বাংলাদেশে একটি ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন নিয়ে ২৭ বছর আগে সৃষ্ট বিরোধের জেরে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরকে ‘গ্রেপ্তারের জন্য বেঞ্চ ওয়ারেন্ট’ জারি করেছে একটি মার্কিন আদালত। গত বৃহস্পতিবার এই আদেশ জারি করা হয়।
বাংলাদেশের কাছ থেকে ৩১ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার জরিমানা আদায় করার বিষয়ে তাদের দুই জনের জবানবন্দি নিতে এই আপিল করেছিল স্মিথ কোজেনারেশন (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেড।
আপিলটি মঞ্জুর করে সালেহউদ্দিন আহমেদ ও আহসান এইচ মনসুরকে ‘আটক করে আদালতে আনার জন্য’ মার্কিন মার্শাল সার্ভিসকে নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন জেলা জজ কার্ল জে নিকোলস।
আপিলকারী প্রতিষ্ঠান এই দুইজনকে বাংলাদেশের অর্থনীতির ‘দুইজন সিনিয়র নেতা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে এবং বলেছে, সালিশি জরিমানা আদায়ের জন্য কয়েক দশক ধরে চলমান দীর্ঘ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তাদের জবানবন্দি প্রয়োজন।
এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে সরকার এবং পিডিবির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে মার্কিন ওই আদালতের পরোয়ানা গত শুক্রবার স্থগিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় সদ্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া মুশফিকুল ফজল আনসারী।
যে প্রকল্প নিয়ে বিরোধ
নারায়ণগঞ্জের হরিপুরে ১০০ মেগাওয়াটের একটি ভাসমান (বার্জ মাউন্টেড) বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি স্মিথ কোজেনারেশন (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার ও দেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে ১৯৯৭ সালে একটি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি হয়।
পিডিবির একটি সূত্র জানায়, যথাসময়ে কাজ শুরু করতে না পারায় একবার মার্কিন কোম্পানিটিকে তিন মাস সময় বাড়ানো হয়। এরপরও কাজ শুরু করতে না পারায় চুক্তি অনুযায়ী ওই কোম্পানিটির জরিমানা হয়। তবে তারা তা না দেয়ায় পিডিবির সঙ্গে বিরোধ শুরু হয়। পরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ওই কোম্পানির চুক্তি এবং দেড় মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ‘পারফরম্যান্স বন্ড’ গ্যারান্টি বাতিল করে পিডিবি।
আইসিসি ট্রাইব্যুনালে সালিশ
১৯৯৯ সালে মার্কিন কোম্পানিটি লন্ডনে আইসিসি (ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স) ট্রাইব্যুনালে সালিশি শুরু করে এবং ২০২৩ সালে ট্রাইব্যুনাল তার রায়ে ‘পিডিবি অন্যায়ভাবে চুক্তি বাতিল করেছে’ উল্লেখ করে স্মিথ কোজেনারেশনকে ১৩ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ পরিশোধ করতে পিডিবির প্রতি আদেশ জারি করে।
মামলার খরচ এবং আরও কিছু দায়বদ্ধতার কারণে পিডিবিকে অতিরিক্ত প্রায় ৩৯ হাজার ১১১ ডলার এবং পিডিবি ও বাংলাদেশ সরকারকে যৌথভাবে আরও প্রায় ২ লাখ ২১ হাজার ৬২৯ ডলার স্মিথ কোজেনারেশনকে পরিশোধ করতে বলা হয় ওই আদেশে।
মার্কিন ডিসি আদালতে পিটিশন
এরপর ২০০৬ সালে মার্কিন ডিসি আদালতে একটি ‘এনফোর্সমেন্ট পিটিশন’ দায়ের করে স্মিথ কোজেনারেশন। সংশ্লিষ্ট ফেডারেল বিচারক ২০০৭ সালে ক্ষতিপূরণগুলো নিশ্চিত করেন এবং স্মিথ কোজেনারেশনের অনুরোধে আদালত তার চূড়ান্ত রায় সংশোধন করে। পিটিশনকারীর আইনজীবী গণমাধ্যমকে জানান, ‘সুদ ও অন্যান্য খরচ বিবেচনায় বাংলাদেশের কাছে এখনও ৩১ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি পাওনা রয়েছে স্মিথ কোজেনারেশনের।’
২০০৬ সালের ওই মামলায় এবারই প্রথমবারের মতো ডিসি আদালতে একটি আপিল দাখিল করে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের আপিল
নিউইয়র্কভিত্তিক একটি আইনি সংবাদমাধ্যম ল৩৬০ এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে দাখিল করা ওই আপিলে বাংলাদেশ দাবি করে, ‘সালেহউদ্দিন আহমেদ ও আহসান এইচ মনসুরকে গ্রেপ্তারের আদেশ দেয়ার কোনো এখতিয়ার বিচারক নিকোলসের নেই।’
বাংলাদেশ তার আপীলে লিখে, ‘এছাড়া, যে দুজন ব্যক্তিকে বেঞ্চের ওয়ারেন্টের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যারা উভয়েই উচ্চ পর্যায়ের বাংলাদেশি কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এবং বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তা, তারা যুক্তরাষ্ট্রে ফৌজদারি ও দেওয়ানী প্রক্রিয়া থেকে মুক্ত।’
বাংলাদেশ বলেছে, ‘এই আপিলের আওতায় অবিলম্বে বিচারক নিকোলসের আদালতের এখতিয়ার বাতিল যোগ্য এবং বেঞ্চের ওয়ারেন্ট প্রয়োগযোগ্য নয়।’
পরোয়ানা ‘স্থগিত’
এদিকে মার্কিন ওই আদালতের পরোয়ানা স্থগিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন সম্প্রতি সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী। গত ২১ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে, যাতে বলা হয়- যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩ বছর মেয়াদে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে রাষ্ট্রদূত পদে পদায়নের জন্য তার চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হলো।
মুশফিকুল ফজল আনসারী শনিবার (২৬ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে লেখেন, ‘১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক একটি চুক্তি বাতিলের দায়ে স্মিথ কোজেনারেশন ক্ষতিপূরণ দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে একটি মামলা করে। ১৯৯৭ সালে স্মিথ কোজেনারেশন তৎকালীন বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে একটি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল এবং দেশের উত্তরাঞ্চলে একটি বার্জ-মাউন্টেড বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য অনুমতি প্রদান করেছিল সরকার। এই মামলায় দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর পর ওয়াশিংটন ডিসি সার্কিট কোর্ট অনেকটা এখতিয়ার বহির্ভূত একটি রায় প্রদান করে, যা গত শুক্রবার আদালত কর্তৃক স্থগিত করা হয়।’
সরকারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি
এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে সংবাদের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। তাকে খুদে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি। পিডিবির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রোববার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
বাংলাদেশে একটি ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন নিয়ে ২৭ বছর আগে সৃষ্ট বিরোধের জেরে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরকে ‘গ্রেপ্তারের জন্য বেঞ্চ ওয়ারেন্ট’ জারি করেছে একটি মার্কিন আদালত। গত বৃহস্পতিবার এই আদেশ জারি করা হয়।
বাংলাদেশের কাছ থেকে ৩১ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার জরিমানা আদায় করার বিষয়ে তাদের দুই জনের জবানবন্দি নিতে এই আপিল করেছিল স্মিথ কোজেনারেশন (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেড।
আপিলটি মঞ্জুর করে সালেহউদ্দিন আহমেদ ও আহসান এইচ মনসুরকে ‘আটক করে আদালতে আনার জন্য’ মার্কিন মার্শাল সার্ভিসকে নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন জেলা জজ কার্ল জে নিকোলস।
আপিলকারী প্রতিষ্ঠান এই দুইজনকে বাংলাদেশের অর্থনীতির ‘দুইজন সিনিয়র নেতা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে এবং বলেছে, সালিশি জরিমানা আদায়ের জন্য কয়েক দশক ধরে চলমান দীর্ঘ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তাদের জবানবন্দি প্রয়োজন।
এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে সরকার এবং পিডিবির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে মার্কিন ওই আদালতের পরোয়ানা গত শুক্রবার স্থগিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় সদ্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া মুশফিকুল ফজল আনসারী।
যে প্রকল্প নিয়ে বিরোধ
নারায়ণগঞ্জের হরিপুরে ১০০ মেগাওয়াটের একটি ভাসমান (বার্জ মাউন্টেড) বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি স্মিথ কোজেনারেশন (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার ও দেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে ১৯৯৭ সালে একটি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি হয়।
পিডিবির একটি সূত্র জানায়, যথাসময়ে কাজ শুরু করতে না পারায় একবার মার্কিন কোম্পানিটিকে তিন মাস সময় বাড়ানো হয়। এরপরও কাজ শুরু করতে না পারায় চুক্তি অনুযায়ী ওই কোম্পানিটির জরিমানা হয়। তবে তারা তা না দেয়ায় পিডিবির সঙ্গে বিরোধ শুরু হয়। পরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ওই কোম্পানির চুক্তি এবং দেড় মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ‘পারফরম্যান্স বন্ড’ গ্যারান্টি বাতিল করে পিডিবি।
আইসিসি ট্রাইব্যুনালে সালিশ
১৯৯৯ সালে মার্কিন কোম্পানিটি লন্ডনে আইসিসি (ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স) ট্রাইব্যুনালে সালিশি শুরু করে এবং ২০২৩ সালে ট্রাইব্যুনাল তার রায়ে ‘পিডিবি অন্যায়ভাবে চুক্তি বাতিল করেছে’ উল্লেখ করে স্মিথ কোজেনারেশনকে ১৩ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ পরিশোধ করতে পিডিবির প্রতি আদেশ জারি করে।
মামলার খরচ এবং আরও কিছু দায়বদ্ধতার কারণে পিডিবিকে অতিরিক্ত প্রায় ৩৯ হাজার ১১১ ডলার এবং পিডিবি ও বাংলাদেশ সরকারকে যৌথভাবে আরও প্রায় ২ লাখ ২১ হাজার ৬২৯ ডলার স্মিথ কোজেনারেশনকে পরিশোধ করতে বলা হয় ওই আদেশে।
মার্কিন ডিসি আদালতে পিটিশন
এরপর ২০০৬ সালে মার্কিন ডিসি আদালতে একটি ‘এনফোর্সমেন্ট পিটিশন’ দায়ের করে স্মিথ কোজেনারেশন। সংশ্লিষ্ট ফেডারেল বিচারক ২০০৭ সালে ক্ষতিপূরণগুলো নিশ্চিত করেন এবং স্মিথ কোজেনারেশনের অনুরোধে আদালত তার চূড়ান্ত রায় সংশোধন করে। পিটিশনকারীর আইনজীবী গণমাধ্যমকে জানান, ‘সুদ ও অন্যান্য খরচ বিবেচনায় বাংলাদেশের কাছে এখনও ৩১ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি পাওনা রয়েছে স্মিথ কোজেনারেশনের।’
২০০৬ সালের ওই মামলায় এবারই প্রথমবারের মতো ডিসি আদালতে একটি আপিল দাখিল করে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের আপিল
নিউইয়র্কভিত্তিক একটি আইনি সংবাদমাধ্যম ল৩৬০ এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে দাখিল করা ওই আপিলে বাংলাদেশ দাবি করে, ‘সালেহউদ্দিন আহমেদ ও আহসান এইচ মনসুরকে গ্রেপ্তারের আদেশ দেয়ার কোনো এখতিয়ার বিচারক নিকোলসের নেই।’
বাংলাদেশ তার আপীলে লিখে, ‘এছাড়া, যে দুজন ব্যক্তিকে বেঞ্চের ওয়ারেন্টের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যারা উভয়েই উচ্চ পর্যায়ের বাংলাদেশি কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এবং বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তা, তারা যুক্তরাষ্ট্রে ফৌজদারি ও দেওয়ানী প্রক্রিয়া থেকে মুক্ত।’
বাংলাদেশ বলেছে, ‘এই আপিলের আওতায় অবিলম্বে বিচারক নিকোলসের আদালতের এখতিয়ার বাতিল যোগ্য এবং বেঞ্চের ওয়ারেন্ট প্রয়োগযোগ্য নয়।’
পরোয়ানা ‘স্থগিত’
এদিকে মার্কিন ওই আদালতের পরোয়ানা স্থগিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন সম্প্রতি সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী। গত ২১ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে, যাতে বলা হয়- যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩ বছর মেয়াদে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে রাষ্ট্রদূত পদে পদায়নের জন্য তার চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হলো।
মুশফিকুল ফজল আনসারী শনিবার (২৬ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে লেখেন, ‘১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক একটি চুক্তি বাতিলের দায়ে স্মিথ কোজেনারেশন ক্ষতিপূরণ দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে একটি মামলা করে। ১৯৯৭ সালে স্মিথ কোজেনারেশন তৎকালীন বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে একটি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল এবং দেশের উত্তরাঞ্চলে একটি বার্জ-মাউন্টেড বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য অনুমতি প্রদান করেছিল সরকার। এই মামলায় দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর পর ওয়াশিংটন ডিসি সার্কিট কোর্ট অনেকটা এখতিয়ার বহির্ভূত একটি রায় প্রদান করে, যা গত শুক্রবার আদালত কর্তৃক স্থগিত করা হয়।’
সরকারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি
এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে সংবাদের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। তাকে খুদে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি। পিডিবির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।