রাজাকারের তালিকা প্রণয়ন করা এখনো দুরূহ কাজ বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। তিনি জানান, মন্ত্রণালয়ের কাছে রাজাকারের তালিকা বা এ সংক্রান্ত কোনো নথি নেই।
বুধবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজাকারের তালিকা প্রণয়নের প্রসঙ্গে ফারুক ই আজম বলেন, “তালিকা করতে চাইলেও সেটা করা যাবে না। এটি অত্যন্ত কঠিন এবং বাস্তবতাকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। কার কোথায় অবস্থান তা বের করা জটিল কাজ।”
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করতেও মন্ত্রণালয় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। ১৯৭১ সালে ১২ বছর ৬ মাসের কম বয়সী যারা মুক্তিযোদ্ধার সনদ পেয়েছেন, তাদের সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় ২ হাজার ১৫১ জন রয়েছেন, যাদের বিষয়ে মামলা আপিল বিভাগে বিচারাধীন।
অনেক অমুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ এনে তিনি বলেন, “এটি জাতির সঙ্গে প্রতারণা, যা ছোটখাট অপরাধ নয়। যারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভুয়া সনদ নিয়েছেন, তাদের চিহ্নিত করে বাতিল করা হবে এবং শাস্তির আওতায় আনা হবে।”
যারা স্বেচ্ছায় তালিকা থেকে সরে আসবেন, তাদের জন্য ‘মাফ’ বা ইনডেমনিটির সুযোগ থাকবে বলে জানান উপদেষ্টা। অন্যথায় প্রতারণার অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া, মন্ত্রণালয় অমুক্তিযোদ্ধা শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে এবং অভিযোগ গ্রহণের জন্য একটি ফরম প্রকাশ করেছে। সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্তদের তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম চলছে, যেখানে এখন পর্যন্ত ৮৯ হাজার ২৩৫ জনের তথ্য পাওয়া গেছে।
মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে সরকারি সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উপদেষ্টা সতর্ক করেন।
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
রাজাকারের তালিকা প্রণয়ন করা এখনো দুরূহ কাজ বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। তিনি জানান, মন্ত্রণালয়ের কাছে রাজাকারের তালিকা বা এ সংক্রান্ত কোনো নথি নেই।
বুধবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজাকারের তালিকা প্রণয়নের প্রসঙ্গে ফারুক ই আজম বলেন, “তালিকা করতে চাইলেও সেটা করা যাবে না। এটি অত্যন্ত কঠিন এবং বাস্তবতাকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। কার কোথায় অবস্থান তা বের করা জটিল কাজ।”
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করতেও মন্ত্রণালয় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। ১৯৭১ সালে ১২ বছর ৬ মাসের কম বয়সী যারা মুক্তিযোদ্ধার সনদ পেয়েছেন, তাদের সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় ২ হাজার ১৫১ জন রয়েছেন, যাদের বিষয়ে মামলা আপিল বিভাগে বিচারাধীন।
অনেক অমুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ এনে তিনি বলেন, “এটি জাতির সঙ্গে প্রতারণা, যা ছোটখাট অপরাধ নয়। যারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভুয়া সনদ নিয়েছেন, তাদের চিহ্নিত করে বাতিল করা হবে এবং শাস্তির আওতায় আনা হবে।”
যারা স্বেচ্ছায় তালিকা থেকে সরে আসবেন, তাদের জন্য ‘মাফ’ বা ইনডেমনিটির সুযোগ থাকবে বলে জানান উপদেষ্টা। অন্যথায় প্রতারণার অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া, মন্ত্রণালয় অমুক্তিযোদ্ধা শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে এবং অভিযোগ গ্রহণের জন্য একটি ফরম প্রকাশ করেছে। সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্তদের তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম চলছে, যেখানে এখন পর্যন্ত ৮৯ হাজার ২৩৫ জনের তথ্য পাওয়া গেছে।
মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে সরকারি সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উপদেষ্টা সতর্ক করেন।