বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, দলমত নির্বিশেষে সকল আইনজীবীর লক্ষ্য অভিন্ন। মানুষের ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে সহায়তা করা। সেটাই হচ্ছে আমাদের কাজ। বিচার বিভাগের সম্মান রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের। পেশাগত জীবনে এমন কিছু করবেন না যাতে এই প্রতিষ্ঠানের মানহানী ঘটে।
বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতি আয়োজিত সম্বর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এসব কথা বলেন।
মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট কামাল উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের এটর্ণি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আল মাহমুদ ফায়জুল করিম, এডভোকেট শান্তিপদ ঘোষ, এডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিব, এডভোকেট বিশ^জিত ঘোষ, এডভোকেট জয়নুল হক।
নবীন আইনজীবীদের উদ্দ্যেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, একজন বিচার প্রার্থী তার সম্পদ ও স্বাধীনতা রক্ষার গুরুভার পরম নির্ভরতায় একজন আইনজীবীর উপর অর্পন করে থাকে। বিচার প্রার্থী ও আইনজীবীদের মধ্যে এই নির্ভরতার সম্পর্ক আপনাদের জন্য পবিত্র আমানত। তাই এই আমানত রক্ষা করার ব্যাপারে আপনাদের সব সময় সচেতন থাকতে হবে।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, বিচার বিভাগের ডিজিটালাইজেশন, বিচার সেবা প্রাপ্তি সহজীকরণ তথা বিচার বিভাগের আধুনিকায়নের লক্ষে একটি দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশের সাবেক এটর্ণি জেনারেলগণ, সুপ্রীম কোর্ট বার ও সিনিয়র আইনজীবীগণ, এটর্ণি জেনারেল অফিস, বিচার বিভাগের বিভিন্ন ষ্ট্যাক হোল্ডারগণের সাথে আলোচনা হয়েছে, আরো আলোচনা হবে। মামলার জট হ্রাসকরণ, বিচার বিভাগ হতে দূর্নীতি নির্মুল করণ, বিচার কার্যক্রমে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিচার বিভাগ, বিচার সেবার মানোন্নয়ন সহ বিচার বিভাগের আধুনিকায়নে আপনাদের (আইনজীবী সমিতির) যদি কোন পরামর্শ থাকে তাহলে লিখিত আকারে সূপ্রীম কোর্টের রেজিষ্টারের নিকট প্রেরণ করবেন। বিচার বিভাগের জন্য দীর্ঘমেয়াদী প্লান প্রস্তুত করতে আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামতকে বিবেচনায় নেয়া হবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, দ্রুত বিচার নিস্পত্তির জন্য মনিটরিং প্রক্রিয়াকে আরো জোরদার করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের ৮টি বিভাগের জন্য ১৩ জন বিচারপতি তত্তাবধানে নিয়োজিত আছেন। এতে বিচার বিভাগের সার্বিক গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
আমি বিশ^াস করি বিচার বিভাগের অবিচ্ছিন্ন অংশ হিসেবে আইনজীবীদের স্বতঃস্পুর্ত অংশগ্রহণ ব্যাতীত দেশে ন্যায় বিচার সুশাসন প্রতিষ্ঠা কিছুতেই সম্ভব নয়। এ কারণেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামোতে সমাজের ভ্যানগার্ড হিসেবে গণ্য করা হয়।
জাগতিক লোভ লালসা যাতে পেশাগত নৈতিকতার মানদন্ড থেকে বিচ্যুত না করে সেদিকে আইনজীবীগণ সচেষ্ট থাকার আহবান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতি নবীন আইনজীবীগণকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে আইনজীবী হয়েছেন। এই মুল লক্ষ্য থেকে লক্ষ্যচ্যুত হবেন না। আইন শিক্ষা মুলত একজন নাগরিককে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠার শিক্ষা। কেননা আইন পাঠ আমাদের মানুষের স্বাধীনতাকে সম্মান জানাতে শেখায়। সচেতন নাগরিকের রুল মডেল হিসাবে
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, দলমত নির্বিশেষে সকল আইনজীবীর লক্ষ্য অভিন্ন। মানুষের ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে সহায়তা করা। সেটাই হচ্ছে আমাদের কাজ। বিচার বিভাগের সম্মান রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের। পেশাগত জীবনে এমন কিছু করবেন না যাতে এই প্রতিষ্ঠানের মানহানী ঘটে।
বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতি আয়োজিত সম্বর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এসব কথা বলেন।
মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট কামাল উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের এটর্ণি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আল মাহমুদ ফায়জুল করিম, এডভোকেট শান্তিপদ ঘোষ, এডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিব, এডভোকেট বিশ^জিত ঘোষ, এডভোকেট জয়নুল হক।
নবীন আইনজীবীদের উদ্দ্যেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, একজন বিচার প্রার্থী তার সম্পদ ও স্বাধীনতা রক্ষার গুরুভার পরম নির্ভরতায় একজন আইনজীবীর উপর অর্পন করে থাকে। বিচার প্রার্থী ও আইনজীবীদের মধ্যে এই নির্ভরতার সম্পর্ক আপনাদের জন্য পবিত্র আমানত। তাই এই আমানত রক্ষা করার ব্যাপারে আপনাদের সব সময় সচেতন থাকতে হবে।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, বিচার বিভাগের ডিজিটালাইজেশন, বিচার সেবা প্রাপ্তি সহজীকরণ তথা বিচার বিভাগের আধুনিকায়নের লক্ষে একটি দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশের সাবেক এটর্ণি জেনারেলগণ, সুপ্রীম কোর্ট বার ও সিনিয়র আইনজীবীগণ, এটর্ণি জেনারেল অফিস, বিচার বিভাগের বিভিন্ন ষ্ট্যাক হোল্ডারগণের সাথে আলোচনা হয়েছে, আরো আলোচনা হবে। মামলার জট হ্রাসকরণ, বিচার বিভাগ হতে দূর্নীতি নির্মুল করণ, বিচার কার্যক্রমে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিচার বিভাগ, বিচার সেবার মানোন্নয়ন সহ বিচার বিভাগের আধুনিকায়নে আপনাদের (আইনজীবী সমিতির) যদি কোন পরামর্শ থাকে তাহলে লিখিত আকারে সূপ্রীম কোর্টের রেজিষ্টারের নিকট প্রেরণ করবেন। বিচার বিভাগের জন্য দীর্ঘমেয়াদী প্লান প্রস্তুত করতে আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামতকে বিবেচনায় নেয়া হবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, দ্রুত বিচার নিস্পত্তির জন্য মনিটরিং প্রক্রিয়াকে আরো জোরদার করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের ৮টি বিভাগের জন্য ১৩ জন বিচারপতি তত্তাবধানে নিয়োজিত আছেন। এতে বিচার বিভাগের সার্বিক গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
আমি বিশ^াস করি বিচার বিভাগের অবিচ্ছিন্ন অংশ হিসেবে আইনজীবীদের স্বতঃস্পুর্ত অংশগ্রহণ ব্যাতীত দেশে ন্যায় বিচার সুশাসন প্রতিষ্ঠা কিছুতেই সম্ভব নয়। এ কারণেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামোতে সমাজের ভ্যানগার্ড হিসেবে গণ্য করা হয়।
জাগতিক লোভ লালসা যাতে পেশাগত নৈতিকতার মানদন্ড থেকে বিচ্যুত না করে সেদিকে আইনজীবীগণ সচেষ্ট থাকার আহবান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতি নবীন আইনজীবীগণকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে আইনজীবী হয়েছেন। এই মুল লক্ষ্য থেকে লক্ষ্যচ্যুত হবেন না। আইন শিক্ষা মুলত একজন নাগরিককে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠার শিক্ষা। কেননা আইন পাঠ আমাদের মানুষের স্বাধীনতাকে সম্মান জানাতে শেখায়। সচেতন নাগরিকের রুল মডেল হিসাবে