রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ভবনের সামনে বুধবার পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দসংবলিত গ্রাফিতি রাখা বা বাতিল নিয়ে দুই পক্ষের কর্মসূচি চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১২ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর মতিঝিলে এনসিটিবির সামনে স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি এবং সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার ব্যানারে পৃথক কর্মসূচি থেকে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মুহম্মদ ইয়াকুব মজুমদার বলেন, “পাঠ্যবইয়ে ‘আদিবাসী’ শব্দ রাখা দেশের অখণ্ডতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। বাঙালিরাই বাংলাদেশের একমাত্র আদিবাসী। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া যাবে না। যারা এ শব্দটি প্রবেশ করিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।”
অন্যদিকে, সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার মুখপাত্র অলিক মৃ বলেন, “‘আদিবাসী’ লেখা গ্রাফিতি আমাদের ইতিহাস ও পরিচয়ের অংশ। এটি পাঠ্যবই থেকে বাদ দেওয়া আমাদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করার শামিল। আমরা এর পুনর্বহাল চাই।”
সংঘর্ষে আহতদের নিয়ে স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টির আহ্বায়ক মুহম্মদ জিয়াউল হক বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ করে ফিরছিলাম। তখন আমাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। এতে ১৪-১৫ জন আহত হয়েছেন। একজন গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন।”
তবে সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার সদস্য দীপায়ন খিসা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টির লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের ১২ জন আহত হয়েছেন। আমরা অবিলম্বে এর তদন্ত ও জড়িতদের শাস্তি চাই।”
স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি এবং সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার ব্যানারে কর্মসূচি পালনকারীদের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি এবং পরে হামলা হয়। পুলিশ লাঠিপেটা করে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয়।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ৯ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
ঘটনার পর রক্তাক্ত দুজনের একজনকে একটি ভ্যানে, একজনকে একটি রিকশায় করে নিয়ে যেতে দেখা যায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আহত নয় ব্যক্তি সেখানে চিকিৎসার জন্য গিয়েছেন। তাঁরা হলেন ধনজেতরা (২৮), অন্তত ধামাই (৩৫), ফুটন্ত চাকমা (২২), ইসাবা শুহরাত (৩২), রেংইয়ং ম্র (২৭), রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা (২৫), ডোনায়ই ম্রো (২৫), শৈলী (২৭) ও ডিবিসি টিভির সাংবাদিক জুয়েল মার্ক (৩৫)।
বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ভবনের সামনে বুধবার পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দসংবলিত গ্রাফিতি রাখা বা বাতিল নিয়ে দুই পক্ষের কর্মসূচি চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১২ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর মতিঝিলে এনসিটিবির সামনে স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি এবং সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার ব্যানারে পৃথক কর্মসূচি থেকে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মুহম্মদ ইয়াকুব মজুমদার বলেন, “পাঠ্যবইয়ে ‘আদিবাসী’ শব্দ রাখা দেশের অখণ্ডতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। বাঙালিরাই বাংলাদেশের একমাত্র আদিবাসী। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া যাবে না। যারা এ শব্দটি প্রবেশ করিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।”
অন্যদিকে, সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার মুখপাত্র অলিক মৃ বলেন, “‘আদিবাসী’ লেখা গ্রাফিতি আমাদের ইতিহাস ও পরিচয়ের অংশ। এটি পাঠ্যবই থেকে বাদ দেওয়া আমাদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করার শামিল। আমরা এর পুনর্বহাল চাই।”
সংঘর্ষে আহতদের নিয়ে স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টির আহ্বায়ক মুহম্মদ জিয়াউল হক বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ করে ফিরছিলাম। তখন আমাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। এতে ১৪-১৫ জন আহত হয়েছেন। একজন গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন।”
তবে সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার সদস্য দীপায়ন খিসা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টির লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের ১২ জন আহত হয়েছেন। আমরা অবিলম্বে এর তদন্ত ও জড়িতদের শাস্তি চাই।”
স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি এবং সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার ব্যানারে কর্মসূচি পালনকারীদের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি এবং পরে হামলা হয়। পুলিশ লাঠিপেটা করে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয়।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ৯ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
ঘটনার পর রক্তাক্ত দুজনের একজনকে একটি ভ্যানে, একজনকে একটি রিকশায় করে নিয়ে যেতে দেখা যায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আহত নয় ব্যক্তি সেখানে চিকিৎসার জন্য গিয়েছেন। তাঁরা হলেন ধনজেতরা (২৮), অন্তত ধামাই (৩৫), ফুটন্ত চাকমা (২২), ইসাবা শুহরাত (৩২), রেংইয়ং ম্র (২৭), রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা (২৫), ডোনায়ই ম্রো (২৫), শৈলী (২৭) ও ডিবিসি টিভির সাংবাদিক জুয়েল মার্ক (৩৫)।