বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদে ফিরে আসা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। সাক্ষাৎকারটি ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় নেওয়া হয় এবং সোমবার দ্য হিন্দুর অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত হয়।
সাক্ষাৎকারে, সাংবাদিক ট্রাম্পের বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে দেওয়া একটি বিবৃতি উল্লেখ করলে ড. ইউনূস জানান যে তিনি মনে করেন ট্রাম্প বাংলাদেশ নিয়ে কোনো বিবৃতি দেননি। তবে সাংবাদিক তাকে স্মরণ করিয়ে দেন যে ট্রাম্প সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, “সম্ভবত তিনি সঠিকভাবে অবগত নন। এটি একটি অপপ্রচার যা বিশ্বজুড়ে প্রচারিত হচ্ছে। কিন্তু যখন তিনি (ট্রাম্প) বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবেন এবং বাস্তবতা জানবেন, তখন বুঝবেন যে তাকে বাংলাদেশের বিষয়ে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে।”
ড. ইউনূস মনে করেন, শুধুমাত্র প্রেসিডেন্ট পরিবর্তনের কারণে দুটি দেশের সম্পর্কের মৌলিক কিছু বদলে যায় না। তাঁর মতে, এমনকি যদি ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে কিছু পরিবর্তন হয়ও, বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত সম্ভাবনার ভিত্তিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী হিসেবে থাকবে। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক উন্নতি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আকর্ষণীয়, এবং এ সম্পর্ক আরও জোরদার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ওয়াশিংটন ও ঢাকার মধ্যকার সম্পর্ক প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, “আমরা অপেক্ষা করব এবং দেখব। যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা আমাদের অর্থনৈতিক উন্নতি দেখে, তারা আরও আগ্রহী হবে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম বড় ক্রেতা, এবং আমরা এই সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে আগ্রহী।” তিনি উল্লেখ করেন যে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বাণিজ্যিক সম্পর্ক শক্তিশালী হয়ে উঠেছে এবং এটি ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে।
চার দিন আগে ট্রাম্প এক্স (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি লেখেন, “বাংলাদেশ একটি বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে রয়েছে, যেখানে দলবদ্ধভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও লুটপাট চলছে।” ড. ইউনূস এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় জানান যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে এ ধরনের বিবৃতি বাস্তবতার সঙ্গে মিলেনা এবং এটি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
ড. ইউনূস আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক বর্তমান অবস্থায় অক্ষুণ্ণ থাকবে এবং আরও উন্নত হবে, বিশেষ করে যদি অর্থনীতি ইতিবাচক পথে এগিয়ে চলে।
মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদে ফিরে আসা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। সাক্ষাৎকারটি ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় নেওয়া হয় এবং সোমবার দ্য হিন্দুর অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত হয়।
সাক্ষাৎকারে, সাংবাদিক ট্রাম্পের বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে দেওয়া একটি বিবৃতি উল্লেখ করলে ড. ইউনূস জানান যে তিনি মনে করেন ট্রাম্প বাংলাদেশ নিয়ে কোনো বিবৃতি দেননি। তবে সাংবাদিক তাকে স্মরণ করিয়ে দেন যে ট্রাম্প সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, “সম্ভবত তিনি সঠিকভাবে অবগত নন। এটি একটি অপপ্রচার যা বিশ্বজুড়ে প্রচারিত হচ্ছে। কিন্তু যখন তিনি (ট্রাম্প) বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবেন এবং বাস্তবতা জানবেন, তখন বুঝবেন যে তাকে বাংলাদেশের বিষয়ে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে।”
ড. ইউনূস মনে করেন, শুধুমাত্র প্রেসিডেন্ট পরিবর্তনের কারণে দুটি দেশের সম্পর্কের মৌলিক কিছু বদলে যায় না। তাঁর মতে, এমনকি যদি ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে কিছু পরিবর্তন হয়ও, বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত সম্ভাবনার ভিত্তিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী হিসেবে থাকবে। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক উন্নতি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আকর্ষণীয়, এবং এ সম্পর্ক আরও জোরদার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ওয়াশিংটন ও ঢাকার মধ্যকার সম্পর্ক প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, “আমরা অপেক্ষা করব এবং দেখব। যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা আমাদের অর্থনৈতিক উন্নতি দেখে, তারা আরও আগ্রহী হবে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম বড় ক্রেতা, এবং আমরা এই সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে আগ্রহী।” তিনি উল্লেখ করেন যে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বাণিজ্যিক সম্পর্ক শক্তিশালী হয়ে উঠেছে এবং এটি ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে।
চার দিন আগে ট্রাম্প এক্স (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি লেখেন, “বাংলাদেশ একটি বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে রয়েছে, যেখানে দলবদ্ধভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও লুটপাট চলছে।” ড. ইউনূস এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় জানান যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে এ ধরনের বিবৃতি বাস্তবতার সঙ্গে মিলেনা এবং এটি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
ড. ইউনূস আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক বর্তমান অবস্থায় অক্ষুণ্ণ থাকবে এবং আরও উন্নত হবে, বিশেষ করে যদি অর্থনীতি ইতিবাচক পথে এগিয়ে চলে।