সরকারি চাকরিতে পুলিশ ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিচয় কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন। সোমবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে মতবিনিময়ের পর সচিবালয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সফর রাজ হোসেন জানান, ব্যাংকসহ বিভিন্ন সরকারি চাকরির জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এর আগেও রাজনৈতিক পরিচয় বা দলীয় বিবেচনা প্রভাব ফেলেছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। তবে এখন থেকে প্রার্থী বা তাঁর আত্মীয়-স্বজনের রাজনৈতিক পরিচয়কে আর আমলে নেওয়া হবে না। এই প্রক্রিয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্রকে এক নম্বর ডকুমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
গত জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ১১ সেপ্টেম্বর পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করে। কমিশন ৬ অক্টোবর থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে এবং ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দেবে বলে জানিয়েছেন সফর রাজ হোসেন। কিছু সুপারিশ স্বল্প সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন, তবে কিছু ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও অর্থের প্রয়োজন রয়েছে। সরকারি আইন ও বিধিবিধান পরিবর্তনের জন্য কিছু সুপারিশও থাকবে।
সংস্কার কমিশনের বৈঠকে ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ এবং ১৬৭ ধারায় হাইকোর্টের নির্দেশনা মানার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সফর রাজ হোসেন বলেন, ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে নির্দেশনা অনুসারে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির পরিবারকে অবহিত করতে হবে।
সফর রাজ হোসেন বলেন, দুর্নীতি সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ এবং পুলিশসহ সব বিভাগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার প্রচেষ্টা চালাতে হবে। অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, রাজনৈতিক বিবেচনার ভিত্তিতে অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশসহ অন্যান্য বিভাগগুলোর কার্যক্রমে প্রভাব পড়েছে। ফলে দুর্নীতি ও পদোন্নতি সংক্রান্ত সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য কমিশনের সুপারিশ তৈরি হচ্ছে।
সোমবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্যরা, যাঁদের মধ্যে ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইকবাল, সাবেক যুগ্মসচিব মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক শেখ মো. সাজ্জাত আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহনাজ হুদা, মানবাধিকার কর্মী এ এস এম নাসিরউদ্দিন এলান এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মো. জারিফ রহমান।
মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
সরকারি চাকরিতে পুলিশ ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিচয় কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন। সোমবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে মতবিনিময়ের পর সচিবালয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সফর রাজ হোসেন জানান, ব্যাংকসহ বিভিন্ন সরকারি চাকরির জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এর আগেও রাজনৈতিক পরিচয় বা দলীয় বিবেচনা প্রভাব ফেলেছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। তবে এখন থেকে প্রার্থী বা তাঁর আত্মীয়-স্বজনের রাজনৈতিক পরিচয়কে আর আমলে নেওয়া হবে না। এই প্রক্রিয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্রকে এক নম্বর ডকুমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
গত জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ১১ সেপ্টেম্বর পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করে। কমিশন ৬ অক্টোবর থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে এবং ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দেবে বলে জানিয়েছেন সফর রাজ হোসেন। কিছু সুপারিশ স্বল্প সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন, তবে কিছু ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও অর্থের প্রয়োজন রয়েছে। সরকারি আইন ও বিধিবিধান পরিবর্তনের জন্য কিছু সুপারিশও থাকবে।
সংস্কার কমিশনের বৈঠকে ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ এবং ১৬৭ ধারায় হাইকোর্টের নির্দেশনা মানার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সফর রাজ হোসেন বলেন, ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে নির্দেশনা অনুসারে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির পরিবারকে অবহিত করতে হবে।
সফর রাজ হোসেন বলেন, দুর্নীতি সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ এবং পুলিশসহ সব বিভাগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার প্রচেষ্টা চালাতে হবে। অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, রাজনৈতিক বিবেচনার ভিত্তিতে অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশসহ অন্যান্য বিভাগগুলোর কার্যক্রমে প্রভাব পড়েছে। ফলে দুর্নীতি ও পদোন্নতি সংক্রান্ত সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য কমিশনের সুপারিশ তৈরি হচ্ছে।
সোমবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্যরা, যাঁদের মধ্যে ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইকবাল, সাবেক যুগ্মসচিব মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক শেখ মো. সাজ্জাত আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহনাজ হুদা, মানবাধিকার কর্মী এ এস এম নাসিরউদ্দিন এলান এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মো. জারিফ রহমান।