সংবাদমাধ্যমে ৯ম ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়ন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা-মামলা বন্ধসহ ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নে সরকারকে এক মাসের আল্টিমেটাম দিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবের টেনিস গ্রাউন্ডের পাশে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি থেকে এই আল্টিমেটাম দেন ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী। সংগঠনের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধন করা; পেশাদার সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড কমানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করা এবং সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করা।
সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, আমাদের দাবিগুলো নিয়ে আমরা তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। কিন্তু আমরা কোনো কার্যকর ফল পাইনি। যার ফলে আমাদেরকে একের পর এক কর্মসূচি পালন করতে হচ্ছে। একই দাবিতে আমরা গত ২২ অক্টোবর কর্মসূচি পালন করেছি। আজকে ২২ নভেম্বর আবার কর্মসূচি পালন করছি। আমরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বরাবর আবারও স্মারকলিপি দেব। স্মারক দেওয়ার পর পরবর্তী ২১/২২ দিনের মধ্যে যদি আমরা কোনো অগ্রগতি না পাই অথবা ন্যূনতম কোনো সাড়া না পাই, তবে পরবর্তী এক মাসের মাথায় আবারো রাজপথে নামবো। আমরা আজকে প্রতীকী অনশন করেছি। কিন্তু আগামীতে আমরা সরাসরি অনশনে যাব।
যারা নির্বাচনে বিজয়ী হয়েও সংগঠনের কর্মসূচিতে আসেন না তাদের হুঁশিয়ারি করে ডিইউজে সভাপতি বলেন, আমাদের অনেক নেতাই আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায় আছেন। আমরা কিন্তু এই নেতাদেরই ভোট দেই, আমরা তাদের জন্য লড়াই করি। কিন্তু আমরা যখন কর্মসূচির জন্য রাজপথে বসি, তখন সেই নেতাদের পাই না। এটি আমাদেরকে অত্যন্ত পীড়া দেয়, দুঃখ দেয়। আমরা ভবিষ্যতে সংগঠনের জন্য কে কি করছেন, আমাদের সঙ্গে কে থাকছেন, সঙ্গে কে থাকছেন না সেটিও আমাদেরকে ভেবে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন বলেন, আমাদের যে কর্মসূচি চলছে, এটি চলবে। আমাদের দাবি নবম ওয়েজবোর্ড প্রতিটি হাউজে বাস্তবায়ন করতে হবে। সাংবাদিকরা ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করে থাকে। তাদের সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করতে হবে। কারণ বর্তমানে যে একটি দিন বহাল আছে, সেই ছুটির দিনেও গণমাধ্যমকর্মীদের কাজ করতে হয়। যার ফলে তারা সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছেন। অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড কমিয়ে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। আমরা বলেছি পেশাদার সাংবাদিকদের কার্ড কমিয়ে দেওয়া যাবে না। অপেশাদারদের হাতে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড কীভাবে যায়, সেটা আপনারা নজরদারি করেন।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যারা সদস্য তারা প্রত্যেকেই পেশাদার সাংবাদিক। আমাদের দাবিগুলো তথ্যমন্ত্রীকে দিয়ে এসেছিলাম এবং বলেছিলাম বিষয়টি আপনারা বিবেচনা করবেন। কিন্তু আমরা তার কোনো বাস্তবায়ন দেখছি না।
অনশন থেকে সরকারের কাছে সিনিয়র সাংবাদিকদের পেনশন দেওয়ার দাবি জানান ডিইউজের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাজান মিয়া।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিইউজের সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, কোষাধক্ষ্য আশরাফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদুর রহমান জিহাদ, প্রচার সম্পাদক রাজু হামিদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সজ্জাদ আলম খান তপু প্রমুখ। দাবিগুলোকে সমর্থন দিয়ে বক্তব্য রেখেছেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব।
মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২
সংবাদমাধ্যমে ৯ম ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়ন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা-মামলা বন্ধসহ ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নে সরকারকে এক মাসের আল্টিমেটাম দিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবের টেনিস গ্রাউন্ডের পাশে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি থেকে এই আল্টিমেটাম দেন ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী। সংগঠনের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধন করা; পেশাদার সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড কমানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করা এবং সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করা।
সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, আমাদের দাবিগুলো নিয়ে আমরা তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। কিন্তু আমরা কোনো কার্যকর ফল পাইনি। যার ফলে আমাদেরকে একের পর এক কর্মসূচি পালন করতে হচ্ছে। একই দাবিতে আমরা গত ২২ অক্টোবর কর্মসূচি পালন করেছি। আজকে ২২ নভেম্বর আবার কর্মসূচি পালন করছি। আমরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বরাবর আবারও স্মারকলিপি দেব। স্মারক দেওয়ার পর পরবর্তী ২১/২২ দিনের মধ্যে যদি আমরা কোনো অগ্রগতি না পাই অথবা ন্যূনতম কোনো সাড়া না পাই, তবে পরবর্তী এক মাসের মাথায় আবারো রাজপথে নামবো। আমরা আজকে প্রতীকী অনশন করেছি। কিন্তু আগামীতে আমরা সরাসরি অনশনে যাব।
যারা নির্বাচনে বিজয়ী হয়েও সংগঠনের কর্মসূচিতে আসেন না তাদের হুঁশিয়ারি করে ডিইউজে সভাপতি বলেন, আমাদের অনেক নেতাই আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায় আছেন। আমরা কিন্তু এই নেতাদেরই ভোট দেই, আমরা তাদের জন্য লড়াই করি। কিন্তু আমরা যখন কর্মসূচির জন্য রাজপথে বসি, তখন সেই নেতাদের পাই না। এটি আমাদেরকে অত্যন্ত পীড়া দেয়, দুঃখ দেয়। আমরা ভবিষ্যতে সংগঠনের জন্য কে কি করছেন, আমাদের সঙ্গে কে থাকছেন, সঙ্গে কে থাকছেন না সেটিও আমাদেরকে ভেবে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন বলেন, আমাদের যে কর্মসূচি চলছে, এটি চলবে। আমাদের দাবি নবম ওয়েজবোর্ড প্রতিটি হাউজে বাস্তবায়ন করতে হবে। সাংবাদিকরা ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করে থাকে। তাদের সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করতে হবে। কারণ বর্তমানে যে একটি দিন বহাল আছে, সেই ছুটির দিনেও গণমাধ্যমকর্মীদের কাজ করতে হয়। যার ফলে তারা সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছেন। অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড কমিয়ে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। আমরা বলেছি পেশাদার সাংবাদিকদের কার্ড কমিয়ে দেওয়া যাবে না। অপেশাদারদের হাতে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড কীভাবে যায়, সেটা আপনারা নজরদারি করেন।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যারা সদস্য তারা প্রত্যেকেই পেশাদার সাংবাদিক। আমাদের দাবিগুলো তথ্যমন্ত্রীকে দিয়ে এসেছিলাম এবং বলেছিলাম বিষয়টি আপনারা বিবেচনা করবেন। কিন্তু আমরা তার কোনো বাস্তবায়ন দেখছি না।
অনশন থেকে সরকারের কাছে সিনিয়র সাংবাদিকদের পেনশন দেওয়ার দাবি জানান ডিইউজের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাজান মিয়া।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিইউজের সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, কোষাধক্ষ্য আশরাফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদুর রহমান জিহাদ, প্রচার সম্পাদক রাজু হামিদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সজ্জাদ আলম খান তপু প্রমুখ। দাবিগুলোকে সমর্থন দিয়ে বক্তব্য রেখেছেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব।