অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সোমবার প্রকাশিত এক অধ্যাদেশে এ ঘোষণা দেওয়া হয়, যা স্পিকারের দায়িত্ব পালন ছাড়াও সংসদ সচিবালয়ের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে করা হয়েছে।
গেজেটে বলা হয়েছে, সংসদ অধিবেশনের কার্যক্রম পরিচালনা ছাড়া স্পিকারের অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন আসিফ নজরুল। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত এই ব্যবস্থা বহাল থাকবে।
অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৩১ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আসিফ নজরুলকে এই দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়, যা সোমবার গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, ৬ অগাস্ট রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন। এরপর, ২ সেপ্টেম্বর সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী পদত্যাগ করেন। তার পদত্যাগের পর থেকে তিনি আর জনসম্মুখে আসেননি। এ পরিস্থিতিতে সংসদ সচিবালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে আইনি শূন্যতা সৃষ্টি হয়, যা পূরণের লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য গঠিত নতুন সংসদ সচিবালয় কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তাকে সহায়তার জন্য আরও চারজন সদস্য নিয়োগ করা হবে। এই সদস্যরা হলেন প্রধান উপদেষ্টার মনোনীত সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা বা তার মনোনীত সচিব, সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টার মনোনীত লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব, এবং অর্থ উপদেষ্টা বা তার মনোনীত সচিব।
গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, সংসদ ভেঙে দেওয়ার ফলে স্পিকারের পদ শূন্য হওয়ায় সংসদ সচিবালয়ের সম্পত্তি, রক্ষণাবেক্ষণ, এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি আইনি শূন্যতা দেখা দিয়েছে। জাতীয় স্বার্থে এই শূন্যতা পূরণ করার জন্য এবং সচিবালয়ের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে আইন উপদেষ্টাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গেজেটের তথ্যমতে, বাংলাদেশ সংবিধানের ৯৩ (১) অনুচ্ছেদের অধীনে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বলে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। অধ্যাদেশটি ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হিসেবে গণ্য হবে।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় সংসদ সচিবালয়ের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার প্রচেষ্টা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সোমবার প্রকাশিত এক অধ্যাদেশে এ ঘোষণা দেওয়া হয়, যা স্পিকারের দায়িত্ব পালন ছাড়াও সংসদ সচিবালয়ের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে করা হয়েছে।
গেজেটে বলা হয়েছে, সংসদ অধিবেশনের কার্যক্রম পরিচালনা ছাড়া স্পিকারের অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন আসিফ নজরুল। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত এই ব্যবস্থা বহাল থাকবে।
অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৩১ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আসিফ নজরুলকে এই দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়, যা সোমবার গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, ৬ অগাস্ট রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন। এরপর, ২ সেপ্টেম্বর সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী পদত্যাগ করেন। তার পদত্যাগের পর থেকে তিনি আর জনসম্মুখে আসেননি। এ পরিস্থিতিতে সংসদ সচিবালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে আইনি শূন্যতা সৃষ্টি হয়, যা পূরণের লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য গঠিত নতুন সংসদ সচিবালয় কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তাকে সহায়তার জন্য আরও চারজন সদস্য নিয়োগ করা হবে। এই সদস্যরা হলেন প্রধান উপদেষ্টার মনোনীত সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা বা তার মনোনীত সচিব, সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টার মনোনীত লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব, এবং অর্থ উপদেষ্টা বা তার মনোনীত সচিব।
গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, সংসদ ভেঙে দেওয়ার ফলে স্পিকারের পদ শূন্য হওয়ায় সংসদ সচিবালয়ের সম্পত্তি, রক্ষণাবেক্ষণ, এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি আইনি শূন্যতা দেখা দিয়েছে। জাতীয় স্বার্থে এই শূন্যতা পূরণ করার জন্য এবং সচিবালয়ের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে আইন উপদেষ্টাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গেজেটের তথ্যমতে, বাংলাদেশ সংবিধানের ৯৩ (১) অনুচ্ছেদের অধীনে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বলে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। অধ্যাদেশটি ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হিসেবে গণ্য হবে।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় সংসদ সচিবালয়ের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার প্রচেষ্টা করা হয়েছে।