alt

জাতীয়

আজ পহেলা বৈশাখ,নতুন বছর বরণের দিন,বাঙালির উৎসবের দিন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : রোববার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

বাঙালির বর্ষবরণ উৎসব: ফাইল ছবি

নতুন স্বপ্ন নিয়ে নতুন বছর এলো বাঙালির জীবনে। আজ পহেলা বৈশাখ,বাংলা ১৪৩১ সনের প্রথম দিন, শুভ নববর্ষ। আজ বাঙালির চিরায়ত উৎসবের দিন। আজ বর্ণিল উৎসবের মধ্য দিয়ে বাঙালি বরণ করবে পহেলা বৈশাখকে,নতুন আশা-স্বপ্নে যাত্রা করবে নতুন দিনে।

বাঙালির জীবনে পহেলা বৈশাখের গুরুত্ব অপরিসীম। এই দিনে বৈশাখ আর বাঙালি মিলেমিশে একাকার হযে যায় এই বাংলায়। তাই পহেলা বৈশাখ নিয়ে উচ্ছ্বাসের যেন শেষ নেই বাঙালির।

বাঙালির জীবনে পহেলা বৈশাখ আসে নান উৎসবের বার্তা নিয়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। হাজার বছরের ঐতিহ্য নিয়ে এবারও বাঙালি মেতে উঠেছে নানা উৎসবের ব্যঞ্জনায়।

আগে পহেলা বৈশাখ বরণে অন্যতম প্রধান অনুসঙ্গ ছিল হালখাতা। এখন বাঙালির জীবনে আধুনিকতার ছোঁয়ায় হালখাতার ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। তবে আনন্দের আবহে নানান আয়োজনে বর্ষবরণের ক্ষেত্রে যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। আনন্দের কোন কমতি নেই বর্ষবরণে। আনন্দের আবহ বাঙালিকে ঘিরে রেখেছে আগের মতোই।

আজ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ বর্ণিল উৎসবে মেতে উঠবে।

শুভ নববর্ষ উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে দেশে ও দেশের বাইরে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাঙালি জাতির শাশ্বত ঐতিহ্যের প্রধান অঙ্গ পহেলা বৈশাখ। পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির জীবনে একটি পরম আনন্দের দিন। বৈশাখের আগমনে বেজে ওঠে নতুনের জয়গান। দুঃখ, জরা, ব্যর্থতা ও মলিনতাকে ভুলে সবাই জেগে ওঠে নব আনন্দে, নব উদ্যমে। পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি খুঁজে পায় নিজস্ব ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে উৎসবমুখর বাংলা নববর্ষের এই দিনে দেশবাসীসহ সব বাঙালিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলা নতুন বছর ১৪৩১ আমাদের জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে। সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে বাঙালি রচনা করবে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, আনন্দ ও ভালোবাসার মেলবন্ধন।

পহেলা বৈশাখ সরকারি ছুটির দিন। এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। ছায়ানট ভোরে রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর বসাবে। আওয়ামী লীগ বর্ণিল শোভাযাত্রার কর্মসূচি দিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন করবে।

বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত ও ‘এসো হে বৈশাখ’ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হবে। বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য, মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস ও ইউনেসকোর বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে মঙ্গল শোভাযাত্রার অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে এদিন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে। বাংলা নববর্ষে সব কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের আয়োজন করা হবে।

বাংলাদেশে বর্ষবরণের প্রধান আকর্ষন ভোরে রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠান। সেই পাকিস্তান শাসনামলে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে । আর ষাটের দশকের শেষে তা বিশেষ মাত্রা পায়। রমনা বটমূলে ছায়ানটের আয়োজন এখন ঐতিহ্যে পরিনত হয়েছে।

ঢাকায় বর্ষবরণের আরেক ঐতিহ্য গড়ে উঠেছে চারুকলা ইনস্টিটিউটের ছাত্র-শিক্ষক-সংস্কৃতিকর্মীদের অংশগ্রহনে মঙ্গল শোভাযাত্রা। গত কয়েকদিন ধরেই মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি চলেছে চারুকলা ইনস্টিটিউটে।

পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বাঙালির অসাম্প্রদায়িক এবং গণতান্ত্রিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। কালক্রমে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান এখন শুধু আনন্দ-উল্লাসের উৎসব নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি শক্তিশালী ধারক-বাহক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, উৎসবের পাশাপাশি স্বৈরাচার-অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদও এসেছে পহেলা বৈশাখের আয়োজনে। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বের হয় প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেসকো এই শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মর্যাদা দেয়।

আজ সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে। ছায়ানটের অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে সবাই যেন মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারেন এজন্য এবার ১৫ মিনিট পেছানো হয়েছে শোভাযাত্রার সময়।

এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনও ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো ও বিক্রয় করা যাবে না। বিকাল ৫টা পর্যন্ত চারুকলায় পহেলা বৈশাখের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।

এবার পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণের আয়োজনে সুনির্দিষ্ট কোনও হামলার শঙ্কা নেই জানিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, অতীতের হামলার ঘটনা মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। এছাড়া এদিন রমনা বটমূল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ভোর ৫টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ রাখা এবং রোড ডাইভারশন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।

মবতন্ত্র বন্ধ করুন, নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন: সাকি

খিলগাঁওয়ে অধ্যক্ষের যোগদান নিয়ে দু’পক্ষের বিরোধ

যুব সংগঠন গঠন করলো এনসিপি, নাম জাতীয় যুবশক্তি

ঠিকাদার যুবলীগ নেতার সঙ্গে কয়েক কোটি টাকা ভাগাভাগির অভিযোগ

ছবি

‘যে চেনে সে কেনে, সাদেকের সৃষ্টি জামতলার মিষ্টি’

ছবি

ট্রাম্পের সফর : এবার আমিরাতের সঙ্গে হলো ২০ হাজার কোটি ডলারের চুক্তি

ছবি

সোনাদিয়ায় পেট্রোল ঢেলে গাছপালা পুড়িয়ে চিংড়িঘের নির্মাণ!

ছবি

জাহাজ রপ্তানিতে ‘সুদিন ফিরছে’

ছবি

রঙিন আমে ভরে উঠছে রাজশাহী, ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বাণিজ্যের সম্ভাবনা

তথ্য উপদেষ্টাকে বোতল নিক্ষেপ: শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পরিবারের জিম্মায়

চাল, মুরগি ও সবজির দাম কমেছে, বেড়েছে ডিমের

ছবি

নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা, গুজব ও ধর্মীয় উসকানির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থার দাবি

সাম্য হত্যা: জড়িতদের গ্রেপ্তারে সময় বেঁধে দিলো ছাত্রদল

ছবি

পড়ে গেল চাকা, ৭১ যাত্রী নিয়ে মাঝ আকাশে বাংলাদেশ বিমান

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ

ছবি

জগন্নাথের শিক্ষার্থীরা অনশনে

ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব দাবি মেনে নিয়েছে সরকার, লিখিত ঘোষনা চান শিক্ষার্থীরা

ছবি

সাম্য হত্যাকাণ্ড: ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শিক্ষার্থীদের, শাহবাগ থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি

ইশরাককে মেয়র ঘোষণা: আইনী পরামর্শ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের চিঠি

ছবি

বিডিআর বিদ্রোহ: কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি ২৭ জনের

পশুর হাটে চাঁদাবাজি প্রতিরোধে পুলিশ তৎপর থাকবে: ডিএমপি

প্রতারণার বিষয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সতর্ক থাকার নির্দেশ

দেশের গণমাধ্যম অবারিত স্বাধীনতা ভোগ করছে: প্রেস সচিব

ছবি

পলিসি ব্রেকফাস্ট: নির্মল বায়ু আইন তৈরি ও জ্বালানি নীতিমালা হালনাগাদের দাবি

কলেজ থেকে তুলে নিয়ে দল বেঁধে ধর্ষণ, তিন জনের যাবজ্জীবন

ছবি

সাম্য হত্যার পেছনে রাজনৈতিক কারণ আছে: রিজভী

ছবি

খুমেক : অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে স্বাস্থ্যসেবা, সংক্রামক রোগের ঝুঁকি

মোকতাদির ও আরিফসহ ৬ জনের দেশত্যাগ নিষেধ

জাপানের কাছে আরও বেশি ঋণ ও বাজেট সহায়তা চায় বাংলাদেশ

উপদেষ্টা মাহফুজকে বোতল ছুড়লো কে? ‘খুঁজছে’ পুলিশ

কিছু প্রস্তাবে ঐকমত্যে পৌঁছানো খুব কঠিন : বাসদ

দুই উপদেষ্টার সাবেক এপিএস, পিও ও এনসিপি নেতাকে ডেকেছে দুদক

নগদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, অস্থিরতা শুরু

শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক দরপতন, ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে সূচক

ছবি

দাবি আদায়ে জগন্নাথে ‘শাটডাউন’: তিন দফার সঙ্গে ‘পুলিশি হামলার’ বিচারের দাবি আন্দোলনকারীদের

ছবি

ছাত্রদল নেতাদের ‘তুই’ সম্বোধনে ক্ষোভ, উপাচার্যের সমালোচনায় রিজভী

tab

জাতীয়

আজ পহেলা বৈশাখ,নতুন বছর বরণের দিন,বাঙালির উৎসবের দিন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বাঙালির বর্ষবরণ উৎসব: ফাইল ছবি

রোববার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

নতুন স্বপ্ন নিয়ে নতুন বছর এলো বাঙালির জীবনে। আজ পহেলা বৈশাখ,বাংলা ১৪৩১ সনের প্রথম দিন, শুভ নববর্ষ। আজ বাঙালির চিরায়ত উৎসবের দিন। আজ বর্ণিল উৎসবের মধ্য দিয়ে বাঙালি বরণ করবে পহেলা বৈশাখকে,নতুন আশা-স্বপ্নে যাত্রা করবে নতুন দিনে।

বাঙালির জীবনে পহেলা বৈশাখের গুরুত্ব অপরিসীম। এই দিনে বৈশাখ আর বাঙালি মিলেমিশে একাকার হযে যায় এই বাংলায়। তাই পহেলা বৈশাখ নিয়ে উচ্ছ্বাসের যেন শেষ নেই বাঙালির।

বাঙালির জীবনে পহেলা বৈশাখ আসে নান উৎসবের বার্তা নিয়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। হাজার বছরের ঐতিহ্য নিয়ে এবারও বাঙালি মেতে উঠেছে নানা উৎসবের ব্যঞ্জনায়।

আগে পহেলা বৈশাখ বরণে অন্যতম প্রধান অনুসঙ্গ ছিল হালখাতা। এখন বাঙালির জীবনে আধুনিকতার ছোঁয়ায় হালখাতার ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। তবে আনন্দের আবহে নানান আয়োজনে বর্ষবরণের ক্ষেত্রে যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। আনন্দের কোন কমতি নেই বর্ষবরণে। আনন্দের আবহ বাঙালিকে ঘিরে রেখেছে আগের মতোই।

আজ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ বর্ণিল উৎসবে মেতে উঠবে।

শুভ নববর্ষ উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে দেশে ও দেশের বাইরে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাঙালি জাতির শাশ্বত ঐতিহ্যের প্রধান অঙ্গ পহেলা বৈশাখ। পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির জীবনে একটি পরম আনন্দের দিন। বৈশাখের আগমনে বেজে ওঠে নতুনের জয়গান। দুঃখ, জরা, ব্যর্থতা ও মলিনতাকে ভুলে সবাই জেগে ওঠে নব আনন্দে, নব উদ্যমে। পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি খুঁজে পায় নিজস্ব ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে উৎসবমুখর বাংলা নববর্ষের এই দিনে দেশবাসীসহ সব বাঙালিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলা নতুন বছর ১৪৩১ আমাদের জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে। সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে বাঙালি রচনা করবে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, আনন্দ ও ভালোবাসার মেলবন্ধন।

পহেলা বৈশাখ সরকারি ছুটির দিন। এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। ছায়ানট ভোরে রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর বসাবে। আওয়ামী লীগ বর্ণিল শোভাযাত্রার কর্মসূচি দিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন করবে।

বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত ও ‘এসো হে বৈশাখ’ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হবে। বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য, মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস ও ইউনেসকোর বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে মঙ্গল শোভাযাত্রার অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে এদিন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে। বাংলা নববর্ষে সব কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের আয়োজন করা হবে।

বাংলাদেশে বর্ষবরণের প্রধান আকর্ষন ভোরে রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠান। সেই পাকিস্তান শাসনামলে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে । আর ষাটের দশকের শেষে তা বিশেষ মাত্রা পায়। রমনা বটমূলে ছায়ানটের আয়োজন এখন ঐতিহ্যে পরিনত হয়েছে।

ঢাকায় বর্ষবরণের আরেক ঐতিহ্য গড়ে উঠেছে চারুকলা ইনস্টিটিউটের ছাত্র-শিক্ষক-সংস্কৃতিকর্মীদের অংশগ্রহনে মঙ্গল শোভাযাত্রা। গত কয়েকদিন ধরেই মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি চলেছে চারুকলা ইনস্টিটিউটে।

পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বাঙালির অসাম্প্রদায়িক এবং গণতান্ত্রিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। কালক্রমে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান এখন শুধু আনন্দ-উল্লাসের উৎসব নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি শক্তিশালী ধারক-বাহক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, উৎসবের পাশাপাশি স্বৈরাচার-অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদও এসেছে পহেলা বৈশাখের আয়োজনে। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বের হয় প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেসকো এই শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মর্যাদা দেয়।

আজ সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে। ছায়ানটের অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে সবাই যেন মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারেন এজন্য এবার ১৫ মিনিট পেছানো হয়েছে শোভাযাত্রার সময়।

এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনও ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো ও বিক্রয় করা যাবে না। বিকাল ৫টা পর্যন্ত চারুকলায় পহেলা বৈশাখের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।

এবার পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণের আয়োজনে সুনির্দিষ্ট কোনও হামলার শঙ্কা নেই জানিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, অতীতের হামলার ঘটনা মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। এছাড়া এদিন রমনা বটমূল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ভোর ৫টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ রাখা এবং রোড ডাইভারশন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।

back to top