ভারতে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়েও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, ভারতকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য পাঠানো চিঠির জবাব এখনও পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ভারতের কাছে পাঠানো চিঠির বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। আজ (বুধবার) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট ভারতের হিন্দন বিমানঘাঁটিতে পালিয়ে যাওয়ার পর শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। তাঁর দেশে ফিরে আসার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। চিঠির মাধ্যমে তাকে ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানানো হয়েছিল, তবে এখন পর্যন্ত কোনও সাড়া মেলেনি।
এছাড়া, ভারতের নয়াদিল্লি শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ সম্প্রতি বাড়িয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এই বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে, এম তৌহিদ হোসেন বলেন, “আপনাদের মতো আমিও এটি পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আমাদের কী করার আছে?” উল্লেখ্য, ভারতে শেখ হাসিনার ভিসা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সরকার কোনও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, "ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, তার জবাব এখনো পাইনি।" এর ফলে, তার ফেরত আসার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভারতের সরকার শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ সম্প্রতি বাড়িয়েছে এবং তাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে কোনও সুনির্দিষ্ট আইন না থাকার কথা জানানো হয়েছে। ৭৭ বছর বয়সী হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন, তবে তিনি এখন পর্যন্ত যোগাযোগবিহীন অবস্থায় রয়েছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হিন্দন বিমানঘাঁটিতে ৫ আগস্ট তাঁর আগমনের পর তাকে দিল্লির একটি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এই পরিস্থিতি নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়ার গুঞ্জনকে ভারত নাকচ করে দিয়েছে। তাদের মতে, ভারতে শরণার্থী এবং আশ্রয় দেওয়ার জন্য কোনও সুনির্দিষ্ট আইন নেই, ফলে হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে কোনও সঠিক আইনগত ভিত্তি পাওয়া যায়নি।
শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান ও তার দেশে ফেরার বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। দেশের জনগণ এবং সরকারের পক্ষ থেকে তার দেশে ফেরার জন্য বারবার আহ্বান জানানো হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনার সম্ভাবনা এখনো স্পষ্ট হয়নি।
বাংলাদেশে বিএনপির নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দলগুলো এরই মধ্যে শেখ হাসিনার ফিরে আসার পক্ষে সরব হয়েছে এবং তাকে ফেরাতে সরকারকে আরও চাপ দেওয়া হচ্ছে। তবে, এই পরিস্থিতি ভবিষ্যতে কীভাবে উদ্ভূত হবে তা নিয়ে দেশটির রাজনৈতিক মহলে এখনো অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।
ভারতে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়েও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য
বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, ভারতকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য পাঠানো চিঠির জবাব এখনও পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ভারতের কাছে পাঠানো চিঠির বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। আজ (বুধবার) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট ভারতের হিন্দন বিমানঘাঁটিতে পালিয়ে যাওয়ার পর শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। তাঁর দেশে ফিরে আসার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। চিঠির মাধ্যমে তাকে ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানানো হয়েছিল, তবে এখন পর্যন্ত কোনও সাড়া মেলেনি।
এছাড়া, ভারতের নয়াদিল্লি শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ সম্প্রতি বাড়িয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এই বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে, এম তৌহিদ হোসেন বলেন, “আপনাদের মতো আমিও এটি পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আমাদের কী করার আছে?” উল্লেখ্য, ভারতে শেখ হাসিনার ভিসা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সরকার কোনও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, "ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, তার জবাব এখনো পাইনি।" এর ফলে, তার ফেরত আসার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভারতের সরকার শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ সম্প্রতি বাড়িয়েছে এবং তাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে কোনও সুনির্দিষ্ট আইন না থাকার কথা জানানো হয়েছে। ৭৭ বছর বয়সী হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন, তবে তিনি এখন পর্যন্ত যোগাযোগবিহীন অবস্থায় রয়েছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হিন্দন বিমানঘাঁটিতে ৫ আগস্ট তাঁর আগমনের পর তাকে দিল্লির একটি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এই পরিস্থিতি নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়ার গুঞ্জনকে ভারত নাকচ করে দিয়েছে। তাদের মতে, ভারতে শরণার্থী এবং আশ্রয় দেওয়ার জন্য কোনও সুনির্দিষ্ট আইন নেই, ফলে হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে কোনও সঠিক আইনগত ভিত্তি পাওয়া যায়নি।
শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান ও তার দেশে ফেরার বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। দেশের জনগণ এবং সরকারের পক্ষ থেকে তার দেশে ফেরার জন্য বারবার আহ্বান জানানো হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনার সম্ভাবনা এখনো স্পষ্ট হয়নি।
বাংলাদেশে বিএনপির নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দলগুলো এরই মধ্যে শেখ হাসিনার ফিরে আসার পক্ষে সরব হয়েছে এবং তাকে ফেরাতে সরকারকে আরও চাপ দেওয়া হচ্ছে। তবে, এই পরিস্থিতি ভবিষ্যতে কীভাবে উদ্ভূত হবে তা নিয়ে দেশটির রাজনৈতিক মহলে এখনো অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।