অন্তর্বর্তী সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপেও কিছুতেই কমছে না নিত্যপণ্যের দাম। শুল্ক কমানো, আমদানি, ‘যৌক্তিক দাম নির্ধারণ’ করে দেয়ার পরও দাম না কমেও উল্টো বাড়ছে পণ্যের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে আরও বেড়েছে ডিম-ব্রয়লার মুরগি, ইলিশ-সবজি চাল-তেলসহ বেশকিছু নিত্যপণ্যের দাম। আলু-পেঁয়াজ-রসুনসহ বাকি প্রায় সব পণ্য আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। নিত্যপণ্য ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় অসহায় হয়ে পড়ছেন নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও কম আয়ের মানুষরা। আর বাজারে আসা ক্রেতা বলছেন, ‘ডিমই কিনতে পারছি না, মাছ-মাংস কিনবো কি দিয়ে?’
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কয়েকটি খুচরা বাজার ও বিভিন্ন এলাকার মুদি দোকান ঘুরে এবং বেশ কিছু ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্রই পাওয়া যায়।
রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাজারের বিষয়ে কথা হয় গণমাধ্যমকর্মী মাসুদ মিয়ার সঙ্গে। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘বাজারের বিষয়ে কি আর বলবো ভাই। আমাদের যে অবস্থা, বউ হোয়াটসঅ্যাপ এ বাজারের লিস্ট দিছে। এই দেখেন, লিখছে ডিম-ডাল-লবণ-তেল-চিনি, শুকনামরিচ-হলুদেরগুড়া-কাঁচামরিচসহ নানাকিছু বাজার করতে বলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাজার করার মতো আমার কাছে টাকা ছিল না, তাই আজ সপ্তাহের সদাই কিনতে বাজার যাইতে পারিনি। পরে হাত ও পথ খরচের ১০০ টাকা বউ এর হাতে ধরায়া দিয়ে এসেছি। কী করবো, টাকা না থাকলে? ‘ডিমই কিনতে পারছি না, মাছ-মাংস কিনবো কি দিয়ে?,’ এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
‘১৫ থেকে ২০ দিন ধরে আমিই ডিমই খেতে পারছি না,’ যোগ করেন পাশে থাকা মাসুদের সহকর্মী।
দরদাম বেঁচা বিক্রি বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানী সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজারের ডিম বিক্রেতা অভি সংবাদকে বলেন, ‘দুই-তিন দিন ধরে ডিমের দাম বাড়ছে। আজ ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি করছি ১৭০ টাকা। একই ডিম দুইদিন আগেও বিক্রি করছি ১৬০ টাকা ডজন। আর হাঁসের ডিম বিক্রি করছি ২২০ টাকা ডজন।’
অভির দোকানেই ভাঙা ডিম কিনতে দেখা গেছে এক মহিলাকে। এক হালি ফার্মের মুরগির ডিমের খোসা ছেড়ে ডিমের ভিতরের অংশটুকু সাদা পলিথিনে মুড়িয়ে এ দোকানি ওই মহিলাকে দিলে ডিমের কুসুম ভেঙে গেছে এই কারণে ক্রেতা আর নিলেন না। পরে ওই মহিলা ভাঙা ডিমের পরিবর্তে অক্ষত দুইটা ডিম কিনলেন চড়া বাজার দরে। ‘ফার্মের মুরগির ভাঙা ডিম প্রতি পিস দশ টাকা করে বিক্রি করছি,’ বলে জানান তিনি।
শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। মেগাসিটির অলি-গলি-মহল্লায় দাম আরও বেশি। ‘যৌক্তিক দাম’ নির্ধারণ করা পণ্যটি না কমে উল্টো বাড়ছেই।
বাজার নিয়ন্ত্রণে না আসায় গত সপ্তাহে ডিমের ‘যৌক্তিক দাম’ ডজনে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় সরকারি সংস্থা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
সবজির বাজারঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে বেশ কিছু সবজির দাম কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। বাজারভেদে টমেটো বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, গাজর ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ থেকে ৯০ টাকা, বেগুনি রংয়ের গোল বেগুন ১২০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। এছাড়া বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজি ২২০ থেকে ২৮০ টাকায়। চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু-পেঁয়াজ।
সবজির দামের দরদামের বিষয়ে জানতে চাইলে সেগুন বাগিচা সবজি বিক্রেতা আলামিন সংবাদকে বলেন, ‘দুই তিন দিন ধরে সবজির দাম বাজছে কেজিতে কোনোটা ১০ টাকা, কোনোটা ১৫ টাকা আবার কোনোটা ২০ টাকা। যেমন বরবটি ছিল ৮০ টাকা আজ ১০০ টাকা বিক্রি করছি। ভেন্ডি ছিল ৫০ টাকা, বিক্রি করছি ৭০ টাকা। উস্তা ও করলাও ১০ টাকা বাড়ছে।’
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সবজি-মাছসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাকগুলো সরাসরি রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ঢোকে। যার কারণে অন্যান্য বাজারের তুলনায় সাধারণত এ বাজারে দাম কিছুটা কমে বিক্রি হয়।
এখন ইলিশ মাছের ভরা মৌসুম। তারপরও বাজারে বেড়েছে স্বাধের এই মাছের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও বেড়েছে ইলিশ মাছের দাম। কারওয়ান বাজারই ৯শ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ১৫শ থেকে ১৮শ টাকা। ১২শ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজি ২০০০ থেকে ২২০০ টাকায়।
দরদামের বিষয়ে জানতে চাইলে এ বাজারের ইলিশ মাছ বিক্রেতা খোরশেদ সংবাদকে বলেন, ‘কেজিতে এক থেকে দেড়শ টাকা বাড়ছে।’
বাজারে ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে এখন ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। এছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজি ৭৮০ টাকায়।
গত সপ্তাহের থেকে এ সপ্তাহে কোনো কোনো পণ্যের দাম বাড়ছে আর কমছে এমন প্রশ্নের জবাবে কারওয়ান বাজারের মুদি দোকানি ইউসুফ সংবাদকে জানান, ‘প্রায় সব জিনিস আগের বাড়তি দামেই আছে। তবে দুদিন ধরে লুজ পাম্প তেল, যেটা সুপার পাম্প বলে সেটা কালকে বেচছি কেজি ১৫৫ থেকে ১৫৭ টাকা আর আজকে বেচতাছি ১৬০ টাকা।’
চালের চড়া বাজার চড়েই আছে এক মাস ধরে। দাম না কমে, দুই-তিন দিনের ব্যবধানে আর এক ধাপ বেড়েছে। চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর কারওরান বাজারেই বিআর-২৮ জতের চাল বিক্রি হচ্ছে খুচরায় কেজি ৬০ টাকা দরে আর মিনিকেট নামক চাল বিক্রি হচ্ছে ৭২ টাকায়।
চালের দরদামের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানী কারওয়ান বাজারের চাল বিক্রেতা আল্লাহর দান রাইস এর সত্বাধিকারী আবদুল আউয়াল তালুকদার সংবাদকে বলেন, ‘খুচরা ও পাইকারি দুই বাজারেই তিন-চার দিন ধরে মোটা ও মাঝারি মানের চালের দাম আরও একটু বাড়ছে। ৫০ কেজির বস্তায় ৫০ টাকা, কেজিতে এক টাকা।’
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) থেকে দেয়া শুক্রবার ঢাকা মহানগরীর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের খুচরা বাজারদরের তালিকায় দেখা যায়, এক বছরের ব্যবধানে সরু চালের দাম ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ, মাঝারি মানের চাল ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং মোটা চাল ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপেও কিছুতেই কমছে না নিত্যপণ্যের দাম। শুল্ক কমানো, আমদানি, ‘যৌক্তিক দাম নির্ধারণ’ করে দেয়ার পরও দাম না কমেও উল্টো বাড়ছে পণ্যের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে আরও বেড়েছে ডিম-ব্রয়লার মুরগি, ইলিশ-সবজি চাল-তেলসহ বেশকিছু নিত্যপণ্যের দাম। আলু-পেঁয়াজ-রসুনসহ বাকি প্রায় সব পণ্য আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। নিত্যপণ্য ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় অসহায় হয়ে পড়ছেন নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও কম আয়ের মানুষরা। আর বাজারে আসা ক্রেতা বলছেন, ‘ডিমই কিনতে পারছি না, মাছ-মাংস কিনবো কি দিয়ে?’
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কয়েকটি খুচরা বাজার ও বিভিন্ন এলাকার মুদি দোকান ঘুরে এবং বেশ কিছু ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্রই পাওয়া যায়।
রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাজারের বিষয়ে কথা হয় গণমাধ্যমকর্মী মাসুদ মিয়ার সঙ্গে। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘বাজারের বিষয়ে কি আর বলবো ভাই। আমাদের যে অবস্থা, বউ হোয়াটসঅ্যাপ এ বাজারের লিস্ট দিছে। এই দেখেন, লিখছে ডিম-ডাল-লবণ-তেল-চিনি, শুকনামরিচ-হলুদেরগুড়া-কাঁচামরিচসহ নানাকিছু বাজার করতে বলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাজার করার মতো আমার কাছে টাকা ছিল না, তাই আজ সপ্তাহের সদাই কিনতে বাজার যাইতে পারিনি। পরে হাত ও পথ খরচের ১০০ টাকা বউ এর হাতে ধরায়া দিয়ে এসেছি। কী করবো, টাকা না থাকলে? ‘ডিমই কিনতে পারছি না, মাছ-মাংস কিনবো কি দিয়ে?,’ এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
‘১৫ থেকে ২০ দিন ধরে আমিই ডিমই খেতে পারছি না,’ যোগ করেন পাশে থাকা মাসুদের সহকর্মী।
দরদাম বেঁচা বিক্রি বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানী সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজারের ডিম বিক্রেতা অভি সংবাদকে বলেন, ‘দুই-তিন দিন ধরে ডিমের দাম বাড়ছে। আজ ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি করছি ১৭০ টাকা। একই ডিম দুইদিন আগেও বিক্রি করছি ১৬০ টাকা ডজন। আর হাঁসের ডিম বিক্রি করছি ২২০ টাকা ডজন।’
অভির দোকানেই ভাঙা ডিম কিনতে দেখা গেছে এক মহিলাকে। এক হালি ফার্মের মুরগির ডিমের খোসা ছেড়ে ডিমের ভিতরের অংশটুকু সাদা পলিথিনে মুড়িয়ে এ দোকানি ওই মহিলাকে দিলে ডিমের কুসুম ভেঙে গেছে এই কারণে ক্রেতা আর নিলেন না। পরে ওই মহিলা ভাঙা ডিমের পরিবর্তে অক্ষত দুইটা ডিম কিনলেন চড়া বাজার দরে। ‘ফার্মের মুরগির ভাঙা ডিম প্রতি পিস দশ টাকা করে বিক্রি করছি,’ বলে জানান তিনি।
শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। মেগাসিটির অলি-গলি-মহল্লায় দাম আরও বেশি। ‘যৌক্তিক দাম’ নির্ধারণ করা পণ্যটি না কমে উল্টো বাড়ছেই।
বাজার নিয়ন্ত্রণে না আসায় গত সপ্তাহে ডিমের ‘যৌক্তিক দাম’ ডজনে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় সরকারি সংস্থা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
সবজির বাজারঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে বেশ কিছু সবজির দাম কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। বাজারভেদে টমেটো বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, গাজর ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ থেকে ৯০ টাকা, বেগুনি রংয়ের গোল বেগুন ১২০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। এছাড়া বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজি ২২০ থেকে ২৮০ টাকায়। চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু-পেঁয়াজ।
সবজির দামের দরদামের বিষয়ে জানতে চাইলে সেগুন বাগিচা সবজি বিক্রেতা আলামিন সংবাদকে বলেন, ‘দুই তিন দিন ধরে সবজির দাম বাজছে কেজিতে কোনোটা ১০ টাকা, কোনোটা ১৫ টাকা আবার কোনোটা ২০ টাকা। যেমন বরবটি ছিল ৮০ টাকা আজ ১০০ টাকা বিক্রি করছি। ভেন্ডি ছিল ৫০ টাকা, বিক্রি করছি ৭০ টাকা। উস্তা ও করলাও ১০ টাকা বাড়ছে।’
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সবজি-মাছসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাকগুলো সরাসরি রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ঢোকে। যার কারণে অন্যান্য বাজারের তুলনায় সাধারণত এ বাজারে দাম কিছুটা কমে বিক্রি হয়।
এখন ইলিশ মাছের ভরা মৌসুম। তারপরও বাজারে বেড়েছে স্বাধের এই মাছের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও বেড়েছে ইলিশ মাছের দাম। কারওয়ান বাজারই ৯শ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ১৫শ থেকে ১৮শ টাকা। ১২শ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজি ২০০০ থেকে ২২০০ টাকায়।
দরদামের বিষয়ে জানতে চাইলে এ বাজারের ইলিশ মাছ বিক্রেতা খোরশেদ সংবাদকে বলেন, ‘কেজিতে এক থেকে দেড়শ টাকা বাড়ছে।’
বাজারে ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে এখন ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। এছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজি ৭৮০ টাকায়।
গত সপ্তাহের থেকে এ সপ্তাহে কোনো কোনো পণ্যের দাম বাড়ছে আর কমছে এমন প্রশ্নের জবাবে কারওয়ান বাজারের মুদি দোকানি ইউসুফ সংবাদকে জানান, ‘প্রায় সব জিনিস আগের বাড়তি দামেই আছে। তবে দুদিন ধরে লুজ পাম্প তেল, যেটা সুপার পাম্প বলে সেটা কালকে বেচছি কেজি ১৫৫ থেকে ১৫৭ টাকা আর আজকে বেচতাছি ১৬০ টাকা।’
চালের চড়া বাজার চড়েই আছে এক মাস ধরে। দাম না কমে, দুই-তিন দিনের ব্যবধানে আর এক ধাপ বেড়েছে। চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর কারওরান বাজারেই বিআর-২৮ জতের চাল বিক্রি হচ্ছে খুচরায় কেজি ৬০ টাকা দরে আর মিনিকেট নামক চাল বিক্রি হচ্ছে ৭২ টাকায়।
চালের দরদামের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানী কারওয়ান বাজারের চাল বিক্রেতা আল্লাহর দান রাইস এর সত্বাধিকারী আবদুল আউয়াল তালুকদার সংবাদকে বলেন, ‘খুচরা ও পাইকারি দুই বাজারেই তিন-চার দিন ধরে মোটা ও মাঝারি মানের চালের দাম আরও একটু বাড়ছে। ৫০ কেজির বস্তায় ৫০ টাকা, কেজিতে এক টাকা।’
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) থেকে দেয়া শুক্রবার ঢাকা মহানগরীর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের খুচরা বাজারদরের তালিকায় দেখা যায়, এক বছরের ব্যবধানে সরু চালের দাম ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ, মাঝারি মানের চাল ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং মোটা চাল ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।