বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের বার্ষিক বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে। বৈঠকটি আগামী ১৮ থেকে ২২ নভেম্বর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে, বাংলাদেশের পরিকল্পনায় সাম্প্রতিক পরিবর্তনের কারণে বৈঠকটি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম পিটিআই।
প্রতিবছর দুবার বিজিবি এবং বিএসএফ প্রধানদের মধ্যে এ ধরনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়সহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয় এসব বৈঠকে। চলতি বছরের মার্চ মাসে ঢাকায় সর্বশেষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবার ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এটি ছিল প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠক।
ভারতের সংবাদমাধ্যম ইকনোমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি বিজিবি ও বিএসএফ মহাপরিচালকদের মধ্যে ৫৫তম বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এ বৈঠকে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মাদকবিরোধী বিভাগ, কাস্টমস এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন। পরবর্তী সময়ে আলোচনার জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করতে উভয় পক্ষই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে বাংলাদেশ থেকে জানানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ভবিষ্যৎ বৈঠকগুলোতে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং সীমান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রচলিত ইস্যুগুলোর পাশাপাশি সাম্প্রতিক ঘটনাবলির আলোকে আরো বিস্তৃত আলোচনা হতে পারে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং এর প্রভাব সীমান্ত সম্পর্কিত আলোচনা এবং রূপরেখা নির্ধারণেও ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
বিএসএফের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, "বর্তমানে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং ৫ আগস্টের পর থেকে বিজিবির সঙ্গে ভালো যোগাযোগ বজায় রয়েছে।" পাশাপাশি, ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি মন্ত্রণালয় পর্যায়ে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তৃত পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি সন্তোষজনক রয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতের পক্ষ থেকেও সীমান্ত পরিস্থিতির ওপর নজরদারি এবং অপরাধ নিয়ন্ত্রণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। উভয় দেশের জন্যই সীমান্তে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও কার্যকর সীমান্ত ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভারত-বাংলাদেশের এ ধরনের বৈঠকসমূহ ঐতিহ্যগতভাবে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও বোঝাপড়া বৃদ্ধি এবং সীমান্ত সম্পর্কিত ইস্যু সমাধানে সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে।
শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪
বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের বার্ষিক বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে। বৈঠকটি আগামী ১৮ থেকে ২২ নভেম্বর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে, বাংলাদেশের পরিকল্পনায় সাম্প্রতিক পরিবর্তনের কারণে বৈঠকটি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম পিটিআই।
প্রতিবছর দুবার বিজিবি এবং বিএসএফ প্রধানদের মধ্যে এ ধরনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়সহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয় এসব বৈঠকে। চলতি বছরের মার্চ মাসে ঢাকায় সর্বশেষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবার ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এটি ছিল প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠক।
ভারতের সংবাদমাধ্যম ইকনোমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি বিজিবি ও বিএসএফ মহাপরিচালকদের মধ্যে ৫৫তম বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এ বৈঠকে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মাদকবিরোধী বিভাগ, কাস্টমস এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন। পরবর্তী সময়ে আলোচনার জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করতে উভয় পক্ষই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে বাংলাদেশ থেকে জানানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ভবিষ্যৎ বৈঠকগুলোতে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং সীমান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রচলিত ইস্যুগুলোর পাশাপাশি সাম্প্রতিক ঘটনাবলির আলোকে আরো বিস্তৃত আলোচনা হতে পারে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং এর প্রভাব সীমান্ত সম্পর্কিত আলোচনা এবং রূপরেখা নির্ধারণেও ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
বিএসএফের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, "বর্তমানে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং ৫ আগস্টের পর থেকে বিজিবির সঙ্গে ভালো যোগাযোগ বজায় রয়েছে।" পাশাপাশি, ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি মন্ত্রণালয় পর্যায়ে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তৃত পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি সন্তোষজনক রয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতের পক্ষ থেকেও সীমান্ত পরিস্থিতির ওপর নজরদারি এবং অপরাধ নিয়ন্ত্রণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। উভয় দেশের জন্যই সীমান্তে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও কার্যকর সীমান্ত ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভারত-বাংলাদেশের এ ধরনের বৈঠকসমূহ ঐতিহ্যগতভাবে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও বোঝাপড়া বৃদ্ধি এবং সীমান্ত সম্পর্কিত ইস্যু সমাধানে সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে।