হাওরকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে হাওর-জলাভূমি সুরক্ষায় আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। সেইসাথে প্রশাসনিক ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের জন্য মানসিকতার ও কাঠামোগত পরিবর্তন প্রয়োজন বলে মনে করেন বক্তারা। এছাড়া; হাওর রক্ষায় ইজারা বন্ধের পাশাপাশি ইটনা-মিঠামইন সড়ক না রাখারও কথা উঠেছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘জাতীয় হাওর সংলাপ ২০২৪’ বক্তারা এসব কথা বলেন। সংলাপের আয়োজন করে বারসিক, এএলআরডি ও বেলা। এতে দেশের বিভিন্ন এলাকার হাওর রক্ষা আন্দোলনের কর্মীরা অংশ নেন।
বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক)-এর পরিচালক সৈয়দ আলী বিশ্বাসের উপস্থাপনায় জানায়, হাওর উপযোগী কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে গুরুত্ব না দেয়ার কারণে হাওরাঞ্চলে কোম্পানী নির্ভর রাসায়নিক কৃষি, বাণিজ্যিকি ইজারাদার এদের দৌড়াত্ম বৃদ্ধি পেয়েছে। হাওরাঞ্চলে ২৩০ প্রজাতির দেশি মাছের বৈচিত্র্য ক্রমশ কমছে।
এএলআরডি ও বেলার পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত খসড়া ‘বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি সুরক্ষা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২২’ নিয়ে পর্যালোচনা ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
হাওরে ইজারা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত বলে মনে করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ‘আমি ইজারার ঘোর বিরোধী, আমি মনেকরি ইজারা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। ইজারা সব জায়গায় শুরু হয়েছে তারা এটা নিয়ে ব্যবসা করবে? মানুষের জীবন-জীবিকা নষ্ট করে ইজারা দেওয়ার কোন অধিকার নাই।’
‘যেসব এলাকায় সমস্যা, আপনারা আমাদের জানাবেন প্লিজ। আমরা সেখানে যাব’, বলে জানায় ফরিদা।
’হাওরে যেমন প্রাণিসম্পদ আছে, ধানও আছে। একটা সময় হাওরে অনেক প্রজাতির ধান ছিল, এখন সেগুলো নেই। এখন হাওরে হাইব্রিড লাগানো হচ্ছে, ফলে এর জন্য কীটনাশক ব্যবহার করে প্রাণিসম্পদ নষ্ট হচ্ছে। এসিআই এর মেশিন দিয়ে ফসল কাটা হচ্ছে। এই মেশিন হাওরে নামার ফলে মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমি কৃষি উপদেষ্টাকে জানিয়েছি, হাওরের ধানে যেন কীটনাশক না দেয়। মা মাছকে রক্ষা করতে হবে’, মত তার।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘দেশের হাওরে অনেক প্রজাতির মাছ আছে। কিন্তু হাওরের সঙ্গে গবাদি পশুও যুক্ত। পশু, পাখি, হাঁস-মুরগিও আমাদের হাওরের ওপর নির্ভরশীল। এটা আমাদের জানা নেই। এই প্রাণিসম্পদের কোনো একটা ছাড়াও আমরা চলতে পারব না। হাওর যেভাবেই হোক রক্ষা করতে হবে। হাওর রক্ষায় ব্যর্থ হলে এই মন্ত্রণালয়ের কোনো দরকারও নেই!’
হাওর বেষ্টিত ৭ টি জেলায় তিন লাখ ৬২ হাজার ৭৩০ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘নদী খনন না করার কারণে পাহাড়ি ঢলে আসা পানি হাওরগুলো ধারণ করতে পারে না। হাওর সুরক্ষা একটি আন্তর্জাতিক বিষয়। হাওরের ট্রান্সবাউন্ডারি ইস্যুতে ভারতের সাথে আমাদের আলোচনা করতে হবে।’
সিলেটকে বন্যার কবল থেকে রক্ষা করতে কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিঠামইন সড়ক প্রয়োজনে ভাঙা হবে বলে জানিয়েছেন ফরিদা আক্তার। তিনি বলেন, ‘যে সড়কটা করা হলো এটা কী ঠিক হলো? এটার উপর একটা আলপনাও আকা হলো। এটার পানি চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। দরকার হলে পানি চলাচলের জন্য ভেঙ্গে ঠিক করতে হবে। আমাদের ইটনা-মিঠামইনের সরল মনের কাজ রাখার দারকার নেই। আমরা এটা অবশ্যই বদলাবো।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগের পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হাওর হলো সৌম্য দর্শন পূণ্যভূমি। সকলের অংশগ্রহণে হাওরের সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও রক্ষার পরিকল্পনা করতে হবে। জলাভূমির ইকোসিস্টেম ভ্যালু এবং ধানি জমির ভ্যালুর মধ্যে হাজার গুন পার্থক্য রয়েছে। জলাভূমিকে ধানের জমিতে পরিণত করা একটি ইনোসেন্ট (নিষ্পাপ) অপরাধ। এটা বন্ধ করতে হবে।’
এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এ্যান্ড ডেভলপমেন্ট-এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা সভাপতিত্ব করেন । হাওর সংলাপ এ দুটো প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। হাওরের কৃষি-মৎস্য-পরিবেশ ও জীবনজীবিকা বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বারসিক-এর পরিচালক সৈয়দ আলী বিশ্বাস এবং হাওর জলাভূমি, নীতিমালা, আইন ও ন্যায়বিচার বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এএলআরডির প্রোগ্রাম ম্যানেজার, মানবাধিকার কর্মী ও গবেষক সানজিদা খান রিপা।
বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক)-এর পরিচালক পাভেল পার্থের সঞ্চালনায় জাতীয় সংলাপে বক্তারা হাওরের প্রাণ- প্রকৃতি সুরক্ষায় জনসচেতনতা, সংশ্লিষ্ট আইন প্রণয়ন এবং এই আইনের কার্যকর প্রয়োগের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বেলা’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী তাসলিমা ইসলাম বলেন, ‘জলমহাল বন্দোবস্ত নীতিমালায় জলাধারকে সংজ্ঞায়িত করতে গিয়ে হাওরকে উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের পানি আইন, পরিবেশ আইন, প্রাকৃতিক জলাধার সুরক্ষা আইন রয়েছে। হাওরের সুরক্ষায় এই আইনগুলো ব্যবহার করতে পারি। প্রাকৃতিক জলাধার সুরক্ষা আইনে জলাধারের শ্রেণী পরিবর্তন করা যাবে না, ভরাট করা যাবে না, তা সুস্পষ্টভাবে বলা আছে। ২০১২ সালের ওয়াইল্ড লাইফ প্রোটেকশন অ্যাক্ট ধরেও আমরা হাওর সুরক্ষায় পদক্ষেপ নিতে পারি। হাওরের সুনির্দিষ্ট কোন আইন এখনও পাস হয়নি। খসড়া এই আইনে হাওরের সুরক্ষা বা সংরক্ষণের দায়িত্ব সঠিকভাবে উল্লেখ করা হয়নি। এই আইনটি দ্রুত পাস করে বাস্তবায়নে যেতে হবে।’
তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি জীবন হাজং বলেন, ‘একতাই আমাদের মূল শক্তি। ভারত অংশে পাহাড় কাটার কারণে আমাদের অঞ্চলের নদী, জমি বালু দিয়ে ভরাট হয়ে যায়। আমাদের গ্রামের তরুণ-যুবরা মিলে আমরা বাড়ি ঘরের পানি সরাতে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করছি।’
সভাপতির বক্তব্যে এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এ্যান্ড ডেভলপমেন্ট -এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন, আমাদের প্রথাগত ধারণার জায়গায় আমূল সংস্কার করতে হলে সমন্বয়হীনতা থাকা চলবে না। প্রশাসনকে ভেঙ্গে নতুন করে সাজাতে হবে। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের জন্য আমাদের মানসিকতার এবং কাঠামোগত দুটোরই পরিবর্তন প্রয়োজন। হাওর যেহেতু উন্মুক্ত জলাশয় সেহেতু হাওর ইজারা বন্ধ করতে হবে। আমরা হাওরকে কোনভাবেই ধ্বংস হতে দিতে পারি না।
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
হাওরকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে হাওর-জলাভূমি সুরক্ষায় আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। সেইসাথে প্রশাসনিক ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের জন্য মানসিকতার ও কাঠামোগত পরিবর্তন প্রয়োজন বলে মনে করেন বক্তারা। এছাড়া; হাওর রক্ষায় ইজারা বন্ধের পাশাপাশি ইটনা-মিঠামইন সড়ক না রাখারও কথা উঠেছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘জাতীয় হাওর সংলাপ ২০২৪’ বক্তারা এসব কথা বলেন। সংলাপের আয়োজন করে বারসিক, এএলআরডি ও বেলা। এতে দেশের বিভিন্ন এলাকার হাওর রক্ষা আন্দোলনের কর্মীরা অংশ নেন।
বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক)-এর পরিচালক সৈয়দ আলী বিশ্বাসের উপস্থাপনায় জানায়, হাওর উপযোগী কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে গুরুত্ব না দেয়ার কারণে হাওরাঞ্চলে কোম্পানী নির্ভর রাসায়নিক কৃষি, বাণিজ্যিকি ইজারাদার এদের দৌড়াত্ম বৃদ্ধি পেয়েছে। হাওরাঞ্চলে ২৩০ প্রজাতির দেশি মাছের বৈচিত্র্য ক্রমশ কমছে।
এএলআরডি ও বেলার পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত খসড়া ‘বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি সুরক্ষা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২২’ নিয়ে পর্যালোচনা ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
হাওরে ইজারা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত বলে মনে করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ‘আমি ইজারার ঘোর বিরোধী, আমি মনেকরি ইজারা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। ইজারা সব জায়গায় শুরু হয়েছে তারা এটা নিয়ে ব্যবসা করবে? মানুষের জীবন-জীবিকা নষ্ট করে ইজারা দেওয়ার কোন অধিকার নাই।’
‘যেসব এলাকায় সমস্যা, আপনারা আমাদের জানাবেন প্লিজ। আমরা সেখানে যাব’, বলে জানায় ফরিদা।
’হাওরে যেমন প্রাণিসম্পদ আছে, ধানও আছে। একটা সময় হাওরে অনেক প্রজাতির ধান ছিল, এখন সেগুলো নেই। এখন হাওরে হাইব্রিড লাগানো হচ্ছে, ফলে এর জন্য কীটনাশক ব্যবহার করে প্রাণিসম্পদ নষ্ট হচ্ছে। এসিআই এর মেশিন দিয়ে ফসল কাটা হচ্ছে। এই মেশিন হাওরে নামার ফলে মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমি কৃষি উপদেষ্টাকে জানিয়েছি, হাওরের ধানে যেন কীটনাশক না দেয়। মা মাছকে রক্ষা করতে হবে’, মত তার।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘দেশের হাওরে অনেক প্রজাতির মাছ আছে। কিন্তু হাওরের সঙ্গে গবাদি পশুও যুক্ত। পশু, পাখি, হাঁস-মুরগিও আমাদের হাওরের ওপর নির্ভরশীল। এটা আমাদের জানা নেই। এই প্রাণিসম্পদের কোনো একটা ছাড়াও আমরা চলতে পারব না। হাওর যেভাবেই হোক রক্ষা করতে হবে। হাওর রক্ষায় ব্যর্থ হলে এই মন্ত্রণালয়ের কোনো দরকারও নেই!’
হাওর বেষ্টিত ৭ টি জেলায় তিন লাখ ৬২ হাজার ৭৩০ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘নদী খনন না করার কারণে পাহাড়ি ঢলে আসা পানি হাওরগুলো ধারণ করতে পারে না। হাওর সুরক্ষা একটি আন্তর্জাতিক বিষয়। হাওরের ট্রান্সবাউন্ডারি ইস্যুতে ভারতের সাথে আমাদের আলোচনা করতে হবে।’
সিলেটকে বন্যার কবল থেকে রক্ষা করতে কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিঠামইন সড়ক প্রয়োজনে ভাঙা হবে বলে জানিয়েছেন ফরিদা আক্তার। তিনি বলেন, ‘যে সড়কটা করা হলো এটা কী ঠিক হলো? এটার উপর একটা আলপনাও আকা হলো। এটার পানি চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। দরকার হলে পানি চলাচলের জন্য ভেঙ্গে ঠিক করতে হবে। আমাদের ইটনা-মিঠামইনের সরল মনের কাজ রাখার দারকার নেই। আমরা এটা অবশ্যই বদলাবো।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগের পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হাওর হলো সৌম্য দর্শন পূণ্যভূমি। সকলের অংশগ্রহণে হাওরের সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও রক্ষার পরিকল্পনা করতে হবে। জলাভূমির ইকোসিস্টেম ভ্যালু এবং ধানি জমির ভ্যালুর মধ্যে হাজার গুন পার্থক্য রয়েছে। জলাভূমিকে ধানের জমিতে পরিণত করা একটি ইনোসেন্ট (নিষ্পাপ) অপরাধ। এটা বন্ধ করতে হবে।’
এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এ্যান্ড ডেভলপমেন্ট-এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা সভাপতিত্ব করেন । হাওর সংলাপ এ দুটো প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। হাওরের কৃষি-মৎস্য-পরিবেশ ও জীবনজীবিকা বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বারসিক-এর পরিচালক সৈয়দ আলী বিশ্বাস এবং হাওর জলাভূমি, নীতিমালা, আইন ও ন্যায়বিচার বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এএলআরডির প্রোগ্রাম ম্যানেজার, মানবাধিকার কর্মী ও গবেষক সানজিদা খান রিপা।
বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক)-এর পরিচালক পাভেল পার্থের সঞ্চালনায় জাতীয় সংলাপে বক্তারা হাওরের প্রাণ- প্রকৃতি সুরক্ষায় জনসচেতনতা, সংশ্লিষ্ট আইন প্রণয়ন এবং এই আইনের কার্যকর প্রয়োগের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বেলা’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী তাসলিমা ইসলাম বলেন, ‘জলমহাল বন্দোবস্ত নীতিমালায় জলাধারকে সংজ্ঞায়িত করতে গিয়ে হাওরকে উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের পানি আইন, পরিবেশ আইন, প্রাকৃতিক জলাধার সুরক্ষা আইন রয়েছে। হাওরের সুরক্ষায় এই আইনগুলো ব্যবহার করতে পারি। প্রাকৃতিক জলাধার সুরক্ষা আইনে জলাধারের শ্রেণী পরিবর্তন করা যাবে না, ভরাট করা যাবে না, তা সুস্পষ্টভাবে বলা আছে। ২০১২ সালের ওয়াইল্ড লাইফ প্রোটেকশন অ্যাক্ট ধরেও আমরা হাওর সুরক্ষায় পদক্ষেপ নিতে পারি। হাওরের সুনির্দিষ্ট কোন আইন এখনও পাস হয়নি। খসড়া এই আইনে হাওরের সুরক্ষা বা সংরক্ষণের দায়িত্ব সঠিকভাবে উল্লেখ করা হয়নি। এই আইনটি দ্রুত পাস করে বাস্তবায়নে যেতে হবে।’
তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি জীবন হাজং বলেন, ‘একতাই আমাদের মূল শক্তি। ভারত অংশে পাহাড় কাটার কারণে আমাদের অঞ্চলের নদী, জমি বালু দিয়ে ভরাট হয়ে যায়। আমাদের গ্রামের তরুণ-যুবরা মিলে আমরা বাড়ি ঘরের পানি সরাতে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করছি।’
সভাপতির বক্তব্যে এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এ্যান্ড ডেভলপমেন্ট -এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন, আমাদের প্রথাগত ধারণার জায়গায় আমূল সংস্কার করতে হলে সমন্বয়হীনতা থাকা চলবে না। প্রশাসনকে ভেঙ্গে নতুন করে সাজাতে হবে। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের জন্য আমাদের মানসিকতার এবং কাঠামোগত দুটোরই পরিবর্তন প্রয়োজন। হাওর যেহেতু উন্মুক্ত জলাশয় সেহেতু হাওর ইজারা বন্ধ করতে হবে। আমরা হাওরকে কোনভাবেই ধ্বংস হতে দিতে পারি না।