভুলে যাই। যেকোনো মানুষের হত্যার বিচার করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। অনেক সূত্রবিহীন হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিন্তু সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটিত হয় না। বাধাটা কোথায়? নিশ্চয়ই কোথাও বাধা আছে। আমি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, আদালত যদি একটি নির্দেশনা দেন, তবে প্রশাসন উদ্যোগী হতে পারে। এখন আদালত এগিয়ে এলেই এই হত্যার বিচার সম্ভব।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম তপু বলেন, ‘সাংবাদিকদের পেশার নিশ্চয়তা নেই, জীবনের নিরাপত্তা নেই। সাগর-রুনির হত্যার বিচার হয়নি দীর্ঘ সময়েও। প্রধানমন্ত্রীর কাছে, প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানাই, এই হত্যার বিচার যেন দ্রুততম সময়ে হয়।’

মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক রাশেদ আহমেদ বলেন, ‘কত কিছুরই রহস্য উদ্‌ঘাটিত হয়। এর পেছনে কোনো কারণ নেই, এটা বিশ্বাস করা যায় না। সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে তো আমাদের রাস্তায় দাঁড়ানোর কথা ছিল না। কিন্তু বাধ্য হয়েই দাঁড়াতে হচ্ছে। এখন সর্বশেষ ভরসা হচ্ছে হাইকোর্ট। হাইকোর্ট যদি একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেন, তবে হয়তো এটার বিচার সম্ভব।’

হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে না পারায় ডিআরইউর সাবেক সহসভাপতি আজমল হক হেলাল হতাশা প্রকাশ করে বলেন, আমি প্রস্তাব করতে চাই, সাগর-রুনির বিচারের দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আর স্মারকলিপি দিতে চাই না। তাঁকে পচা ডিম উপহার দিতে চাই। কারণ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়ে, আমাদের আর লজ্জা পেয়ে লাভ নেই।

প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ডিআরইউর সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব শেখ মামুনুর রশীদ, ডিআরইউর যুগ্ম সম্পাদক শাহনাজ শারমিন প্রমুখ।

back to top