বিদ্যুৎ খাতের চুক্তি বাতিল সহজ নয় এবং তা করতে গেলে বিপুল অর্থ খরচের ঝুঁকি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, অতীতের অসম চুক্তিগুলোর জন্য সরকারকে এখন বিপুল ব্যয় বহন করতে হচ্ছে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করছে এবং ক্ষতি কমানোর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।
বুধবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে "বাংলাদেশ জ্বালানি সমৃদ্ধি-২০৫০" শীর্ষক দ্বিতীয় জ্বালানি সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিডব্লিউজিইডি)।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, অনেক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও সেগুলোর ঋণের বোঝা বইতে হচ্ছে এবং অপ্রয়োজনীয় চুক্তির কারণে বসিয়ে বসিয়ে টাকা দিতে হচ্ছে। পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের চ্যালেঞ্জও রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ঢাকায় আবাসিক ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসানো হলেও কার্যকারিতার তদারকি নেই।
জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতির কারণে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন পরিকল্পনা করছে। তিনি জানান, নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৪০টি কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং ১০টির দরপত্র আহ্বান করা হচ্ছে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জ্বালানি বিশেষ সহকারী ম তামিম বলেন, বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করতে গেলে ৮ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার জরিমানা গুনতে হতে পারে। অনেক চুক্তি দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় মাঝপথে বাতিল করতে আইনগত জটিলতা এবং আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া উন্নয়নকর্মীরা বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবি জানান। সুন্দরবনের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং পটুয়াখালীর তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলোর জমি ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
বিডব্লিউজিইডির সদস্যসচিব হাসান মেহেদীর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়। সঞ্চালনা করেন বেনজীর আহমেদ এবং অধ্যাপক ফাহমিদা হক।
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
বিদ্যুৎ খাতের চুক্তি বাতিল সহজ নয় এবং তা করতে গেলে বিপুল অর্থ খরচের ঝুঁকি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, অতীতের অসম চুক্তিগুলোর জন্য সরকারকে এখন বিপুল ব্যয় বহন করতে হচ্ছে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করছে এবং ক্ষতি কমানোর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।
বুধবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে "বাংলাদেশ জ্বালানি সমৃদ্ধি-২০৫০" শীর্ষক দ্বিতীয় জ্বালানি সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিডব্লিউজিইডি)।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, অনেক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও সেগুলোর ঋণের বোঝা বইতে হচ্ছে এবং অপ্রয়োজনীয় চুক্তির কারণে বসিয়ে বসিয়ে টাকা দিতে হচ্ছে। পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের চ্যালেঞ্জও রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ঢাকায় আবাসিক ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসানো হলেও কার্যকারিতার তদারকি নেই।
জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতির কারণে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন পরিকল্পনা করছে। তিনি জানান, নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৪০টি কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং ১০টির দরপত্র আহ্বান করা হচ্ছে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জ্বালানি বিশেষ সহকারী ম তামিম বলেন, বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করতে গেলে ৮ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার জরিমানা গুনতে হতে পারে। অনেক চুক্তি দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় মাঝপথে বাতিল করতে আইনগত জটিলতা এবং আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া উন্নয়নকর্মীরা বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবি জানান। সুন্দরবনের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং পটুয়াখালীর তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলোর জমি ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
বিডব্লিউজিইডির সদস্যসচিব হাসান মেহেদীর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়। সঞ্চালনা করেন বেনজীর আহমেদ এবং অধ্যাপক ফাহমিদা হক।