জয়দেবপুর ও সলঙ্গা থানা পুলিশের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য
পহণকারীর কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা নিয়ে অপহৃত ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার ওসির বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগ তুলে পুলিশের আইজি বরাবর ন্যায় বিচার পাওয়ার আবেদন করছেন সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার শ্রীরামের পাড়া গ্রামের মাহবুবুল আলম।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তার ভাই মৎস্য ব্যবসায়ী আবদুল মান্নান সরকার ওরফে মোন্নাফকে গত সাত ডিসেম্বর ভোরে শ্রীরামের পাড়া এলাকা থেকে একটি কালো মাইক্রোবাসে জোরপূর্বক তুলে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় সলঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। পরে থানায় একটি মামলা রুজু হয়। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অপহরণের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার হওয়া দুজনে পুলিশের জেরার মুখে অপহরণকারী এরশাদ সরকারের নাম স্বীকার করে। সূত্র ধরে এরশাদ সরকারকে পুলিশ ফোন করলে তিনি জানান, মুন্নাফকে নিয়ে ঢাকার দিকে এসেছেন এবং এক ঘণ্টার মধ্যে ফেরত দেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন। ?পরে তাকে ফেরত না দিয়ে তালবাহানা শুরু করেন। রাত আটটার দিকে এরশাদ সরকার তাকে তার ভাইয়ের মোবাইল ফোনে জানায় আবু সুফিয়ান জয়দেবপুর থানায় আবদুল মান্নান ওরফে মোন্নাফকে জমা দেবে। বিষয়টি সলঙ্গা থানায় জানানো হয়।
সলঙ্গা থানা পুলিশ গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার ওসি ও ডিউটি অফিসারকে বিষয়টি জানিয়েছে অপহরণকারীকে আটক ও মোন্নাফকে উদ্ধারের অনুরোধ জানায়। এরশাদ হোসেন ও তার ভাতিজা সুফিয়ান অপহরণ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি বলেও জয়দেবপুর থানায় জানানো হয়। এরপরও মোন্নাফকে থানায় নিয়ে আবু সুফিয়ান বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় একটি ‘মিথ্যা মামলা’ দায়ের করেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, জয়দেবপুর থানার (ওসি) অপহরিত আবদুল মোন্নান সরকারকে নিরাপত্তা না দিয়ে বরং অপহরণকারীদের কাছে থেকে মোট অঙ্কের টাকা ঘুষ নেয়। এবং অপহরাণকারীদের ছেড়ে দেয়। অপহরিত মোন্নাফকে উল্টো মিথ্যা মামলায় আসামি করে জেল হাজতে পাঠায় জয়দেপুর থানা পুলিশ। ?এছাড়া ওই থানা থেকে মোন্নাফকে ছাড়িয়ে নিতে থানার কর্মরত এসআই জহিরুল ইসলাম নামে পরিচয় দিয়ে ২০ হাজার টাকা দাবির অভিযোগ তোলা হয়।
এ বিষয়ে জয়দেবপুর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) জহিরুল ইসলাম সংবাদ’কে বলেন, ‘আমি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এইটুকুই জানি। তাকে কে কোথা থেকে গ্রেপ্তার করেছে তা জানি না। সাতদিন হয় এই থানায় যোগদান করেছি। আমাকে মামলা তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার অভিযোগ মিথ্যা।’
জয়দেবপুর থানার ওসি আাবদুল হালিম সংবাদ’কে বলেন, ‘বাদী থানায় হজির হয়ে দরখাস্ত দিয়েছে, মামলা নিয়েছি। কেউ যদি আসামিসহ থানায় এসে এজাহার দেয় তাহলে আমরা কি করব? সলঙ্গা থানা পুলিশ আমাদের কোনো বেতারবার্তা দেয়নি। তারা যদি বলে আমার থানায় অবহিত করেছে তাহলে প্রমাণ দেখাক।’
এসআইয়ের টাকা চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জহিরুল নামে আমার থানায় কোন দারোগা নেই। পরে অবশ্য স্বীকার করে বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি যদি অপরাধ করে তার দায় তো বাহিনী নিবে না। মামলার আসামি ছেড়ে দেয়ার কোনো সুযোগ আছে? আমার বিরুদ্ধে আনা অর্থনৈতিক অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।’
সলঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী সংবাদ’কে বলেন, ‘আমি ও আমার ওসি দুজনেই জয়দেবপুর থানার ওসির সরকারি ফোনে কল দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছি। ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই কি বেতারবার্তা দেয়া যায়? তিনি কেন অস্বীকার করছেন, তা বুঝতে পারছি না। অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার না করে উল্টো ভুক্তভোগীকেই আসামি করে আদালতে পাঠানোয় প্রশ্ন উঠতেই পারে।’
জয়দেবপুর ও সলঙ্গা থানা পুলিশের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
পহণকারীর কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা নিয়ে অপহৃত ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার ওসির বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগ তুলে পুলিশের আইজি বরাবর ন্যায় বিচার পাওয়ার আবেদন করছেন সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার শ্রীরামের পাড়া গ্রামের মাহবুবুল আলম।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তার ভাই মৎস্য ব্যবসায়ী আবদুল মান্নান সরকার ওরফে মোন্নাফকে গত সাত ডিসেম্বর ভোরে শ্রীরামের পাড়া এলাকা থেকে একটি কালো মাইক্রোবাসে জোরপূর্বক তুলে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় সলঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। পরে থানায় একটি মামলা রুজু হয়। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অপহরণের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার হওয়া দুজনে পুলিশের জেরার মুখে অপহরণকারী এরশাদ সরকারের নাম স্বীকার করে। সূত্র ধরে এরশাদ সরকারকে পুলিশ ফোন করলে তিনি জানান, মুন্নাফকে নিয়ে ঢাকার দিকে এসেছেন এবং এক ঘণ্টার মধ্যে ফেরত দেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন। ?পরে তাকে ফেরত না দিয়ে তালবাহানা শুরু করেন। রাত আটটার দিকে এরশাদ সরকার তাকে তার ভাইয়ের মোবাইল ফোনে জানায় আবু সুফিয়ান জয়দেবপুর থানায় আবদুল মান্নান ওরফে মোন্নাফকে জমা দেবে। বিষয়টি সলঙ্গা থানায় জানানো হয়।
সলঙ্গা থানা পুলিশ গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার ওসি ও ডিউটি অফিসারকে বিষয়টি জানিয়েছে অপহরণকারীকে আটক ও মোন্নাফকে উদ্ধারের অনুরোধ জানায়। এরশাদ হোসেন ও তার ভাতিজা সুফিয়ান অপহরণ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি বলেও জয়দেবপুর থানায় জানানো হয়। এরপরও মোন্নাফকে থানায় নিয়ে আবু সুফিয়ান বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় একটি ‘মিথ্যা মামলা’ দায়ের করেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, জয়দেবপুর থানার (ওসি) অপহরিত আবদুল মোন্নান সরকারকে নিরাপত্তা না দিয়ে বরং অপহরণকারীদের কাছে থেকে মোট অঙ্কের টাকা ঘুষ নেয়। এবং অপহরাণকারীদের ছেড়ে দেয়। অপহরিত মোন্নাফকে উল্টো মিথ্যা মামলায় আসামি করে জেল হাজতে পাঠায় জয়দেপুর থানা পুলিশ। ?এছাড়া ওই থানা থেকে মোন্নাফকে ছাড়িয়ে নিতে থানার কর্মরত এসআই জহিরুল ইসলাম নামে পরিচয় দিয়ে ২০ হাজার টাকা দাবির অভিযোগ তোলা হয়।
এ বিষয়ে জয়দেবপুর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) জহিরুল ইসলাম সংবাদ’কে বলেন, ‘আমি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এইটুকুই জানি। তাকে কে কোথা থেকে গ্রেপ্তার করেছে তা জানি না। সাতদিন হয় এই থানায় যোগদান করেছি। আমাকে মামলা তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার অভিযোগ মিথ্যা।’
জয়দেবপুর থানার ওসি আাবদুল হালিম সংবাদ’কে বলেন, ‘বাদী থানায় হজির হয়ে দরখাস্ত দিয়েছে, মামলা নিয়েছি। কেউ যদি আসামিসহ থানায় এসে এজাহার দেয় তাহলে আমরা কি করব? সলঙ্গা থানা পুলিশ আমাদের কোনো বেতারবার্তা দেয়নি। তারা যদি বলে আমার থানায় অবহিত করেছে তাহলে প্রমাণ দেখাক।’
এসআইয়ের টাকা চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জহিরুল নামে আমার থানায় কোন দারোগা নেই। পরে অবশ্য স্বীকার করে বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি যদি অপরাধ করে তার দায় তো বাহিনী নিবে না। মামলার আসামি ছেড়ে দেয়ার কোনো সুযোগ আছে? আমার বিরুদ্ধে আনা অর্থনৈতিক অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।’
সলঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী সংবাদ’কে বলেন, ‘আমি ও আমার ওসি দুজনেই জয়দেবপুর থানার ওসির সরকারি ফোনে কল দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছি। ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই কি বেতারবার্তা দেয়া যায়? তিনি কেন অস্বীকার করছেন, তা বুঝতে পারছি না। অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার না করে উল্টো ভুক্তভোগীকেই আসামি করে আদালতে পাঠানোয় প্রশ্ন উঠতেই পারে।’